ইনসাইড বাংলাদেশ

বাজুস’র অগ্রযাত্রায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: সায়েম সোবহান আনভীর

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ২২ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুস’র প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, বাজুসে যারা আছি, আমরা সবাই একটি পরিবার। আমরা সকলে মিলেমিশে এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমাদের এই অগ্রযাত্রা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি বাজুসের অগ্রযাত্রার ভবিষ্যৎ সফলতা কামনা করেন।  

রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) চট্টগ্রাম বিভাগীয় নবনির্মিত অফিস ভার্চুয়ালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুস চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর, সহ সভাপতি সুধীর রঞ্জন বণিক, সিদুল কান্তি ধর, দিলীপ কুমার ধর, হারাধন মহাজন, বিপ্লব বসাক, লিটন কান্তি ধর, যীশু বণিক, সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট অমল কৃষ্ণ ধর, সহ সম্পাদক কাজল বণিক, প্রদীপ গুহ, অমিত ধর, হিরন্ময় ধর, সুকুমার দে, মো. শাহজাহান সিদ্দিকী, খোকন ধর, হাজী মোহাম্মদ নুরুল হক, সুজিত কুমার ধর, কোষাধ্যক্ষ প্রতাপ ধর, কার্যকরী সদস্য মিননাথ ধর, গোপীনাথ ধর, রুবেল কান্তি ধর, তপন কান্তি ধর, স্বপন চৌধুরী, রণি বণিক, মিন্টু ধর, শম্ভু ধর, রাজীব ধর তমাল, বরুণ হাজারী, বিপ্লব কান্তি ধর, স্বপন কুমার ধর, নুরুল আবছার চৌধুরী, রুপন কান্তি ধর, শান্তুনু বণিক ও দিলীপ কুমার বণিক প্রমুখ।



এদিকে, অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব নগরের এস এস খালেদ সড়কের রীমা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বাজুস চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মৃণাল কান্তি ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপর সমিতির প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বাজুস চট্টগ্রাম বিভাগের কার্যকরী সদস্য শম্ভু ধর ও বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা। এসময় বক্তব্য দেন বাজুস চট্টগ্রাম বিভাগের সিনিয়র সহ সভাপতি সুধীর রঞ্জন বণিক, সাবেক সভাপতি লিটন কান্তি ধর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুরেশ চন্দন ধর, সুদীপ কর্মকার, মো. আলমগীর।  

বাজুস চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর বলেন, বর্তমান বাজুস সু-সংগঠিত হওয়ার পেছনে যিনি মুখ্য ভূমিকায় আছেন, তিনি দেশের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তা বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। তার অনুপ্রেরণায় ও নেতৃত্বে বর্তমান বাজুস পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি গতিশীল। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সাংগঠনিক নিয়মে বাজুস পরিচালিত হচ্ছে। জুয়েলার্স ব্যবসায়ী সমাজসহ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা নিয়ে বাজুস চট্টগ্রাম শাখাকে তার ঐতিহ্যগত সুনাম ফিরিয়ে আনতে গিয়ে অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়েছে। আমরা কেবিনেট গঠন করার পর আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবসায়ী ভাই পুলিশী হয়রানির শিকার হয়নি। কোনও ব্যবসায়ী পুলিশী হয়রানির শিকার হয়েছে-এটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান করেছেন।  

বাজুস চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা বলেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, পরিবারতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা ও আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আমার সামনে উপস্থিত সকল ব্যবসায়ীর আন্তরিক সহযোগীতায় বর্তমান কার্যকরী পরিষদ গঠন করেছি। এই পরিষদ সর্বকালের একটা সেরা পরিষদ হিসেবে ব্যবসায়ীদের কাছে পরিচিতি পাবে। বর্তমান কার্যকরী পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংগঠনের কার্যক্রম প্রসারিত করে সবাইকে একই ছাতার নিচে নিয়ে এসেছে।  

বক্তারা বলেন, বাজুসের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবের নেতৃত্বে সারাদেশে স্বর্ণ ব্যবসয়ীরা এখন নতুন করে জেগে উঠেছে। সারাদেশের বাজুস এখন একটি মডেল ব্যবসায়িক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবের নেতৃত্বে আছেন বলেই বাজুস আজ এত টাকা খরচ করে নতুন অফিস করার পরিকল্পনা গ্রহণের সাহস পেয়েছে। একসময় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হতো। কিন্তু বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর, চট্টগ্রামের সভাপতি মৃনাল কান্তি ধর ও সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা নেতৃত্বে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবসায়ীকে কারাগারে যেতে হয়নি। কোনও ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়নি।

বাজুস   সায়েম সোবহান আনভীর   বসুন্ধরা গ্রুপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইএমএফের চাপে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা বাতিলের চিন্তায় এনবিআর

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচিত হওয়ার পর কোনোরকম শুল্ক ছাড়াই বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করতে পারেন সংসদ সদস্যরা। তবে এবার আইনপ্রণেতাদের এমন সুবিধা বাতিলের চিন্তা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্কমুক্ত ব্যবস্থা তুলে দিয়ে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, মূলত আইএমএফের চাপের কারণেই সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা তুলে দেওয়ার পথে হাঁটছে এনবিআর। এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিরা শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিরোধিতা করেন। এ ছাড়া রাজস্ব ঘাটতি পূরণে এনবিআরের কী ধরনের প্রস্তুতি বা কৌশল, তা জানতে চান।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আইএমএফ সাধারণত শুল্কমুক্ত সুবিধার বিপক্ষে। তারা চায় সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়ানো হোক। এজন্য অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে তুলনামূলক কম হারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।’

তবে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা তুলে দেওয়ার চিন্তা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে কি না—দুটি বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর তা নির্ভর করছে। এর মধ্যে আগামী রোববার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এনবিআর চেয়ারম্যানসহ বাজেট সংশ্লিষ্টরা। এরপর আগামী ১৪ মে বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে নতুন করে শুল্কারোপ করার প্রস্তাব করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শুল্কহার হতে পারে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। দেশে গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হারের তুলনায় এটিও অনেক কম। বর্তমানে গাড়ি আমদানির জন্য সিসিভেদে ৮৯ শতাংশ থেকে ৮৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। সেই হিসেবে একটি গাড়ির দাম ১ লাখ টাকা হলে সেটি আমদানির জন্য কমপক্ষে আরও ৮৯ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আর সর্বোচ্চ হার ধরা হলে শুল্ক দাঁড়ায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সূত্র আরও জানায়, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুল্ক খাতে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় অংশ আসবে বকেয়া আদায় ও শুল্কহার পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শুল্ক ছাড় চায় না আইএমএফ। বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতি তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।


আইএমএফ   এমপি   শুল্কমুক্ত গাড়ি   এনবিআর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম নারী চেয়ারম্যান হলেন তারা

প্রকাশ: ১০:৫৩ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। নাসিরনগরে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত রোমা আক্তার পেয়েছেন ৩৪ হাজার এক ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট।

এদিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদে সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আখতার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট। সরকার ফারহানা আখতার সুমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

বুধবার (৮ মে) সুষ্ঠু পরিবেশে এই দুই উপজেলাতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মূলত ধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোটার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম ছিল বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন।


উপজেলা নির্বাচন   নারী চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন ড. ওয়াজেদ মিয়া’

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন দেশে আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। পরমাণু গবেষণায় তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার গবেষণা কর্মের পরিধি ছিল অত্যন্ত ব্যাপক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি নিবেদন করেন গভীর শ্রদ্ধা।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল সুধা মিয়া। অসাধারণ মেধার অধিকারী সুধা মিয়া শৈশব থেকেই ছিলেন শিক্ষানুরাগী, যার প্রতিফলন ঘটে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তারই পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কিছুদিন জেলে কাটান। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে থেকে তাদের সাহস ও শক্তি জুগিয়েছেন। ক্ষমতার কাছে অবস্থান করলেও ড. ওয়াজেদ ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও নিভৃতচারী একজন সহজ-সরল মানুষ।

 


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন   ড. ওয়াজেদ মিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে পরমাণু শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সৎ, নির্লোভ ও নিখাদ দেশপ্রেমিক এ পরমাণু বিজ্ঞানী ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৯ সালের আজকের এ দিনে তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ছাড়াও রংপুর মহানগরী, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন সকালে ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়।

ড. ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক পরীক্ষায় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ঢাবিতে অধ্যয়নকালে ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষা বছরে কৃতিত্বের সঙ্গে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান।


পরমাণু বিজ্ঞানী   ওয়াজেদ মিয়া   মৃত্যুবার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বহিষ্কৃত বিএনপির নেতা

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও সাবেক সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। 

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে জয় পান তিনি। এর আগে তিনি ২ বার পৌর নির্বাচনে মেয়র ও ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করে হেরেছিলেন।

গত মাসে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মোহাম্মদ আব্দুল হামিদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত সীমান্তবর্তী এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ (আনারস) প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট। তার প্রতিদ্ধন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন (দোয়াত কলম) ২৮ হাজার ৭৭ ভোট, প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান কামরুল (হেলিকপ্টার) পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৮৪ ভোট, কৈচাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে আসা সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ আহম্মেদ সারোয়ার জাহান (মোটর সাইকেল) ৬ হাজার ৭২ ভোট ও বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আইনজীবী আবুল হাসনাত তারেক (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ২১১ ভোট। চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ।

এদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন শেখ রাসেল। তিনি (তালা) প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৮৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এ বি এম কাজল সরকার (টিয়া পাখি) পেয়েছেন ২০ হাজার ৬০২ ভোট, হুমায়ুন কবির (টিউবওয়েল) ১৬ হাজার ৭৮৬ ভোট, শাখাওয়াত হোসেন ফকির (চশমা) ১০ হাজার ৩০০ ভোট, সাইফুর রহমান (মাইক) ৭ হাজার ৬০৩ ভোট। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মনোয়ারা খাতুন ময়না। তিনি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৪৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেত্রী সুমি (সেলাই মেশিন) পেয়েছেন ৩০ হাজার ১১৩ ভোট, বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঝর্ণা ঘোষ (কলস) ১৫ হাজার ১৯৮ ভোট, মোছা. হালিমা খাতুন (ফুটবল) ৩ হাজার ৯৪৫ ভোট।
উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৮১ জন। উপজেলায় মোট ৯৪ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।


উপজেলা চেয়ারম্যান   বহিষ্কৃত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন