কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বাণী অর্চনা-২০২৩ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেবো না। আমাদের সংবিধানের মূল নীতি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা, যেটা সংশোধনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদেরও নাই। আর এই ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমি বুঝি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আমরা সবাই বাংলার।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এই মাটি সবার। সবাই একসঙ্গে বসবাস করবে এটা ধর্মনিরপেক্ষতার স্পিরিট। এখানে হীনমন্যতার কিছু নাই। এটাকে যারা উসকাতে চান তারা একাত্তর সালের চেতনাকে বিশ্বাস করে না।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের আইন ও সংস্কৃতি কেমন হবে সেটা আমাদের সংবিধানে উল্লেখ আছে। কার স্ট্যাটাস কেমন হবে সেটাও আছে। আমরা কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ না, আবার কেউ সংখ্যালঘুও না। সবাই আমরা এদেশের নাগরিক। সবার পরিচয় আমরা বাঙালি। কেউ নিজেকে সংখ্যালঘু কমিউনিটির লোক হিসেবে ভাববেন না। এটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের রাসুল (সা.) বিদায় হজের ভাষণে বলে গেছেন, ধর্ম নিয়ে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ সময় প্রধান বিচারপতি ধর্ম পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্মের স্পিরিট ধারণ করে আমরা সৎ থাকবো। দুর্নীতির কাছে যাবো না। মানিলন্ডারিং করবো না। সব ধর্মের মানুষ মিলে এই দেশকে গড়ে তুলবো।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নির্দ্বিধায় এখানে বসবাস করবেন। কোনো রকম সাম্প্রদায়িকতাকে আমরা প্রশ্রয় দেবো না। আমরা একাত্তরকে ভুলে যাবো না। আমরা আমাদের শাসনতন্ত্রকে ভুলে যাবো না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন শাসনতন্ত্র থাকবে, যতদিন একাত্তর সালের চেতনায় থাকবো ততদিন এই দেশের সব মানুষের অধিকার সমান।
পৃথকভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা উদযাপন পরিষদ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সংখ্যালঘু কমিউনিটি সরস্বতী পূজা
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের খুবই আশঙ্কা রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপীই এই কৌশল অনুসরণ করা হয়। সেটা হলো বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় যেন মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। যদি বাইরে থাকে তবে গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যেন না থাকে।
চলমান দাবদাহের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে সোমবার থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন। রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে।