ইনসাইড বাংলাদেশ

যে চারটি দেশে সফর করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

চলতি বছর চারটি দেশে সফর করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে দেশগুলোতে সফরের প্রস্তুতি চলছে। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রী আরও দুই/একটি দেশ সফর করতে পারেন। তবে সেসব দেশ সফর এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাতার, জাপান, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব সফর ঘিরে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।

যে দেশগুলোতে সফরের বিষয় চূড়ান্ত হয়েছে সেগুলো হল: কাতার, জাপান, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

কাতার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের প্রথম বিদেশ সফরে কাতার যাচ্ছেন। আগামী ৫-৯ মার্চ কাতারে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের ৪৬ স্বল্পোন্নত দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

জাপান: আগামী এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের প্রস্তুতি চলছে। গত বছর ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে জাপানে কোভিড-১৯ বেড়ে যাওয়া ও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার ফলে প্রধানমন্ত্রীর সে সফর স্থগিত করা হয়। এখন নতুন করে জাপান সফরের প্রস্তুতি চলছে।

ভারত: আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন। জি-২০’র এই সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইতোমধ্যেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি-২০ সম্মেলনে ৯টি দেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ভারত সফরের পরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন। প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেয়৷ এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছর ২৪-৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যান্য দেশ: বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও দুই/একটি দেশে সফরে যেতে পারেন। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর আলজেরিয়া সফরেরও প্রস্তুতি চলছে। তবে সে সফরটির দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।


প্রধানমন্ত্রী   বিদেশ সফর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আজ শনিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যা চালায় বাংলাদেশে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে জাতীয়ভাবে দেশে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হচ্ছে।

ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম গণহত্যা হলেও জাতিসংঘে বা আন্তর্জাতিক প্রাতিষ্ঠানিক কোনো দলিলে এর স্বীকৃতি এখনো নেই।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবারও বান্দরবানের থান‌চি বাজারে আগুন

প্রকাশ: ১২:১৫ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বান্দরবানের থান‌চি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শ‌নিবার (২৫ মার্চ) সকাল সা‌ড়ে ৮টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহা: আবুল মনসুর। 

এ অগ্নিকাণ্ডে থা‌ন‌চি বাজারের ৫০টির মতো দোকান ও ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে থানচি বাজারের টিএন্ডটি পাড়া সংলগ্নের একটি মারমা চা দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং অল্প সময়ে মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

থান‌চি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার পেয়ার মোহাম্মদ জানান, সকাল সা‌ড়ে ৮টার দি‌কে থান‌চি বাজারে আগুন লা‌গে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় ৪৫ থে‌কে ৫০টি দোকান-ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহা: আবুল মনসুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, থান‌চি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল আরও একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় থান‌চি বাজারের ১৮৪টি দোকান পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে প্রায় ২৫ কোটি টাকার মতো। পরে সর্বশেষ ২২ মার্চ ভোর ৬টার দিকে চা‌য়ের দোকান থেকে আগুন লেগে থান‌চির বলিপাড়া বাজারের ৫২টি দোকান ও ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে শ‌নিবার সকা‌লে আবারও আগুন লেগে থা‌ন‌চি বাজারের অর্ধশতা‌ধিক দোকান ও ঘর পুড়ে ছাই হ‌য়ে যায়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপারেশন সার্চলাইট: যেভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছিল হানাদার বাহিনী

প্রকাশ: ০৯:৪২ এএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

২৫ মার্চ, ১৯৭১। সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একরাতের অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে সেই সেনা অভিযানের পরিকল্পনা হয়েছিল তারও এক সপ্তাহ আগে, ১৮ই মার্চ।

রাজনৈতিকভাবে সময়টা ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত করায় তখন বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকা। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে বাঙালি পেয়েছে নতুন দিকনির্দেশনা। ডামি রাইফেল নিয়ে ঢাকার রাস্তায় মিছিল করছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। শহরে ওড়ানো হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

ঢাকায় তখন চলছে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক। আলোচনায় অংশ নিতে জুলফিকার আলী ভুট্টোও রয়েছেন বাংলাদেশে। তবে শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনায় কর্তৃত্ব ফলানোর দাবি খাটবে না, তা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলেন পাকিস্তানি নেতারা। একারণে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর পরিকল্পনা করে পশ্চিম পাকিস্তান।

‘কালরাত্রি’র সেই বর্বর অভিযানের পরিকল্পনা কীভাবে হয়, তা জানা যায় সেসময় ঢাকায় দায়িত্বরত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিকথা থেকে।

যেভাবে হয়েছিল 'অপারেশন সার্চলাইটের' পরিকল্পনা

‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর অন্যতম পরিকল্পনাকারী মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ১৪তম ডিভিশনের জিওসি ছিলেন তিনি।

‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওউন কান্ট্রি ইস্ট পাকিস্তান, ১৯৬৯-১৯৭১’ নামে একটি স্মৃতিচারণমূলক বইয়ে অবসরপ্রাপ্ত এ সেনা কর্মকর্তা লিখেছেন, ১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ রাতে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান টেলিফোনে তার উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী এবং মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজাকে কমান্ড হাউজে ডেকে পাঠান।

সেখানে পৌঁছালে টিক্কা খান তাদের বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার আলোচনায় ‘প্রত্যাশিত অগ্রগতি’ হচ্ছে না। তাই সামরিক ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট। আর সে কারণে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সেই অনুযায়ী ১৮ মার্চ সকাল থেকে ক্যান্টনমেন্টের বাসায় খাদিম হুসাইন রাজা রাও ফরমান আলীর সঙ্গে অপারেশন সার্চলাইটের খসড়া তৈরি করেন।

খাদিম হুসাইন রাজা লিখেছেন, ১৮ মার্চ সকালে তিনি তার স্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন যেন বাঙ্গালি এডিসি’কে ব্যস্ত রাখেন এবং অফিস থেকে দূরে রাখেন। রাও ফরমান আলী সকাল সকাল খাদিম হুসাইন রাজার অফিসে কী করছেন এমন সন্দেহ যেন বাঙ্গালি এডিসির মনে উদয় না হয়, সেজন্যই স্ত্রীকে এ দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

অল্প সময়ের মধ্যেই দুই সেনা কর্মকর্তা পরিকল্পনার পরিসর নিয়ে একমত হন এবং দুজনে দুটি আলাদা পরিকল্পনা লেখেন। ঢাকা অঞ্চলে সামরিক অভিযানের দায়িত্ব নেন রাও ফরমান আলী এবং দেশের বাকি এলাকায় অভিযানের দায়িত্ব খাদিম হুসাইন রাজার।

সন্ধ্যায় খসড়া পরিকল্পনা নিয়ে তারা কমান্ড হাউজে যান। সেখানে খাদিম হুসাইন রাজা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন এবং কোনও আলোচনা ছাড়াই সেই পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন সিদ্দিক সালিক। ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ শিরোনামে একটি বইয়ে তিনি লিখেছেন, জেনারেল রাও ফরমান আলী হালকা নীল কাগজের অফিসিয়াল প্যাডে সাধারণ কাঠ পেনসিল দিয়ে ওই পরিকল্পনা লিখেছিলেন। সিদ্দিক সালিক নিজের চোখে সেই খসড়া দেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন।

খসড়ায় সামরিক অভিযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য বলা হয়েছিল, শেখ মুজিবের ডিফ্যাক্টো শাসনকে উৎখাত এবং সরকারের (পাকিস্তানের) কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

সিদ্দিক সালিক লিখেছেন, অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনার খসড়ায় ছিল ১৬টি প্যারা এবং পাঁচটি পৃষ্ঠা। তাৎক্ষণিকভাবে সেই পরিকল্পনা অনুমোদিত হলেও কবে অভিযান চালানো হবে, তাতে সেই দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল না।

খাদিম হুসাইন রাজা লিখেছেন, ২৪ মার্চ দুটি হেলিকপ্টার নিয়ে তিনি এবং রাও ফরমান আলী ঢাকার বাইরে অবস্থানরত ব্রিগেড কমান্ডারদের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিতে রওয়ানা হন। তারা চেয়েছিলেন গোপনীয়তা বজায় রেখে বিভাগীয় কমান্ডারদের সরাসরি নির্দেশনা দেবেন এবং মাঠপর্যায়ে যদি কোনও সমস্যা থাকে সেটি কৌশলে সমাধান করবেন।

এ দুই কর্মকর্তা যশোর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে যান। সিলেট, রংপুর ও রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে পাঠানো হয় সিনিয়র স্টাফ অফিসারদের।

অভিযানের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ব্রিগেড কমান্ডারদেরদের জানানো হয়েছিল, আঘাত হানার সময় পরে জানানো হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল সব গ্যারিসনকে একসঙ্গে অভিযান শুরু করতে হবে।

অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনার মূল বিষয়গুলো ছিল এমন-

* যেকোনও ধরনের বিদ্রোহ বা বিরোধিতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

* বাঙ্গালি সেনা সদস্য ও পুলিশকে নিরস্ত্র করা হবে। বিশেষ করে পিলখানায় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের অস্ত্রাগার, রাজারবাগের রিজার্ভ পুলিশ এবং চট্টগ্রামে ২০ হাজার রাইফেলের অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ আগেভাগে নিতে হবে।

* অভিযান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সবধরনের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে যাচাই-বাছাই করে যোগাযোগ ব্যবস্থা ফের চালু করা হবে।

* অস্ত্র এবং অপরাধীদের খোঁজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ঘিরে তল্লাশি চালাতে হবে।

* শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবিত অবস্থায় আটক করতে হবে। আরও ১৫ জন আওয়ামী লীগ ও কম্যুনিস্ট পার্টির নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে হবে। তাদের কাউকে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করতে হবে।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশের বিভিন্ন ব্যারাকে ঘুরে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ব্যবস্থার তদারকি করলেও অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনীর কারো কাছেই কোনও লিখিত আদেশ পাঠানো হয়নি।

অভিযানের সময় জানিয়ে মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজার কাছে টিক্কা খানের ফোনটি এসেছিল ২৫ মার্চ সকাল ১১টায়। সংক্ষেপে বলা হয়েছিল, ‘খাদিম, আজ রাতেই।’ সময় রাত ১টা।

এরপরের ইতিহাস তো সবার জানা!



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনায় ছিলেন খাদিম রাজা ও রাও ফরমান আলী

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ঢাকার নিরীহ মানুষ। ঠিক এই সময় ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিপ-ট্রাক বোঝাই করে পাকিস্তানি সৈন্যরা আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে। আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে গর্জে ওঠে তাদের আধুনিক রাইফেল, মেশিনগান ও মর্টার। তাদের জলপাই রঙের ট্যাংকগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ-ইপিআর ব্যারাকের দিকে ধেয়ে যেতে থাকে। রচিত হয় এক কুখ্যাত ইতিহাস।

ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদরদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে তখন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে লাশের পর লাশ। মধ্যরাতের ঢাকা তখন যেন লাশের শহর।

মানবসভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কিত এই হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনায় ছিলেন পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা। তারা হলেন, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। তাদের পরিকল্পনায় সংঘটিত হয়েছিল এই গণহত্যা।

তবে এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো ‘অপারেশন সার্চলাইট’ সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কীভাবে হয়েছিল, সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লেখেন, ১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন।

টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের (ইয়াহিয়া খান) সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি।

রাজা আরও লেখেন, আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।

এর পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তার কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন ‘অপারেশন সার্চলাইট’।

খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও গণহত্যার তথ্য পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তারা যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয়— ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ইউরোপের দেশ রাশিয়ার কাছে হেরেছিল রুমা আক্তার বাহিনী। তবে পরের ম্যাচেই ভারতকে - গোলে হারাল তারা। 

ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন রুমা সুরভী আকন্দরা। একবার গোলপোস্ট আর ভারতের গোলকিপার খুশী কুমারীর হাতে লেগে বল ফিরে আসে। এরপর ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে অপ্রত্যাশিতভাবে গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

ভারতের সীমানার ডান প্রান্তে থ্রো-ইন থেকে আক্রমণ করে বাংলাদেশ। নাদিয়া আক্তার বক্সের ভেতরে উঁচু লব ফেলেন। সেই বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে হেড করেন ভারতের আখিলা রাজন। সেটাই দুভার্গ্যবশত নিজেদের জালেই জড়িয়ে যায়। তাতে উল্লাসে ফেটে পড়ে লাল-সবুজ শিবির। প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ (-) মাথায় হাত দিয়ে হতাশায় বসে পড়েন আখিলা রাজন। 

ম্যাচের অন্তিম সময়ে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। সতীর্থের কাছ থেকে লম্বা-গড়ানো থ্রু পাস পেয়ে বাংলাদেশের বক্সের ভেতরে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়েন ভারতের শিবানী দেবী। বিপদ বুঝে ততক্ষণে সামনে এগিয়ে আসেন স্বাগতিক গোলকিপার সঙ্গীতা। তাকে একেবারে সামনা-সামনি ফাঁকায় পেয়ে যান শিবানী। ডান পায়ে শটও নেন তিনি। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তা প্রতিহত করেন সঙ্গীতা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) নেপালের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে আজ (শুক্রবার) বিকেলে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভুটানকে - গোলে হারায় রাশিয়া।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন