ইনসাইড বাংলাদেশ

সাকরাইন উৎসব: পুরান ঢাকায় ঘুড়ি বেচাকেনার ধুম

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail সাকরাইন উৎসব, পুরান ঢাকার ঘুড়ির দোকান।

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে পৌষ মাসের শেষ সপ্তাহ চলছে। দুদিন পার হলেই বাংলা বর্ষপঞ্জিকার মাঘের প্রথম দিন। পৌষ মাস শেষ হলে মাঘের প্রথম দিন উদযাপন করা হয় পৌষ সংক্রান্তি বা সাকরাইন উৎসব। তবে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পৌষ মাসের শেষ দিনটিকে পৌষ সংক্রান্তি হিসেবে পালন করে থাকেন। এ দিনটিকে সামনে রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকায় চলে ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব।

সেই ঐতিহ্যের আলোয় পৌষের শেষ দিনটিকে রঙিন করে তুলতে মেতে উঠেছেন পুরান ঢাকাবাসী। উৎসব ঘিরে পুরান ঢাকার অলিগলিতে চলছে ঘুড়ি বেচাকেনার উৎসব। নারী, শিশু, তরুণ, বৃদ্ধসহ সবাই কিনছেন ঘুড়ি, নাটাই, সুতা। চলছে সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার কাজ। পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারে চলছে ঘুড়ি ধুম বেচাকেনা।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দোকানে দোকানে হরেক রকমের ঘুড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রঙ বেরঙের ঘুড়ি আর নাটাই-সুতা সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। এই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামের ঘুড়ি। ঘুড়ির নামগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- চোখদার, চশমাদার, কাউটাদার, লাভবার্ড, পঙ্খিরাজ, প্রজাপতি, চক্ষুদার, ঈগল, সাদাঘুড়ি, চার বোয়া, দুই বোয়া, টেক্কা, লাভঘুড়ি, তিন টেক্কা, মালাদার, দাবা ঘুড়ি, বাদুড়, চিল, অ্যাংগ্রি বার্ডসসহ হরেক রকমের এবং রঙের ঘুড়ি।


পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারে ঘুড়িভেদে দামও ভিন্ন। এবারের চলমান কাগজ সংকট ও কাগজের মূল্য বৃদ্ধির ফলে ঘুড়ির দামও বেড়েছে। একেবারে সাদামাটা ঘুড়ি মিলছে ৮ টাকায়। যেগুলো মূলত গত বছর ৫ টাকা ছিল। হাতেগোনা কয়েকটি দোকান ছাড়া ১০ টাকার নিচে ঘুড়ি নেই শাঁখারিবাজারে। এছাড়া দেশি ঘুড়ির দাম বেড়ে ৫ টাকা থেকে হয়েছে ১০ টাকা।

এ ছাড়াও, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিদেশি ও নকশা করা ঘুড়ি। সেগুলোর দাম ১৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা। নানা রকমের বাটিওয়ালা, মুখবান্ধা, লোহা নাটাই, কাঠের নাটাই, চাবাডি নাটাই বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য সুতাও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। যেমন- ড্রাগন সুতা, ভুত সুতা, বিলাই সুতা। সুতাভেদে দাম ১৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

শাঁখারিবাজারে ঘুড়ি কিনতে এসেছে পোগজ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তামিম ও হাসান। তারা বলছে, প্রতি বছর শাঁখারিবাজার থেকে ঘুড়ি কিনি। এখানে দাম একটু কম। তবে এবার ১০ টাকার নিচে ঘুড়ি নেই। সাকরাইনের জন্য ১৫ টি ঘুড়ি কিনেছি।


রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে সন্তানকে নিয়ে ঘুড়ি কিনতে এসেছেন অন্তরা সেন। তিনি বলেন, সাকরাইনে বাচ্চাদের আনন্দ হচ্ছে ঘুড়ি ওড়ানো। সেজন্য আমি নিজেই নিয়ে এসেছি। পড়াশোনার চাপ সামলে এ দুইদিন তারা আনন্দ করবে। এই দিনে আমরা বাড়িতে বিভিন্ন পিঠা বানিয়ে থাকি। বাড়িতে মেহমান আসে। বাচ্চাদের বন্ধু-বান্ধবরাও আসে।

শাঁখারিবাজারের ঘুড়ির দোকান শঙ্খশ্রী ভাণ্ডার। এর মালিক চন্দন রায় বলেন, এবার পাইকারি বেচাকেনা কম। খুচরা ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ না থাকায় এখনো ক্রেতা কম। আগামীকাল বেচাকেনা আরও বাড়বে।


খুচরা বিক্রেতা সুবীর নন্দী বলেন, ‘বেচাকেনা স্বাভাবিক। তবে, কাগজের দাম বাড়ায় ঘুড়ির দামও বেড়েছে। বিগত ৫-৬ বছরের পর এবার ঘুড়ির দাম বেড়েছে। ঘুড়ির কারিগররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের বেশি দাম ঘুড়ি কিনতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আগামী শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব শুরু হবে। এ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে চলবে পিঠাপুলির উৎসব। সন্ধ্যার পর বর্ণিল ফানুশ উড়ানো ও আতশবাজি হবে।


সাকরাইন উৎসব   পুরান ঢাকা   ঘুড়ির দোকান   ঘুড়ি উৎসব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আহত ৩


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।

 

আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’

 

শ্রীপুর গ্রামের সাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি মঙ্গলবার (১৪ মে) চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথরের ডিপোতে ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী পাই, এরপর এটি পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে নিয়ে গেলে বিষ্ফোরণ ঘটে।’

চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’


ডেটোনেটর   বিস্ফোরণ   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে কেটেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের বন্দিজীবন

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি নাবিকেরাসহ গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশে ফিরেছেন। পরে বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে জিম্মি হওয়া জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ জিম্মি দশার শেষ দিকের ঘটনা ও বন্দিজীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে। জাহাজে ঈদের নামাজের ধারণ করা ছবি বাইরে চলে যাওয়ায় দস্যুরা খেপে যায়। জাহাজের চিফ অফিসারের (আতিক উল্লাহ খান) ক্যামেরায় ঈদের নামাজের ছবি ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য দস্যুরা অ্যাকশন নিতে চেয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দস্যুদের যে কমান্ডার ছিল, তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেছি। না হলে ওদের কড়া নির্দেশ ছিল, চিফ অফিসারকে মারার জন্য। যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হয়েছে, সেটি দস্যুরা নিয়ে গেছে। ক্যামেরা আর ফেরত দেয়নি।’

জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।

গত রোববার (১২ মার্চ) সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি জিম্মি করে। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা। জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।
জিম্মি দশার শুরুর দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘জিম্মি দশার প্রথম দিন সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। যেহেতু আমরা কেউ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হইনি। এ ধরনের অস্ত্রও দেখিনি। দস্যুদের হাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সব নাবিক ভীত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ

বন্দিজীবনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।’

দস্যুদের হাতে বন্দী থাকার দিনগুলোয় কীভাবে নাবিকেরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেট চালু ছিল। স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অন ছিল। ডিসপ্লে বন্ধ করে সব চালু রেখেছিলাম। এটা দস্যুদের আমরা বুঝতে দিইনি। এভাবে আমরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।’

সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।

খুব দ্রুত জিম্মি দশার অবসান হওয়ায় কেএসআরএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহজাহান, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি নাবিকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, বন্দিদশার সময় নানা পর্যায়ে সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভোলার নয়।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে নতুন করে নাবিকদের ২৩ জনের দল যোগদান (সাইন ইন) করেছে। জাহাজের কর্ম থেকে অব্যাহতি (সাইন অফ) নিয়েছেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরা ২৩ নাবিক। আবার সাগরে যাবেন কি না কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে।’


এমভি আবদুল্লাহ   সোমালিয়ান জলদস্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: নির্বাচনী অফিসকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৬


Thumbnail

যশোরের শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনি অফিস করাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্তত ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে।

 

বুধবার (১৫ মে) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গোগা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ (৬০), ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন (৪৪), গোগা এলাকার জয়নালের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্রো (৪০), একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল ওহাব (৪৫) ও ইদ্রিস (৪৫) ।

 

তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ২১ মে যশোরের শার্শা উপজেলায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। 

 

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,প্রায় ৩/৪ মাস আগে গোগা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবর রহমান সহ তার লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের গোগা বাজারে অবস্থিত একটি ভাড়াটিয়া মুদি দোকান জোরপূর্বক  দখল করে নেয় এবং দোকানে তালা দিয়ে দোকানের চাবি বাজার কমিটির সেক্রেটারি ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নিকট রক্ষিত রাখে। বুধবার (১৫ মে) ঘটনার সময়ে রশিদ চেয়ারম্যান উক্ত দোকান ঘরটি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহারাব হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী অফিস করার লক্ষ্যে মোহাম্মদ আলীর নিকট দোকানের চাবি চাইলে দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়।

 

এসময় তিনি উক্ত দোকানের তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে এবং চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী অফিস হিসাবে ঘোষনা করেন।

 

এসময় বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবরকে দোকানের তালা ভাঙ্গার বিষয় টি অবগত করে তরিকুল মেম্বার, বাবুল, শাহ আলম মেম্বার, সাহেব আলী সহ আরো ১০/১২ জনের একটি বাহিনী লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়।

 

সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, ‘আমরা উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী সোহারাব হোসেনের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রার্থনা করে গোগা বাজারে এসে জসিম এর দোকানে বসে ছিলাম। আমাদের পক্ষে দিন দিন জনসমর্থন দেখে তবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সয্য করতে না পেরে তারা আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চলিয়ে আমি সহ আমার ৫/৬ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।’

নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, ‘এ ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। গোগা ও ভুলোট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’ 


উপজেলা নির্বাচন   নির্বাচনী অফিস   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহযোগিতাকারীদেরপিটিয়ে লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ আছেবলে হুমকি দিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে একটি নির্বাচনি সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন- “যারা তাদের সহযোগিতা করে আগে তাদের পিটাইয়া লম্বা করেন। একদম সোজা করে পিডান। এটা আমাদের বহু উপরের নির্দেশ, এটা অনেক উপরে আলোচনা হইছে।

গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই নাঙ্গলকোট) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের ছোট ভাই। তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান সারওয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর বাজারে নিজের কাপ-পিরিচ প্রতীকের পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়েছে। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, “যার যা আছে তা নিয়ে আপনারা প্রস্তুত হন। সাড়ে তিন হাইত্যা লাডি, আড়াই হাইত্যা লাডির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র অইতে পারে না। এডা আরম্ভ করেন, দেখবেন সব দালালের দালালি বন্ধ হয়ে যাবে। সব সোজা হয়ে যাবে।

এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম সারওয়ার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “হ্যাঁ আমি এসব বলেছি। সমস্যা কী? এতে কি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে? আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিনিয়ত আমার নেতাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আত্মরক্ষার্থে আমি এসব কথা বলেছি।

২১ মে দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন।

হেলিকপ্টার প্রতীকের আবদুল হাই বাবলু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের টানা তিনবারের ভাইস চেয়ারম্যান কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবলু কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী। অপর চেয়াম্যান প্রার্থী হলেন- ব্যবসায়ী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন।

প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, “একটি অবাধ সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি প্রার্থীরা এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না- যাতে করে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হয়।


উপজেলা   পরিষদ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৪৩ বছরের পুরনো বাস সড়কে চলে কীভাবে?

প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৩ বছরের পুরনো বাস সড়কে কীভাবে চলে? বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারকে এমন প্রশ্ন করেছেন সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সড়কে ৪৩ বছরের পুরনো গাড়ি কী করে চলে? এতদিন কি তাহলে বিআরটিএ ঘুমিয়ে ছিল? বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সমন্বয় সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার কথা বলার চেষ্টা করলে ওবায়দুল কাদের উচ্চস্বরে বলেন, ৪৩ বছর, ফোর্টিথ্রি ইয়ার্স। চট্টগ্রামে যে গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে, তার বয়স ৪৩ বছর। সেটা কি আপনাদের নজরে আসে না?

উল্লেখ্য, গত ২২শে এপ্রিল মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বেলা সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগর এলাকায় বাসের ধাক্কায় মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুজন শিক্ষার্থী। পরে জানা যায়, ওই বাসটি ছিল ৪৩ বছরের পুরনো, কোনো ধরনের ফিটনেস ছাড়া লক্কড়ঝক্কর বাসটি রাস্তায় চলছিল।

সমন্বয় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এই শহরের গাড়িগুলোর দিকে তাকানো যায় না। আমি টেলিভিশনে লক্ষ্য করি, আফ্রিকার ছোট ছোট দেশগুলোর রাজধানীতেও গাড়ি চলে। রকম লক্কড়ঝক্কর, গরিব-গরিব চেহারার গাড়ি নেই। এর চেয়ে মফস্বলের গাড়িগুলো বেটার। এই কথাটা আমি কত যে, বললাম! আপনারা একটা কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না, সেটা হলো ডাম্পিং করার জায়গা নাই। আজকে ডাম্পিং করলে পরের দিন দেখা যাবে ওই সমস্ত গাড়ি রাস্তায় নাই।

যারা এবার এই সমস্ত কথা বলেন, তারাই পরের দিন বলেন- জনদুর্ভোগ হচ্ছে। বিআরটিএ অনেক প্রোগ্রাম, অনেক প্ল্যান তারপর রেজাল্টটা কী? তিনি বলেন, আমি রেজাল্ট চাই তিনটা। একটা হচ্ছে- যানজটমুক্ত, আরেকটা হচ্ছে- দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং সড়কে পরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরানো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিনিয়ত আমাকে এগুলোর জন্য কথা শুনতে হয়। গত ঈদে আগের চেয়ে ঈদের পরে দুর্ঘটনা বেশি এবং সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলো তো মন্ত্রী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেই আমার কাছে কষ্ট লাগে। এই বছরের চাইতে আগামী বছর দুর্ঘটনা কম হবে- এটাই তো হওয়া উচিত। না হলে আমরা টিম হিসেবে কাজ করছি কেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা ডিজিটালাইজেশন করেছেন, নানা কিছু করে ফেলেছেন। আসলে এগুলোর তো রেজাল্ট কোনো কিছু পাচ্ছি না। রেজাল্ট না পেলে এগুলো করে কী লাভ? কথা তো শুনতে হয় আমাকে। বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে তো কেউ কিছু বলে না।

সভায় রাজধানীর ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকে স্ক্র্যাপ বা ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তে একমত প্রকাশ করেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ।


বাস   সড়ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন