আন্তর্জাতিক
সোনার বাজার অস্থিতিশীল। তার পার্শ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে দেশের বাজারেও। দেশের বাজারেও
স্বর্ণের মূল্য উর্দ্ধমুখী। সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন
এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
গত বছর গড়ে
প্রায় প্রতি মাসেই বেড়েছে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম। এর মধ্যে গত জুলাই ও আগস্ট মাসেই
দর বেড়েছে ছয় দফা।
গত বছরের ১
জানুয়ারি দেশের বাজারে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল প্রতি ভরি ৪৭ হাজার
৪৭২ টাকা। আর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ হাজার ৩৬১ টাকা। অর্থাৎ প্রায়
এক বছরের ব্যবধানে ভরিতে দাম বেড়েছে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে
সোনার দাম ২০১৩ সালের পর সর্বোচ্চ। সর্বশেষ বুধবার আউন্সপ্রতি সোনার দাম ছিল ১ হাজার
৫৫১ ডলার।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স
সমিতির (বাজুস) তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে সোনার দাম ২০১২ সালের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে
রয়েছে। ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ভালো মানের সোনার ভরি ৬০ হাজার ১৬২ টাকা হয়েছিল; যা
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর। ১৯৭০ সালে সোনার ভরি ছিল মাত্র ১৫৪ টাকা। ১৯৮০ সালে তা
৩ হাজার ৭৫০ টাকা হয়। ১৯৯০ সালে দাম দাঁড়ায় সাড়ে ৬ হাজার টাকা। ২০০০ সালের দিকে দাম
ছিল ৬ হাজার ৯০৬ টাকা। ২০১০ সালে ৪২ হাজার ১৬৫ টাকায় ঠেকে মূল্যবান ধাতুটির দাম।
জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা
বলছেন, তাদের সারা বছরের বিক্রির একটি বড় অংশ হয় ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে,
মানে বিয়ের মৌসুমে। কিন্তু এবার বেচাবিক্রি তাদের প্রত্যাশার অর্ধেকও পূরণ করতে পারবে
বলে তারা মনে করতে পারছেন না। বাংলাদেশে এখন ২২ ক্যারেটের ভালো মানের সোনার দাম ৬০
হাজার ৩৬১ টাকা, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিয়ের বাজার ধরতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স
সমিতি (বাজুস) গত অক্টোবরে প্রতি ভরি (২২ ক্যারেট) সোনার দাম ৫৬ হাজার ৮৬২ টাকায় নামিয়ে
এনেছিল। কিন্তু এরপর চার ধাপে সেই দাম ৬০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। আর সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের
উত্তেজনাকে দায়ী করছেন বাংলাদেশের গয়না ব্যবসায়ীরা।
জুয়েলার্স সমিতি
বলছে, দেশীয় মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে সোনার
দাম বেড়েছে। তাই সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারি জুয়েলার্স সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি দেশের
বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানো হয়।
সোনার দাম আন্তর্জাতিক সোনার বাজার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।