নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
রাজনৈতিক প্রচণ্ড ডামাডোলের মধ্যেই প্রায় সব গণমাধ্যমেই স্থান করে নিয়েছে ফারমার্স ব্যাংকের দুর্নীতি। আর এই দুর্নীতির নেপথ্যের নায়ক ক্ষমতাসীন দলের একজন পতিত রাজনীতিবিদ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। দুদক সহ বিভিন্ন প্রতিবেদনে ব্যাংকটির এই প্রতিষ্ঠাতা চেয়াম্যানের নানা দুর্নীতি অনিয়মের কথা জানা গেছে।
একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, ফারমার্স ব্যাংকে দুর্নীতি হয়েছে কল্পনার বাইরে। নতুন নতুন ক্ষেত্রে দুর্নীতির ক্ষেত্রে সৃষ্টিতে নিজের উদ্ভাবনী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ওই দুর্নীতি ঢাকতে ব্যর্থ হওয়ায প্রতিবেদনে ধরা পড়ে গেছেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের রক্ষাকবচধারী এই রাজনীতিবিদ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন। অবশ্য তার আগেই ব্যাংক ধসটা অবশ্যম্ভাবী করে গেছেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিউদ্দিন খান আলমগীরের মতো আওয়ামী লীগকে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করা রাজনীতিবিদদের কারণেই দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা নিজেরা দুর্নীতি অনিয়ম করে ডোবায় দলকে। প্রশ্নের মুখে ফেলে দলের নিবেদিত রাজনীতিবিদদেরও।
শুধু মহিউদ্দিনই নয় নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান, কক্সবাজারের আবদুর রহমান বদিসহ অনেকেই আওয়ামী লীগকে রক্ষাকবচ করে দল ডোবানোয় মত্ত।
সচেতন আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশ্ন, দলের প্রতি এমন কৃতঘ্নদের বাদ দিলে কী আওয়ামী লীগের বড় ক্ষতি হবে?
অনেক রাজনীতিবিদের মতে, এমন আওয়ামী লীগের বিভীষণদের বাদ দিলে দলের ক্ষতি নয় উপকারই হয় তা ইতিহাসই প্রমাণ করেছে। ফেনীর জলনাল হাজারীর মতো ডাকসাইটে লোকও আওয়ামী লীগ থেকে বাদ পড়েছে। তবে বাদ পড়ার পর আওয়ামীগের ঠিকই জৌলুস বেড়েছে। কিন্তু হাজারী হারিয়ে গেছেন ইতিহাসের আস্তাকুড়ে। শুধু হাজারী নয় এমন অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে, যেখানে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বাদ দেওয়ায় ফলে দলেরই উৎকর্ষই বেড়েছে।
তাই আওয়ামী ঘনিষ্ঠদের প্রশ্ন আওয়ামী লীগকে রক্ষাকবচ করে ক্ষতির কারণ এমন রাজনৈতিক নেতা নামক বোঝাতে আর কতদিন ভার বয়ে চলা হবে। কবে এমন সিন্দাবাদের ভুতদের ঘাড় থেকে নামিয়ে সোজা হতে পারবে আওয়ামী লীগ।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।