নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থানরত বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার দুপুরে তিনি জেলারের কাছে এই ইচ্ছার কথা জানান। তবে বিদেশে ফোন করার ব্যাপারে কারা কতৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলার। কারা কতৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় ৫ বছর কারাদণ্ড পাওয়া বেগম জিয়া গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পুরান ঢাকায় অবস্থিত পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বিশেষ সেলে আছেন। কারা সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও তাঁর চাহিদার কথা জানতে প্রতি বেলায়ই জেলার বা কারা কতৃপক্ষের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা কারাগারে যান। দুপুরে তাঁকে দেখতে যাওয়া কারা কর্মকর্তাকে বেগম জিয়া তারেকের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছার কথা জানান।
কারাবিধি অনুযায়ী গত বছর থেকে একজন বন্দী মাসে দুবার নিজ খরচে দেশের মধ্যে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তবে বিদেশে কথা বলার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। তাই লন্ডনে থাকা তারেক জিয়াকে ফোন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শরনাপন্ন হতে হচ্ছে কারা কতৃপক্ষকে।
জিয়া অরফানেজ মামলায় তারেক রহমানও ১০ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড পেয়েছেন। এর আগে মানি লন্ডারিং মামলায় হাইকোর্ট তারেক জিয়াকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছেন তারেক রহমান।
কারা সূত্রে জানা গেছে, তারেকের সঙ্গে কথা বলায় বেগম জিয়ার ইচ্ছার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আবেদন লিখে নিয়েছে কারা কতৃপক্ষ। আজ শনিবার ছুটি থাকায় কাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠাবে কারা কতৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পরই তারেক জিয়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দিতে পারবেন বেগম জিয়াকে।
দীর্ঘ ১০ বছর মামলা চলার পর গত বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় রায়ে বেগম জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর তারেক জিয়াসহ অপর চারজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সবার একই শাস্তি হলেও বেগম জিয়ার বয়স ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় কারাদণ্ড ১০ বছরের স্থলে ৫ বছর করা হয়। রায়ের পরপরই বেগম জিয়াকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পুরোনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে নেওয়া হয়।
বাংলা ইনসইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।