বাংলা,
বাঙালি, বাংলাদেশি - এই
তিনটি শব্দের সাথে বাঙালি জাতি অতোপ্রতভাবে জড়িত। যিনি বাঙালি তিনি এই শব্দগুলোকে প্রাণের
বলেই জানেন। কিন্তু বাংলাদেশে বসবাস করেও কিছু সার্থান্বেষী মানুষ বিদেশপ্রীতির কারণে বাঙালি জাতীয় সত্ত্বাকে বিসর্জন দিচ্ছেন। বাংলাদেশে বাস করেও তারা নিজেকে মনে প্রাণে পশ্চিমা দেশগুলোর একজন বলেই মনে করেন। তারা নিজের দেশের স্বার্থ রক্ষা না করে বিদেশিদের
স্বার্থকেই বড় করে দেখছেন।
একজন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে তাদের মাতমাতির সীমা নেই! অথচ সেই মাতামাতি এখন থিতিয়ে পড়েছে! আমেরিকান রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের ঘটনা
প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এসব কথাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
তাঁরা বলছেন, আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়া, তথা ভারত উপ-মহাদেশে এমন অনেক জ্ঞানী, গুণী, পন্ডিত ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের নিয়ে আমরা মাতামাতি করছি না, কিন্তু আমেরিকা, একটু পান থেকে চুন খসলেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। বিদেশিদের এতো পাত্তা দেয়ার কী আছে?- প্রশ্ন রাখেন তাঁরা।
এদিকে, মিডিয়ার কারণেই বিদেশিরা নিজেদের আমাদের দেশের রাজা মনে করেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সিলেট সদর ও জকিগঞ্জ উপজেলায় এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি বলেছেন, ‘মিডিয়া পাত্তা না দিলে বিদেশিরা ঘরে বসে ‘হুক্কা’ খাবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাঁরা বলছেন, আমরা বাংলাদেশে বাস করছি। আমরা আমাদের নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি, মেট্রোরেল করেছি। আমাদের কৃষি উৎপাদন অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের কারো কাছে হাত পাত্তে হচ্ছে না। তবে কেন আমরা বিদেশিদের এতো পাত্তা দিচ্ছি?
জানা গেছে, গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এদিন সকালে রাষ্ট্রদূত 'মায়ের ডাক' সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অসন্তোষের কথা তুলে ধরেন পিটার ডি হাস। এর পর থেকেই বাংলাদেশে মিডিয়া অঙ্গণে বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করা হয়। কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডি-ক্যাব এর একজন নেতা মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ধরনের কিছু আজব প্রশ্ন করে বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসেন।
কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে বলছেন, এখানে মূল স্বার্থটি কার? কোন স্বার্থে একটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে ব্যবহার করা হচ্ছে? একটি রাষ্ট্রকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে?
সূত্র জানায়, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। সফরকালে গণতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, মানবাধিকারসহ ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার উপর জোর দেবেন লু। ঢাকার পক্ষ থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, পুনরায় মার্কিন বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্য ও জ্বালানি খাতে যে সংকট তৈরি হয়েছে; তা তুলে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।
কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো জানায়, মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসবেন। পরদিন লু সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ঢাকা ছাড়বেন। সফরে তিনি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাও জানুয়ারির মাঝামাঝিতে লু’র ঢাকা সফরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রলণায় সূত্র জানায়, ডোনাল্ড লু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের গুরত্বপূর্ণ একজন কর্মকর্তা। অবশ্যই এ সফরে ওয়াশিংটনের কিছু এজেন্ডা নিয়েই আসছেন তিনি। আশা করা হচ্ছে, লু বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সব দলের অংশগ্রহণের বার্তা দেবেন। পাশাপাশি মানবাধিকার পরিস্থিতি, গুম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলবেন তিনি। এ ছাড়া সদ্য শেষ হওয়া বছরে রাজধানীর শাহীনবাগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটিকে কেন্দ্র করে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন তিনি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বেশ কিছু দিন পিটার ডি হাস ঘটনার ঢামাঢোল বাজলেও বর্তমান সময়ে থিতিয়ে পড়েছে ঘটনার তৎপরতা। অবশেষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাও আসছেন। কিন্তু দেখার বিষয় হচ্ছে, কে বা কারা মার্কিন দূতাবাসে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে?
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার (৪ জানুয়ারি) সিলেটে এক মতবিনিময় সভা শেষে বলেন, ‘১৪ বছরে শেখ হাসিনার সাহস এবং ভিশনের কারণে বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে অনেক অনেক ভালো অবস্থানে এসেছি। দারিদ্র্যতা একটি বড় অভিশাপ। আমরা সেটি অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। বাংলাদেশ এখন দরিদ্র দেশ নয়। দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। যেহেতু আমরা প্রতিবেশী দেশ থেকে অনেক ভালো করছি, এজন্য অনেকে আকর্ষণবোধ করছেন। অনেকে অনেকভাবে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন। বিশ্বের যে সব দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আছে সে সব দেশেই উন্নতি ঘটে। বাংলাদেশেও তা ঘটছে। যে সব দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নেই, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তবে আমাদের কিছু লোক চায় না দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করুক। কারণ, দেশ অশান্ত থাকলে তাদের ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিল হয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুব সীমিত। সবচেয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন বাঙালিরা। অথচ বিদেশিরা যখন আমাদের কোনো পরামর্শ দেন তখন সেটি হাস্যকর। কারণ, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ, যে দেশের মানুষ মানবতা, গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের জন্য রক্ত দিয়েছেন। এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। দুনিয়ার আর কোথাও এমন নজির নেই। অথচ বিদেশিরা আসে আমাদের বোঝাতে। কিন্তু এ দেশের প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে ডেমোক্রেসি আছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে বিরোধীদলীয় অনেক নেতা আছেন যারা চান না আমাদের দেশ উন্নত হোক। তারা তাদের ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দুশ্চিন্তায় থাকেন। এজন্য তারা বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে লোকজনকে উসকে দেন। দেশ অশান্ত হলে তারাও কিন্তু শান্তিতে থাকবেন না। বিশ্বের যে সব দেশে যে পক্ষ অশান্তি সৃষ্টি করেছে তারাও কিন্তু শান্তিতে নেই। কিন্তু নিজের পা কেটেও তারা অন্যের ক্ষতি করতে চায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সাথে সহমত পোষন করেছেন রজেনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাঁরা বলছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতি ভুলে যেতে পারে না। সেখানে বলা হয়েছিল “তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো”-এই মহান উক্তিটি বাঙালি জাতির সত্ত্বায় জাগ্রত হলেই স্বার্থান্বেষী মহলের রক্তচক্ষু ভেদ করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে দীক্ষীত হলে- বিদেশিদের এতো পাত্তা দেয়ার কী আছে?
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।