বগুড়া-৪ এবং
বগুড়া-৬ দু’টি আসনের উপ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হলেও ভোটার উপস্থিতি ছিল
অনেক কম। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা বলছেন, আনুমানিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি)
সকাল ১১টায় বগুড়া-৬ (সদর) আসনের আওতায় ঠনঠনিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়
প্রতিটি কক্ষে ৩০ থেকে ৩২টি করে ভোট পড়েছে। এ সময় ভোটারদের কোন লাইন দেখা যায়নি। দুই
একজন করে আসছেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা
উপস্থিত দেখা গেলেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা।
ভোট দিতে আসা
এক ভোটার জানান, কোন লাইন না থাকায় অল্প সময়েই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছেন তিনি।
বগুড়ার সদরের
জুবলি ইন্সটিটিউশনে পুরুষ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪৮৬ জন। এর মধ্যে আধা ঘণ্টায়
ভোট দিয়েছেন ৯৯ জন। নারী কেন্দ্রের ৩ হাজার ৬৫৪ ভোটারের মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট
দিয়েছেন ১২০ জন।
সকাল ১০টায়
বগুড়া সদর উপজেলার ঘুনিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রেও ছিল একই অবস্থা। স্কুলের
বিরাট মাঠ থাকলেও কোন ভিড় দেখা যায়নি। বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রতিটি কক্ষে ১০ থেকে
১২টি করে ভোট পড়ে।
বগুড়া শহরের
চকসুত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ভোটার ৩ হাজার ৭ জন। এর মধ্যে সকাল সোয়া
১০টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৪৬টি।
সদরের সবগ্রাম
কুদরোতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ভোটার ৩ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত
ভোট দিয়েছেন ৩০০ জন।
একই অবস্থা
বিরাজ করে বগুড়া-৪ আসনে। এই আসনেও সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তেমন কোন ভিড় দেখা যায়নি।
দুই একটি ভোট কেন্দ্রে ২০ থেকে ২২ জনের লাইন দেখা গেলেও ভোটারদের দির্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে
ভোট প্রদান করতে দেখা যায়নি।
নির্বাচন উপলক্ষে
দুই আসনে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সদস্যরা
আইনশৃখলা রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
বগুড়ার নির্বাচন
কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, বেলা ২টা পর্যন্ত দু’টি আসনে আনুমানিক ১৫ শতাংশ ভোট
পড়েছে। এরপর কিছু ভোট বাড়ে। বগুড়ার দু’টি আসনেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
বগুড়া জেলা
নির্বাচন অফিস সূত্র জানানো হয়েছে, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ
২৮ হাজার ৪৬৯। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১২টি। আর ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৭৭টি। এর মধ্যে অস্থায়ী
কক্ষ ৪২টি। এই আসনে মোট প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ১১২ জন। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা
৭৭৭ এবং পোলিং অফিসার ১ হাজার ৫৫৪ জন।
বগুড়া-৬ (সদর)
আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন। ভোট কেন্দ্র হবে ১৪৩টি ও কক্ষ থাকবে
১ হাজার ১৭টি। এ আসনে ১৪৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১ হাজার ১৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং
কর্মকর্তা এবং ২ হাজার ৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ করেন।
দুটি আসনের
নির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে নির্বাচনে ১৪ দলীয় মনোনীত
প্রার্থী জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল), জাতীয়
পার্টির মনোনীত প্রার্থী শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মনোনীত
প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ সরদার (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির তাজ উদ্দিন
মন্ডল (ডাব) স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম (একতারা), মুশফিকুর
রহমান কাজল (ট্রাক), কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (কুড়াল), এড. ইলিয়াস আলী মন্ডল (কলার
ছড়ি) ও গোলাম মোস্তফা (দালান) প্রর্তীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বগুড়া-৬ (সদর)
আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু (নৌকা), জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম
ওমর (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক (গোলাপ ফুল), গণফ্রন্টের আফজাল
হোসেন (মাছ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এমদাদুল হক এমদাদ (মশাল), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের
নজরুল ইসলাম (বটগাছ), আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম (একতারা), আব্দুল মান্নান আকন্দ
(ট্রাক), সরকার বাদল (কুড়াল), মুক্তিযোদ্ধা মাছুদার রহমান হেলাল (আপেল), রাকিব হাসান
(কুমির)।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।