মেহেরপুর
সদর উপজেলার কাঁঠালপোতা গ্রামে চোর সন্দেহে তিনজনকে
গণপিটুনি দিয়েছে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে সদর
থানা পুলিশের একটি দল তাদের
উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল
হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে চোর
সন্দেহ করা তিনজনের দাবি
তারা ফল ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার
দুপুরের দিকে সদর উপজেলার
কাঁঠালপোতা ব্রিজের কাছে এই ঘটনা
ঘটে।
গণপিটুনির
শিকার তিনজন হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকান্দি
গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে আনিস
(৩৫), একই উপজেলার চরগোয়াল
গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে বকুল (৪২)
ও একই জেলার মহেশপুর
উপজেলার ঠান্ডু মিয়ার ছেলে অপু (১৯)।
স্থানীয়রা
জানান, ঘটনার সময় গ্রামের তালুক
নামে এক ব্যক্তির একটি
ডিসকোভারি মোটরসাইকেল চুরি করে তিন
চোর দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় গ্রামবাসীরা
তাদের ধাওয়া করলে কাঁঠালপোতা ব্রিজের
নিকট পড়ে গেলে গ্রামবাসী
তাদের গণপিটুনি শুরু করে।
পিরোজপুর
ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আশাদুল ইসলাম আশা বলেন, গত
দুই মাস ধরে গ্রামে
চুরির সংখ্যা বেড়ে গেছে তাই
গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে। গত
কয়েক দিন আগেও একটি
মোটরসাইকেল চুরি হয় যা
সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সিসিটিভির
ফুটেজ অনুযায়ী একজনকে সনাক্ত করা হয়। আজ
সনাক্তকারী ওই চোরকে দেখে
গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে যায়। তাদের
চুরি করার সময় হাতেনাতে
ঘেরাও করে গ্রামবাসী গণপিটুনি
দেয়। সে সময় তাদের
জীবনের নিরপত্তার কথা ভেবে পুলিশকে
ফোন দিলে। পিরোজপুর ক্যাম্প পুলিশ ও মেহেরপুর সদর
থানা পুলিশের একটি টিম তাদের
উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল
হাসপাতালে ভর্তি করে।
মেহেরপুর
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম
বলেন, মেহেরপুরে হঠাৎ মোটর সাইকেল
চুরির সংখ্যা বেড়ে গেছে। মেহেরপুর
সদর উপজেলার কাঁঠালপোতা গ্রামে চোর সন্দেহে তিনজনকে
ধরে গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে। এমন সংবাদ পেলে
সদর থানা পুলিশের একটি
টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে জনগণের হাত
থেকে তাদের উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।