ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ডিসিদের জানিয়ে দিয়েছি, মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে হবে’

প্রকাশ: ০৮:০৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail ডিসি সম্মেলনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সেবাপ্রার্থীদের সম্মান দেওয়া এবং তাদের সঙ্গে ভালো ব‌্যবহার করার বিষয়টি জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) মনে করিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকদের মনে করিয়ে দিয়েছি, জাতির পিতার সেই কথাটি- মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। যারা সেবা নিতে আসছেন, তারা তোমাদের ভাই, তোমাদের আত্মীয়। তাদের সম্মান দিয়ে চলতে হবে- আমরা সেটা মনে করিয়ে দিয়েছি।’

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের অষ্টম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এ কার্য-অধিবেশন হয়।

ফরহাদ হোসেন বলেন,‘একজন ডিসির এখন অনেক দায়িত্ব। সেই দায়িত্বগুলো তিনি স্মার্টলি পালন করছেন। আমাদের এখন লজিস্টিক সাপোর্ট ও ডিসি অফিসে সুবিধা অনেক বেশি। বাজেটের আকার বড়, তাদের কাজও করতে হচ্ছে অনেক বেশি। সারাদেশে এক হাজার ৭০০ প্রকল্প চালু আছে। প্রকল্পগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়নে ডিসিরা আরও বেশি সম্পৃক্ত হবেন, কাজ করবেন। কাজগুলো সুনিপুণভাবে করতে হবে’ 

প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘আমরা সরকারের পঞ্চম বছরে আছি। ডিসি সাহেবদের একটা কথা মনে করিয়ে দিয়েছি, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জনমুখী জনপ্রশাসনের কথা বলে আসছেন। জাতির পিতারও একই কথা জনমুখী জনপ্রশাসন। আমাদের ডিসিরা যেন সেবা দেওয়ার মানটা একেবারে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারেন, সেজন‌্য কাজ করছি। ওইভাবেই আমাদের নির্দেশনা দেওয়া থাকে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিসি সাহেবরা যাতে একটু পরিদর্শন করেন। লেখাপড়ার মানটা যাতে একটু ভালো হয়।’ বিআরটিএ, ভূমি অফিসে, পাসপোর্ট অফিসসহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিসিদের দৃষ্টি রাখার জন‌্য বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণ যাতে সুন্দর করে সেবাটা পায়। ডিসিদের মধ‌্যে সুন্দর ব‌্যবহার করার গুণ থাকতে হবে। একজন ডিসির কাছে এসে সমস‌্যা বলার জন‌্য মানুষ যাতে স্বস্তি বোধ করেন। মোটিভেশনাল এ কথাগুলো বলেছি।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের আয়ন-ব‌্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে ডিসিরা দায়িত্ব পালন করতে চান- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অ‌্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী গণপূর্ত বিভাগের এ কাজগুলো করার কথা এবং তারাই থাকবে।’

ইউএনওদের বাসভবনে কর্মচারীদের সংখ‌্যা বাড়ানো। পাহাড়ি অঞ্চলে বেশি শক্তিসম্পন্ন গাড়ি বরাদ্দ নিয়ে ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে আমরা একমত। এটি যৌক্তিক দাবি, এটা আমরা আমাদের বিবেচনার মধ‌্যে নিয়েছি।’

আগামী নির্বাচন ডিসিদের দায়িত্ব পালন নিয়ে কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের তেমন আলোচনা হয়নি। আমাদের আলোচনা হয়েছে একজন ডিসি সক্ষমভাবে কাজ করবেন। মানুষের চাহিদা পূরণ করা। মানুষের সেবক হিসেবে তারা কাজ করবেন।’

ডিসিরা অধিবেশনে একাধিক মাস্টার্স ডিগ্রি করাতে পারবেন কি না, তা জানতে চেয়েছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি হ‌্যাঁ, তারা পারবেন। এখন আমরা রাইট ম‌্যান রাইট প্লেসে পোস্টিং দিচ্ছি। এজন‌্য আমরা স্মুথলি কাজ করতে পারছি। অনেক প্রতিষ্ঠান একেবারে পরিবর্তন হয়ে গেছে, খুব ভালো কাজ হচ্ছে।’


ডিসি সম্মেলন   জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী   ফরহাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিক্সন চৌধুরীর বাসায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিক্সন চৌধুরীর বাসায় গিয়েছিলেন। শনিবার (১১ মে) রাতে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বনানীর বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

নিক্সন চৌধুরী তার ফেসবুকে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। রোববার (১২ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সাথে গতকাল শনিবার রাতে আমাদের বনানীর বাসায়.......’

ফেসবুকে সাতটি ছবিও পোস্ট করেছেন নিক্সন। ছবিতে নিক্সন চৌধুরীর মা, স্ত্রী এবং ছেলেকে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ।

নিক্সন চৌধুরীর দাদি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। ২০১৬ সালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মেয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক তারিন হোসেনকে বিয়ে করেন নিক্সন চৌধুরী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য তারিন হোসেন।


নিক্সন চৌধুরী   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে জিনের বাদশা চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২:৪৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও ৬টি সোনালী রংয়ের মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) দুপুরে তাদেরকে জেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ঠাকুগাঁ জেলার জগন্নাথপুর বানিয়াপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ শফিউল আলম ও তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার টেরীপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন, পাবনা আমিনপুর থানার সৈয়দপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে মজিবর রহমান ও বন্দের আলী সরদারের ছেলে আকাশ সরদার।

 

শনিবার (১১ মে) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়গঞ্জ সার্কেল বিনয় কুমার ও সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি') এনামুল হক এক প্রেস রিলিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, সলঙ্গা থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল হাটিকুমরুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছিল। এসময় উত্তরবঙ্গ হতে আসা একটি বাস হতে ৫ জন যাত্রী হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বরে নেমে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠে। সে সময় তাদের নিকটে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ৬টি সোনারী রংয়ের মুর্তি ও বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদীক ঔষধ উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, আসামীরা জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা গ্রামের সহজ সরল লোকদের গুপ্তধন পায়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকে।

 

অনুমান ১০ দিন পূর্বে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন ভাটিকয়া গ্রামে জনৈক মোঃ রেজাউল হকের বাড়ীর পাশে মাটির নীচ হতে একটি পিতলের পাতিল উদ্ধার করে তাতে স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে উল্লেখ করে রেজাউলের বাবার হাতে দেয়। কিন্তু পূর্ব হতেই পাতিলে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় উত্তপ্ত পাতিল হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজাউলের পিতার হাত পুড়ে যায়। সেই সময় প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে জানায় যে, গুপ্তধন এখনো কাচা রয়েছে, যাদু মন্ত্র দিয়ে পাকা করতে হবে। প্রতারকরা রেজাউল ইসলামকে পাতিলটিতে পানি দিয়ে ঠান্ডা করে পুতে রাখতে বলে। পাকা করার পর গুপ্তধন ব্যবহার উপযোগী হবে।

 

এছাড়া প্রতারকরা আরো জানায় যে, তাদের বাড়ীতে আরো গুপ্তধন রয়েছে, এগুলো জিনের মাধ্যম দিয়ে উদ্ধার করতে হবে। গুপধনে ১৮টি স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে যার অনুমান মুল্য ৩৬ লক্ষ টাকা। আপনারা যদি আমাকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমাকে দিয়ে দেন আমি নিয়ে যাবো। কিন্তু সহজ সরল রেজাউল ইসলাম প্রতারকদের প্রতারনা বুঝতে না পেরে তাদেরকে নগদ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কথিত গুপ্ত ধনের পাতিলটি নিজেদের কাছে রাখে এবং ১০ দিন পরে উক্ত কাচা গুপ্ত ধন পাকা করা সহ আরো গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে আসতে বলে। প্রতারক চক্ররা সেদিন রেজাউলের নিকট হতে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।

পরবর্তী আরো বাকি ৫০ হাজার টাকা নেয়ার জন্য শনিবার দুপুরে প্রতারনার উদ্দেশ্যে পাবনা আমিনপুর যাওয়ার পথে হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বর এলাকায় প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানায় প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।


জিনের বাদশা   প্রতারক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমে সয়লাব সাতক্ষীরার বাজার

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই সাতক্ষীরার বাজারে উঠতে শুরু করেছে সুস্বাদু বিষমুক্ত আম। গোবিন্দভোগ, গোলাপখাস, সরিখাস, গোপালভোগ ও বোম্বাইসহ দেশি জাতের নানান পাকা আম। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে প্রতি বছর আগেভাগেই সাতক্ষীরার আম বাজারে আসে।

বর্তমানে শহরের সুলতানপুর বড় বাজার আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখর। আম কেনাবেচায় যেন চাঙ্গা হয়ে উঠছে গ্রামীণ আর্থনীতি।

এদিকে, মান হিসেবে ও শ্রেণিভেদে প্রতি মণ এই আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ফলন কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার দাম দ্বিগুণ।

অপরদিকে, অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে আম ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী, ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ল্যাংড়া এবং ১০ জুন থেকে আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৮ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১০০ চাষি রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৪ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।


আম   সাতক্ষীরা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হত্যাকান্ডের ২৩ দিন পর ৫ আসামী গ্রেপ্তার


Thumbnail শিশু সাকিবুল হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫

শিশু সাকিবুল হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ২৩ দিন পর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মহিলাসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাঁও গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত জাভেদ মিয়ার ছেলে আব্দুল লতিফ (৪৫), তার ছেলে মোশারফ হোসেন খোকা (২১), লতিফের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৪০), একই গ্রামের হাবির হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (২৮)

শনিবার (১১ মে) সকালে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে, বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাজমুল ইসলাম, এএসআই নাজিম উদ্দিন সহ সঙ্গীয় অফিসার্সগণ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে থানা পুলিশ জানায়, গত ১৭ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মোদেরগাঁও গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে স্থানীয় মোকারম বার্ড একাডেমির প্রথম শ্রেনির ছাত্র সাকিবুল হাসানকে () কে স্কুলে যাওয়ার জন্য তাগিদ দেন তার মা রিক্তা বেগম। তখন স্কুলে না গিয়ে সঙ্গে থাকা জামা, স্কুলের ব্যাগ ঘরে রেখে তার মায়ের নিকট থেকে ২০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় সাকিবুল। সারাদিন সে বাড়ি ফিরে না ফেরায় রাতে তার মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনরা তাকে খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান পাননি।

এর পরদিন ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকাল টার দিকে জাদুকাটা নদীতে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা দেখতে পান নদীর খেয়াঘাট সংলগ্ন বালু চরে ডান হাত, ডান পা দৃশ্যমান অবস্থায় একটি লাশ বালু চাঁপা দেয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে থানায় সংবাদ দিলে থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে সাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠায়।

ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, মামলার পর পুলিশ গোপনে প্রকাশ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত শুরু করে। এরপর শিশু সাকিবুল হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সাকিবুল হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারন জানা যাবে বলেও জানান ওসি।


হত্যা   শিশু   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বর্তমানে ৭৬ শতাংশ বেড়েছে স্বাক্ষরতার হার, এটা আমাদের অর্জন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:২৫ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দিনে দিনে শিক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। তারপরও কেউ কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে তারা শিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে, সে সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে, এটা আমাদের দায়িত্ব। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা একটা শিক্ষানীতি করেছি, এখন সেটা বাস্তবায়ন করছি। বিনামূল্যে আমরা বই বিতরণ করছি। আজকে ৭৬ শতাংশ বেড়েছে স্বাক্ষরতার হার, এটা আমাদের অর্জন।

রোববার (১২ মে) সকাল সোয়া ১০টার পর গণভবনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পাস করেছে, তাদের আন্তরিক অভিনন্দন। এজন্য বাবা-মা-অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও অভিনন্দন জানাই।। যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, আমি বলবো, তাতে মন খারাপ করার কিছু নেই। আবার চেষ্টা করলে হয়ত ভালো করতে পারবে। বাবা-মা অভিভাবক যেন এ বিষয়ে গালমন্দ না করেন তাদের। এমনিতেই তো মন খারাপ, তার ওপর অভিভাবকরা রুষ্ট হলে আরও মন খারাপ হবে। কেনো খারাপ ফল করলো, সে কারণ বের করে, তাদের সহানুভূতির সঙ্গে দেখে পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে সুযোগ দেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, ফলাফলে দেখলাম, তিন বোর্ডে ছাত্রের সংখ্যা বেশি। কিছু জায়গায় সমান। অধিকাংশ জায়গায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। এটা আমাদের জন্য সুখবর। এসএসসি পর্যন্ত নারীদের শিক্ষা আমরা অবৈতনিক করেছি। পরীক্ষায়ও ছাত্রী সংখ্যা বেশি। এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে, কেনো ছাত্রের সংখ্যা কম। কী কারণে আমাদের ছাত্ররা কমে যাচ্ছে। পাসের ক্ষেত্রেও মেয়েরা অগ্রগামী। এটা ভালো কথা। কিন্তু ছেলেরা কেনো পিছিয়ে? বের করতে হবে।

শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যার বোর্ডে আপনারা খবর নেন, কী কারণে ছেলেরা পিছিয়ে। ইদানীং কিশোর গ্যাং দেখছি। এগুলো তো আমরা দেখতে চাই না। সেখান থেকে তাদের বিরত করা, একটা সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। আমরা বিবিএসকেও বলবো দেখতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার ২২ ভাগে উন্নীত হয়েছে। এটা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগ, ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৪১ ভাগ করার পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যাতে খেলতে খেলতে শিখতে পারে, সে উদ্যোগ নিতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে আমাদের ছেলেমেয়েদের শিখাতে হবে। জাতির পিতা বলতেন, সোনার বাংলা গড়তে হবে। সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ অপরিহার্য।

এদিন সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। এতে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী   এসএসসি   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন