ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে আ.লীগের জনসভায় মানুষের ঢল আনবে: লিটন

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি লোক হয়নি। তাদের সমাবেশে মানুষ আসেনি। মানুষ আসার কোন কারণ খুঁজে পায়নি। আগামী ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের জনসভায় মানুষের ঢল নামবে।’

২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘ছয় মাসের মতো হলো বিএনপি নামক একটি দল, একটি বিষফোঁড়া বাংলাদেশের রাজনীতি, দেশের পরিবেশ অশান্ত করে তুলছে। তারা একেকবার একেক কথা বলছে। কখনও বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি আদায় ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, কখনও বলছে নির্বাচিত সরকার যিনি আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার, সেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। কখনও ২৭ দফা দাবি করছে, কখনও ১০ দফা দাবি করছে।’

খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, ‘এই জনসভাটি অতীতের জনসভার চেয়ে অনেক মানুষের সমাগম হবে। মানুষের ঢল নামবে এখানে। এর মাধ্যমেই আমরা প্রমাণ দিব, নেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে জনগণ প্রস্তুত আছে। বলামাত্রই যে কোন অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার মতো ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে।’ তিনি জনসভায় যথাসময়ে হাজির হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপি ও প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার। সভা সঞ্চালন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, খাদ্য মন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী -৩ (পবা-মোহনপুর)  আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট,  সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. হোসেন আলী হাসান, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান।

গত ৩ মে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগের দিন রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলার সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাইবাছাই চলছে।

গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। 


ডিবি   কার্যালয়   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে কিনা এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ধরনের অবস্থানের কথা জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের সময় র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইতিবাচক কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। সে সময় ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছিলেন যে, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সালমান এফ রহমান এটাও বলেছেন যে, এটা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের হাতে রয়েছে এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর এবং হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে তাদেরকে তাগদা দিচ্ছে।

আর এরকম একটি বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে এমন আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এই আশাবাদে জল ঢেলেছেন হোয়াইট হাউসের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে, র‌্যাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে এমন দাবি সঠিক নয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য।

উল্লেখ্য, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। আর তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, অতীতের তিক্ততা ভুলে তারা সামনের দিকে এগোতে চায়। এরকম একটি বাস্তবতায় অনেকেই মনে করেছিল যে, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সরকার ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। বিশেষ করে ডোনাল্ড লু’র এই সফরের পর সরকারের অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। তবে এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্যের ফলে ভিন্ন সুর পাওয়া গেল।

তবে কূটনৈতিক মহল বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নানামুখী হয় এবং তাদের প্রকৃত অবস্থান বোঝা অত্যন্ত কষ্টকর। নির্বাচনের আগেও যেমন ডোনাল্ড লু, আফরিন আক্তারের অবস্থানের সঙ্গে জ্যাক সুলিভানের অবস্থানের মিল ছিল না। এমনকি শেষ দিকে পিটার ডি হাসের অবস্থানের সঙ্গেও হোয়াইট হাউসের অবস্থান এক রকম ছিলনা। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই নানা প্রসঙ্গে বিভিন্নরকম মতামত থাকে। তাই ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে সালমান এফ রহমান যা বলেছেন কিংবা বেদান্ত প্যাটেল যা বলেছেন তার মধ্যে কোনটি সত্যি তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তবে র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সেখানে এ বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করার জন্য একটি লবিস্ট ফার্মকেও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের কাজও বহুদূর এগিয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা এটি বলে দেয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সেটি প্রত্যাহার করাটা অনেক জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার।


র‌্যাব   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   ডোনাল্ড লু   হোয়াইট হাউস   স্টেট ডিপার্টমেন্ট   বেদান্ত প্যাটেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থি: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থি। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয়।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মননে, বোধে, জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এই  আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতৃবৃন্দ প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এই সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সাহাবুদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনও শেষ হবে না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক ও তথ্য-প্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এই অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গিবাদের প্রতি সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলন-২০২৪ এর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আনোয়ারা ইসলাম রাণী এবং  ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুকুল বক্তব্য রাখেন।


রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমরা এদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই: আইজিপি

প্রকাশ: ০৬:৩৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা আগামী দিনেও এদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন্স গেটে নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টেরাকোটা মৃত্যুঞ্জয়ী ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, সকলের সহযোগিতায় এদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন প্রজন্ম এই টেরাকোটা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এই সরকারের সময়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশ সাফল্যজনক ভূমিকা পালন করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট পুলিশের রয়েছে।

পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিলেট রেঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আইজিপি।

এ সময় পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমানসহ সিলেট রেঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


মানুষ   আইজিপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ান: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়নোর তাগাদা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এবং এগ্রিকালচারাল কোওপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোওপারেটিভ এসিস্ট্যান্স এর যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ তাগাদা দেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান  চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন। এক সাথে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের উপর জোর দেয়ার জন্য খামারীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কিভাবে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহবান জানান।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউনাইটেড স্টেটস অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে সারাহ গিলেস্কি, এসিডিআই/ভোকা এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সিলভিয়া জে. মেগ্রেট এসময় উপস্থিত ছিলেন।


প্রাকৃতিক   খাদ্য   মৎস্য   প্রাণিসম্পদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন