ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির দৌড়ে এগিয়ে ড. মশিউর রহমান

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ০৫ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আজ শেষবারের মতো ভাষণ দেবেন। আজ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছে। সংসদের রীতি অনুযায়ী নতুন বছরের শুরুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটাই আবদুল হামিদের ভাষণ শেষ। নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ শুরু করেছে। গতকাল আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন যে, রাষ্ট্রপতির জন্য সংবিধান পরিবর্তন হবে না। সংবিধান সম্মতভাবেই এবং সংবিধানে বেঁধে দেওয়া সময় সীমার মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করবে সরকার। 

আগামী এপ্রিলে আব্দুল হামিদের রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল হামিদ। সেই হিসেবে তিনি আর রাষ্ট্রপতি হবার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না। এই জন্য সংসদকে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে একজন নতুন রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করতে হবে। নতুন রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন? এ নিয়ে নানারকম আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে নাটকীয় কোনো পরিবর্তন না হলে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে পারেন ড. মশিউর রহমান। 

ড. মশিউর রহমান প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন ড. মশিউর রহমান। পচাঁত্তরের পরবর্তী সময়ে সরকারি চাকরিতে থাকলেও নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে তাকে সময় অতিবাহিত করতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সরকার গঠন করলে ড. মশিউর রহমান প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন এবং সেই দায়িত্ব তিনি এখন পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন হিসেবে বিবেচিত ড. মশিউর রহমান। নানা কারণে ড. মশিউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

প্রথমত, রাষ্ট্রপতি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী এবং সরকার একজন আস্থাজানক ব্যক্তিকে সবার আগে বিবেচনা করবে। বিশেষ করে ১৯৯৬ সালে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে রাষ্ট্রপতি করার পর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা আওয়ামী লীগের হয়েছে সেখান থেকে আস্থা এবং বিশ্বাসের বিষয়টি সবার সামনে চলে এসেছে। সে বিবেচনা থেকে ড. মশিউর রহমান সন্দেহাতীতভাবেই আস্থাশীল এবং বিশ্বস্ত। এবারে যিনি রাষ্ট্রপতি হবেন তার নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবার অনেক জটিল সমীকরণের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে বিরোধী দল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। সেই বিবেচনায় ড. মশিউর রহমান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি একজন গ্রহণযোগ্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে সুশীল সমাজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহ বিভিন্ন মহলের আস্থাভাজন হতে পারে এমন বিবেচনা  করছে আওয়ামী লীগ। 

দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রপতি হিসেবে একজন মার্জিত রুচিশীল ব্যক্তিকে খুঁজছে আওয়ামী লীগ এবং সে বিবেচনা থেকে ড. মশিউর রহমান উচ্চ শিক্ষিত এবং যথেষ্টভাবে দলের বাইরে গ্রহণযোগ্য। এসমস্ত বিবেচনা থেকেই ড. মশিউর রহমান আগামী রাষ্ট্রপতি হতে পারেন এমন গুঞ্জন আওয়ামী লীগের শোনা যাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাজেই তিনি যাকে বিবেচনা করবেন তিনিই হয়তো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন।  

সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার কথা। কাজেই আওয়ামী লীগ যাকে মনোনীত করবে তিনি হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি   ড. মশিউর রহমান   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজের অভিনন্দন

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।

বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।

প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


অস্ট্রেলিয়া   এন্থনি এলবানিজ   বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা ডিপ্লোমেসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।

বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।

কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।

প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।

তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।


বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জো বাইডেন   ডোনাল্ড লু   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বেতন-ভাতা ফেরতের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ‘২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যা্লেঞ্জ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।’

ছাগলনাইয়া উপজেলা   মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় জেরে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দদিঘলিয়া গ্রামে বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূইয়ার সমর্থকদের ছোড়া গুলিতে ওসিকুর ভূইয়া নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদর সহ উপজেলার সর্বত্র উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দোষীদের ফাঁসির দাবীতে মাঠে নামে হাজার হাজার লোক।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজার এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ারে আগুন ধরিয়ে রাস্তার উপর বসে আন্দোলন করতে থাকে। এতে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ড়ক অবরোধ চলাকালে রাস্তার উভয় পাশে ৫শতাধিক বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন আটকা পড়ে।

পরে পুলিশের অনুরোধে বেলা ১টায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি নামানো হয়েছে।

আগামী রোববার (১৯ মে) ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচী গ্রহন ও চলমান আন্দোলন অব্যাহতের ঘোষনার মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনকারীরা।

গতকাল মঙ্গলবারও (১৪ মে) তারা নিহতের লাশ নিয়ে জেলা সদরের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।


নির্বাচনী সহিংসতা   সড়ক অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে পশু বেশি আছে প্রায় ২৩ লাখ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে চেয়ে ২২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টি অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
 
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের মত এবারও কোরবানির পশুর চাহিদা নিরুপন করা হয়েছে। কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টি অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৬৭টি যা গতবারের চেয়ে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৪ টি বেশি। ফলে কোরবানির পশু নিয়ে কোনরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই। 

আমরা সুন্দরভাবে আসন্ন ঈদ উল আযহা উদযাপন করতে চাই উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ঈদ-উল-আযহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদযাপন করা যায় সে লক্ষ্যে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে। কোরবানির পশুর জন্য অতীতে পর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। কিন্তু আমরা এখন দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারছি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে অবৈধ উপায়ে গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ যেন না ঘটতে পারে সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, খামারি ও উদ্যোক্তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করায় প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ খাতে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। 

কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহবান জানিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোন খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোন খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পাবে না। এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার জন্য তিনি খামারিদের পরামর্শ প্রদান করেন।  

মন্ত্রী বলেন, গতবছরের ন্যায় এবছরও অনলাইন প্লাটফর্মে সারাদেশে কোরবানির পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা চালু থাকবে। যা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য সুখকর অবস্থা তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন, লাভের আশায় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বা রোগাক্রান্ত পশু যাতে কেউ বিক্রির চেষ্টা না করে। প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কিনা বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কিনা তারা সেবিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে বলে মন্ত্রী এসময় জানান।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যাতে না হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হট লাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। পশুর হাটে কোন রকম সমস্য হলে হট নম্বরে কল করলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, রেলপথ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি প্রমুখ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

কোরবানি   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান   প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন