ইনসাইড বাংলাদেশ

পাইপ লাইনে আটকে যাচ্ছে উন্নয়নের চাকা

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যথেষ্ট দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সুর্নিষ্ট পরিকল্পনা প্রনয়ণ, অব্যবস্থাপনা  এবং সময়মতো এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তাগিদ না থাকার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও পরিকল্পনা অনুযায়ী যেসব অবকাঠোমো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে, সে সব  প্রকল্পগুলোতে নেই সঠিক মনিটরিং ব্যবস্থা, যে কারণে যথাসময়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলেও দেশের অর্থনীতিতে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইপ লাইনে আটকে যাচ্ছে সরকারের উন্নয়নের চাকা। সরকারের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অব্যবস্থাপনার কারণেই সময়মতো এসব প্রকল্প সফলতার মুখ দেখছে না। ফলে বৈদেশিক সহযোগীতায় যেসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে, এসব প্রকল্পের ঋণের টাকা পাইপলাইনে আটকে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের গত পাঁচ মাসে বিদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেনে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল প্রায় ১১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। 

এদিকে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) এক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গ। বাংলাদেশের প্রথম সফর হিসেবে তিনি ঢাকায় তিন দিন অবস্থান করবেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।    

সূত্র জানায়, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের বিপরীতে মান হারিয়েছে টাকা। আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলার সংকট চলছে। টান পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। অথচ বাড়ছে পাইপলাইনে থাকা বৈদেশিক ঋণ সহায়তার অর্থের পরিমাণ। সর্বশেষ হিসাবে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলার। এই অর্থ দেশের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চেয়েও অনেক বেশি। বিভিন্ন প্রকল্প বা বাজেট সহায়তার আওতায় এই অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে উন্নয়ন সহযোগীদের। গত জুন মাস পর্যন্ত পাইপলাইনে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের মতো।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুত অনেক অর্থ সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে অর্থছাড়ের সুযোগ নেই। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে পাইপলাইনের অঙ্ক বেড়ে যায়।

জানা গেছে, বিভিন্ন প্রকল্প বা কর্মসূচিতে অর্থায়নের বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। আলোচনায় ঠিক হয় কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় বা কী ধরনের অর্থায়ন হবে। নীতিগতভাবে সম্মত হওয়ার পর উন্নয়ন সহযোগী কর্তৃপক্ষ অর্থায়নের বিষয়টি অনুমোদন করে। এর পর তাদের সঙ্গে ঋণ বা অনুদান চুক্তি সই করে ইআরডি। এটিই মূলত অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি। আর চুক্তির পর ছাড় না হওয়া মোট অর্থকে পাইপলাইনে থাকা অর্থ বলে বিবেচনা করা হয়। চুক্তি অনুসারে উন্নয়ন সহযোগীদের অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করে থাকে। সে জন্য পাইপলাইনে অর্থ থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন ঝুলে গেলে অর্থছাড়ও কমে যায়। আবার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও অর্থছাড় করে না উন্নয়ন সহযোগীরা। এ ছাড়া উন্নয়ন সহযোগীদের নানা শর্তের কারণেও বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। এভাবে পাইপলাইনে থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।

ইআরডি সূত্র জানায়, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতির অব্যবহৃত বা পাইপলাইনে থাকা অর্থের পরিমাণ এখন ৪ হাজার ৯৩৫ কোটি ডলার। অনেকের ধারণা, আগামী মাসগুলোতে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। কারণ, গত কয়েক মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার কমেছে। নভেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়ন হার গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। প্রতিশ্রুত অর্থ ব্যবহার করতে না পারলেও এর বিপরীতে কমিটমেন্ট ফি বা সাভিস চার্জ ঠিকই পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে পাইপলাইনে থাকা অর্থ সবচেয়ে বেশি বিশ্বব্যাংকের। এর পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি। চলতি অর্থবছরে সব মিলিয়ে ১ হাজার ২৩৮ কোটি ডলার ছাড় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডলারের সংকটকালে পাইপলাইনে থাকা অর্থ দ্রুত ছাড় হওয়া দরকার বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি জানান, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ সহায়তা আনার দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয়ের। প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ। আর প্রকল্প ঠিকভাবে বাস্তবায়নে তাগাদা দেওয়া এবং তদারকি করার দায়িত্ব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের। সেটা আমরা করছি। অর্থছাড়ের ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীরা মানসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলে। অপচয় রোধ করে সাশ্রয়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। বাস্তবায়নে অগ্রগতি হলেও সঙ্গে সঙ্গে ডলার দেশে আসবে না। নানা প্রক্রিয়া শেষে বিদেশিরা অর্থছাড় করে। এখন ডলার প্রয়োজন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, অধিকাংশ প্রকল্পেরই বাস্তবায়ন যথাসময়ে হচ্ছে না। এমনকি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত প্রকল্পেও একই অবস্থা। এত গুরুত্ব সত্ত্বেও মিয়ানমারের সঙ্গে রেল সংযোগ প্রকল্প দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটি গত এক যুগেও শেষ হয়নি। ২০১০ সালে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমডি) প্রতিবেদন বলছে, নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ৩৯ শতাংশ। এডিবির ঋণ সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এডিবির ঋণ ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। বাকি ৪ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব। এ পর্যন্ত এডিবি ছাড় করেছে ৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, বারবার সংশোধন করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর নজির হরহামেশাই মেলে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তিসংগত কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হলে সর্বোচ্চ তিনবার সংশোধন করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এত কিছুর পরও গত অর্থবছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি- এমন ৩০০ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি যে সকল কর্মকর্তা এইসব উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তাদের অব্যস্থাপনা, দুর্নীতি প্রবণতা এবং কতিপয় বিরোধী শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের চাকা দ্রুত বেগবান করতে হবে। সম্প্রতি আইএমএফ থেকে যে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহযোগিতা বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে এবং এই ঋণের টাকায় যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে, সেক্ষেত্রেও সরকারকে যথেষ্ট সজাগ ভূমিকা রাখতে হবে। তা না হলে উন্নয়নের যে গতি প্রবাহমান রয়েছে। সে উন্নয়নের চাকা আটকে যাবে।     

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন জানান, সময় মতো ও গুণগত মানে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে তৎপরতা বাড়াতে হবে। বাজেট সহায়তার অর্থ পেতেও উদ্যোগ দরকার। বিশ্বব্যাংকে তাঁর দায়িত্বকালে মাত্র ১৪ দিনেও অর্থছাড় করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিশ্বব্যাংক   এক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গ   বাংলাদেশ   একনেক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইলিশের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা

প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের অন্ত্রের অণুজীবসমূহের গঠন ও বৈচিত্র্য উদঘাটন করে এক অনন্য প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার সন্ধ্যান পেয়েছেন গবেষকরা। সর্বদা রোগমুক্ত মাছ হিসেবে ইলিশের যে গৌরব রয়েছে, যার প্রকৃত রহস্য এই উপকারি ব্যাকটেরিয়া-মনে করেন গবেষকরা।

বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)-এর ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (আইজিবিই) এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় বাংলাদেশের ইলিশের অন্ত্রে অনন্য এই প্রোবায়োটিকের সন্ধান পান গবেষকরা। মেটাজিনোমিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইলিশ মাছের অন্ত্রে এই নতুন প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয়।

গবেষকদের দাবি, উপকারী এই প্রোবায়োটিক বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের মৎস্য চাষে ব্যবহার করা গেলে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। বর্তমানে মৎস্যচাষে মাছ রোগমুক্ত রাখতে বিপুল পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়, যা মাছকে রোগমুক্ত রাখলেও জলজ বাস্তুতন্ত্রের অনেক ক্ষতি করে। এ ধরনের উপকারী প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার জলজ প্রকৃতিকে সুরক্ষিত রেখে মৎস্য চাষে নতুন বিপ্লব আনতে পারে।

গবেষকরা জানান, সমুদ্র থেকে নদীতে বিচরণকারী ইলিশ মাছ কখনো রোগাক্রান্ত হয়েছে, এমন কোনো গবেষণা প্রবন্ধ বা প্রতিবেদন নেই। সুতরাং অত্যাধুনিক মেটাজিনোমিক্স দ্বারা আবিষ্কৃত অনন্য নতুন প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিায়ার শনাক্তকরণ, ইলিশের রোগপ্রতিরোধিতা এবং অন্যান্য অনন্য বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিজ্ঞানীদল মনে করে। এসব ব্যাকটেরিয়াকে আলাদা করে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে প্রোবায়োটিক হিসেবে দেশের মৎস্য চাষে ব্যবহারে সম্ভাবনাও উজ্জ্বল।

গবেষণাদলের প্রধান বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)-এর ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (আইজিবিই)’র অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ড. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, এই গবেষণায় শনাক্তকৃত ব্যাকটেরিয়াসমূহের মধ্যে ল্যাকটোকক্কাস, মরগানেলা, এন্টেরোকক্কাস, অ্যারোমোনাস, শিওয়েনেলা, পেডিওকক্কাস, লিওকোনস্টক, স্যাক্কারোপোরা এবং ল্যাকটোব্যাসিলাস উল্লেখযোগ্য প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া হিসেবে তাৎপর্য বহন করে। এই প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াগুলি বৈচিত্র্যময় সামুদ্রিক এবং নদীর বাস্তুতন্ত্রে বিচরণকারী ইলিশের অনন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্বাদ ও ফিটনেসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

গবেষণা দলের সঙ্গে যুক্ত ড. এম. নাজমুল হক বলেন, এই গবেষণার একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হলো, নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়ার (সাইনোবাকা, সায়েনোকক্কাস, গেমাটা সেরেনিকক্কাস, স্যাক্কারোপলিস্পোরা এবং পলিনেলা) শনাক্তকরণ যা পূর্বে কোনো মিঠাপানি বা সামুদ্রিক মাছের প্রজাতিতে রিপোর্ট করা হয়নি। সমষ্টিগতভাবে, এই গবেষণায় রিপোর্ট করা ইলিশ মাছের ব্যাকটেরিয়োম এবং শ্রেণিবিন্যাস পর্যবেক্ষণের বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য আরও ব্যাপক গবেষণার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছে।

গবেষণা প্রবন্ধটি উচ্চ ইমপ্যাক্ট বিশিষ্ট বিজ্ঞান সাময়িকী প্লস ওয়ান-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা মেটাজিনোমিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগৃহীত ইলিশ মাছের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার প্রজাতি বৈচিত্র্য এবং এদের আপেক্ষিক সংখ্যা নির্ণয় করেন। তারা বাংলাদেশের প্রধান প্রধান আবাসস্থল যথাক্রমে চাঁদপুর, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, মুন্সীগঞ্জ ও রাজশাহীতে বসবাসকারী ইলিশ মাছের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার কৌলিক বৈশিষ্ট্যাবলি এবং স্বাতন্ত্র্য বিশ্লেষণ করে ইলিশের অন্ত্রে অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কিছু নতুন ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান।

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং এ দেশের একটি ভৌগোলিক নির্দেশক (এও) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এটি একটি আইকনিক ফ্ল্যাগশিপ প্রজাতি হিসেবে বিখ্যাত। স্বতন্ত্র্য এবং ব্যতিক্রমী স্বাদের কারণে ইলিশ মাছের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক মূল্য এবং দেশ ও বিশ্বব্যাপী এর সর্বোচ্চ চাহিদা রয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক আন্তঃসীমান্ত প্রজাতি হিসেবে পরিচিত।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব ছাড়াও, ইলিশ অপরিসীম আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে। ইলিশ মাছের মোট বার্ষিক মূল্য ১৪, ৯৫০ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১.১৫ শতাংশেরও বেশি। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের ৪ মিলিয়ন মানুষের জীবিকার উৎস এই ইলিশ মাছ। এর বাইরে আনুমানিক ২.৫ মিলিয়ন ব্যক্তির বিস্তৃত ভেলুচেইনের সঙ্গে জড়িত। এই অতি চাহিদাসম্পন্ন এবং দামি মাছটি বাংলাদেশের সামগ্রিক মাছ উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রাখে।

ইলিশ   উপকারী ব্যাকটেরিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান আমলারা। একই সঙ্গে দেশে অবস্থিত সরকারি এবং এমপিওভুক্ত কলেজে ব্যাপকভাবে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুকরণ বন্ধ করে বিদ্যমান অনার্স ও মাস্টার্স লেভেলে প্রতি বছর নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিবসে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মুক্ত আলোচনায় এই প্রস্তাব দেন কর্মকর্তারা। এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের জন্য মাস্টার্স এবং উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, আহত ২

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিকে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক। শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে। 

 

নিহত ফজল আলী (২৬) উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে।

 

আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০) ।

 

আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ‘ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমি সহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছি আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’ 

 

জহুরুল আরও জানান, ‘আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।'

 

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'

 

মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা দাবি করেন, ‘গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।’ 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, ‘বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিন জন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুই জনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেঁতলে গেছে।’

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।'


বয়লার বিষ্ফোরন   চালকল   শ্রমিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩, তদন্তে ২ কমিটি

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

আরও পড়ুন: দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: উদ্ধারে যোগ দিয়েছে বিজিবি

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, ‘আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ’।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে, শুক্রবার (০৩ মে) বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এর আগে, গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


দুই ট্রেন সংঘর্ষ   স্টেশন মাস্টার   তদন্তে কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: উদ্ধারে যোগ দিয়েছে বিজিবি

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ পরবর্তী উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় মালবাহী ও যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার কাজের সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।

তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টায় জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে আউটার সিগন্যালে পৌঁছানোর পর লাইন ক্রসিং করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জয়দেবপুর আউটার সিগন্যালের কাজীবাড়ি ছোট দেওড়া এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকসহ আহত ৪জনকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও আহত থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।


ট্রেন সংঘর্ষ   বিজিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন