ইনসাইড বাংলাদেশ

পতেঙ্গায় ৩০ বছরেও পৌঁছায়নি ওয়াসার লাইন

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দরটিলা, ইপিজেড, স্টিলমিল গেইট,নারিকেল তলা, নেভীহাসপাতাল গেইট,পতেঙ্গা,জলদাসপাড়া, ,দক্ষিণ হালিশহরসহ নগরীর ৪১ টি জনবহুল এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। 

পতেঙ্গা এলাকার পানি বিক্রেতা মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল-বিকাল দু’বেলা ইপিজেড, বন্দরটিলা, নেভী হাসপাতাল গেট, ঈঁসা খান গেট, সিমেন্ট ক্রসিং, নারিকেল তলা স্টিলমিলস, জিএম গেট এলাকায় পানি সরবরাহ করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। 

এ এলাকার বাসিন্দারা  ‘ভোরে উঠে অফিসে যাওয়ার তাড়া, আবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে রান্নাবান্নার তাড়া। সারাদিনের ক্লান্ত শরীর আর কর্মব্যস্ততার মধ্যে পানি ফুটানো ও ঠাণ্ডা করার পেছনে ব্যয় করার মতো সময়ই থাকে না। তাই সময় বাঁচাতে, নিরাপদ-অনিরাপদ না ভেবে, ওয়াসার ড্রামভর্তি পানি কিনে রান্নার কাজে ব্যবহার করি এবং পান করি। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ডাক্তারের দোকানে পাওয়া যায়, তা কখনও জানতাম না।’

কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা গার্মেন্টসকর্মী নুর আয়েশা । তার মতো এখানকার হাজারো গার্মেন্টসকর্মীর দৈনন্দিন জীবন চলে এভাবেই।

পতেঙ্গার ৪০ এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের বসবাস। অথচ গত ৩০ বছরেও ওয়াসার পানির কোনো সংযোগ জোটেনি এলাকাবাসীর কপালে। এছাড়া এলাকায় পর্যাপ্ত পুকুর, নলকূপ বা অন্য কোনো উৎস না থাকায় রান্নাবান্নাসহ বিভিন্ন কাজেও রয়েছে ব্যবহারযোগ্য পানির তীব্র সংকট।


এই ওয়ার্ড দুটি বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী হওয়ায় এখানকার পানি লবণাক্ত। এজন্য এসব পানি যেমন খাবার যোগ্য নয়, তেমনি রান্নাবান্নাসহ কাপড় ধোয়ার কাজেও ব্যবহার করা যায় না। তাই ড্রাম বা জারভর্তি ওয়াসার পানি কোনোরকম বিশুদ্ধ না করেই ব্যবহার করেন এই এলাকার ৯০ শতাংশ মানুষ।

আর এই কেনা পানি বিশুদ্ধ না করে খাওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা প্রায় সময় ডায়রিয়া, আমাশয়, রক্ত আমাশয়, কলেরা,চর্মরোগ,  টাইফয়েড, জন্ডিসসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হন। এছাড়া লবণাক্ত এই পানি ব্যবহারে ত্বক ও চুলের ক্ষতিসহ শরীরে নানান চর্মরোগ দেখা দেয় অনেকের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য নিরাপদ পদ্ধতি হতে পারে বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের ব্যবহার। বাজারের যে কোনো ওষুধের দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির সাশ্রয়ী দামে এই ট্যাবলেট পাওয়া যায়। প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি ট্যাবলেট মেশালে, এক ঘণ্টার মধ্যে তা বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণে এই ট্যাবলেট ব্যবহার করলে নানা রোগ-জীবাণু প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পাশের ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভবন মালিক থেকে জারভর্তি করে পানি কিনে ভ্যানে করে পতেঙ্গা এলাকায় বিক্রি করেন অনেকে। ফুটপাতের টঙ দোকান থেকে শুরু করে বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয় এসব জারভর্তি পানি।

তবে জারভর্তি এসব পানি বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করেন না পতেঙ্গা এলাকার প্রায় বাসিন্দা। পানি বিশুদ্ধ করার বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট আছে, সে কথাটায় জানেন না অনেকে।

মূলত পতেঙ্গা এলাকার বেশিরভাগ নিম্নআয়ের মানুষের বসবাস। পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য বিভিন্ন দামের ফিল্টার কেনাও অনেকের জন্য দুরূহ। শুধুমাত্র বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বর্ষাকালে কিছুটা বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারে তারা।

পতেঙ্গা এলাকার পানি বিক্রেতা মো. আমিন বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল-বিকাল  ২০ লিটারের প্রতিজার পানি ৫ টাকায় কিনে ২০ টাকা বিক্রি করি। পতেঙ্গা এলাকায় আমার মতো শতাধিক এই রকম অনেক পানি বিক্রেতা আছে।’

তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে ওয়াসার পানির লাইনে লিক হলে, পানিতে ময়লা আসে। তবে এসব আমরা দেখি না, পানি কিনে বিক্রি করায় আমাদের কাজ।’

পানির উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পতেঙ্গার আশপাশের ওয়ার্ডের কিছু ভবনের মালিক বছরের পর বছর ধরে ওয়াসার পানি বিক্রি করে আসছেন। আমরা তাদের থেকে এসব পানি কিনে এনে পতেঙ্গায় বিক্রি করি।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানি বিশুদ্ধ করার পদ্ধতি ও ট্যাবলেট সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রচারণা নেই পতেঙ্গায়।

পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট ব্যবহার করেন কি-না জানতে চাইলে কিছুটা অবাক হন পতেঙ্গার পূর্ব কাটগড় এলাকার বাসিন্দা  ছকিনাবেগম, তিনি বলেন, ‘আমি জানতামই না ট্যাবলেট ব্যবহার করে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। আগে জানলে পানি বিশুদ্ধ করতে এই ট্যাবলেট ব্যবহার করতাম, তাতে পরিবারের সদস্যদের অসুখও কম হতো। পানি ফুটিয়ে পান করলে আমার কেমন যেন একটা গন্ধ লাগে। তাই এতদিন না ফুটিয়েই ওয়াসার কেনা পানি পান করতাম।’

একই সুরে কথা বলেন পতেঙ্গার জেলেপাড়ার কার্তিক জলদাস। তিনি বলেন, ‘পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করার ঝামেলায় না গিয়ে ওয়াসার কেনা পানি সরাসরি পান করি। কম দামে বাজারে যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাওয়া যায়, তা আগে জানতাম না। এটা নিয়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে কোনো প্রচার-প্রচারণাও দেখিনি কখনও।’

পতেঙ্গা মুসলিমাবাদ এলাকার পল্লী চিকিৎসক বিপ্লব মল্লিক বলেন, ‘পতেঙ্গার সবচেয়ে বড় ও অন্যতম সমস্যা বিশুদ্ধ পানির অভাব। পানির কারণে প্রতিনিয়ত শিশু থেকে বৃদ্ধরা এলার্জি, হাম, ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস রোগে ভুগছে। গত এক মাসে প্রায় এক শতাধিক ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুকে আমি মা ও শিশু হাসপাতালের পাঠিয়েছি। প্রায় ১২০ জন বয়স্ক ডায়রিয়া রোগীকে ফৌজদারহাটের হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘পানির প্রভাবে মাথার চুল ও ত্বকের ক্ষতির পাশাপাশি কাপড়ের রঙ থাকে না। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের প্রতি মানুষের আস্থা কম। ছোট এই ট্যাবলেট দিয়ে সত্যিই কি পানি বিশুদ্ধ হয়—এমন ধারণা তাদের।’

নগরীর অন্তত ৪০ জন ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানি বিশুদ্ধ করতে ক্লোরিন ট্যাবলেট, হ্যালোজেন ট্যাবলেট, অ্যাকোয়াসিওর ট্যাবলেট পাওয়া যায় বাজারে। ১৫ বছর আগেও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের চাহিদা ও বিক্রি ছিল ব্যাপক। তবে বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ জানেন না, ফার্মেসিতে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাওয়া যায়।’

‘ পতেঙ্গা সামাজিক  সাংগঠনিক সম্পাদক রিটন বড়ুয়া বাবু   বলেন, ‘পতেঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, বিশুদ্ধ পানি। পতেঙ্গায় ওয়াসার লাইন না আসা পর্যন্ত পানি পান ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে যদি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, পানি ফুটিয়ে পান করাসহ বিশুদ্ধকরণে মানুষের করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়, তবে অনেক মানুষ রোগ থেকে রক্ষা পাবে।’

বন্দর-ইপিজেড-পতেঙ্গা করোনা হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হোসেন আহম্মদ বলেন, ‘বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানুষের শরীরে জটিল রোগ বাসা বাঁধে। এর মধ্যে হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’, টাইফয়েড, ডায়রিয়া রয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের বিষয়ে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। তবে আমি মনে করি জীবাণু ধ্বংস করতে হলে, পানি ফুটিয়ে পান করা উচিত।’

এই বিষয়ে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘পতেঙ্গায় ওয়াসার লাইন ও বিশুদ্ধ পানির জন্য আমি সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সময় থেকে দাবি জানিয়ে আসছি। আগামীতে ওয়াসার সঙ্গে বৈঠকে বসলে আমি সেখানেও বিশুদ্ধ পানির জন্য দাবি জানাবো। এছাড়া অনেক মানুষ জানেই না, বাজারে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

ওয়াসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ কর্মীসহ নিহত ২

প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রসীত বিকাশ নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ দুইজন নিহত হয়েছে। ইউপিডিএফ এ ঘটনায় সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গ্রুপকে দায়ী করছে। 

শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার কাট্টলী এলাকার ধনপুতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ সদস্যের তিনক চাকমা (৫০) ও দুদকছড়া গ্রামের জুরেন্দ্র চাকমার ছেলে ধন্যমতি চাকমা (৪০)। 

তিনি জানান, আমরা শুনেছি সন্তু লারমা জেএসএস কর্তৃক এক ইউপিডিএফ কর্মী ছাড়াও স্থানীয় একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আজ সকালে ধনপুতি এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করার সময় জেএসএসের হামলায় দুইজন নিহত হয়। এর মধ্যে একজন তাদের কর্মী আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা।   

ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হত্যাকাণ্ড শুরু করেছেন।পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং মদদদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়।


রাঙামাটি   হামলা   ইউপিডিএফ কর্মী   নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটে জেএমবি'র সাজাপ্রাপ্ত নেতা মন্তেজার রহমানের লাশ দাফনের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল আলীমের উপর হামলা ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে পুলিশের উপর জেএমবির হামলার ঘটনায় আসামী হয়ে ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে থাকা মন্তেজার মঙ্গলবার (১৪ মে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়ায় মারা যান।

গত বুধবার (১৫ মে) বিকেলে তার লাশ বাড়িতে আনা হলে উৎসুক জনতা ভিড় করে। সেখানে যমুনা টিভির রিপোর্টার আব্দুল আলীম ও নাগরিক টিভি এর জয়পুরহাট প্রতিনিধি মাহফুজার রহমান সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের বাঁধা দেয়া হয় এবং যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল আলীম পরিচয় দেয়ার পরেও তার উপর আক্রমন করে। এসময় কয়েকজন গালি গালাজ করে তাকে হত্যার হুমকি দেয়।

ক্ষেতলাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, ‘সাংবাদিককে হত্যা ও হুমকির জিডি গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উল্লেখ্য, মন্তেজার জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আ. রহমান ও বাংলা ভাইয়ের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। ২০০৬ সালে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সে (মন্তেজার) এতদিন জেলে ছিল।


সাংবাদিকের উপর হামলা   সংবাদ সংগ্রহ   জেমবি নেতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ধোলাইখালে চার তলা ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ১২:৪৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি বলেন, ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণ এসেছে। ১১টা ৫৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


ধোলাইখাল   আগুন   মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজারের বেশি হজযাত্রী

প্রকাশ: ১১:৫৮ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।  

প্রায় এক সপ্তাহে (১৬ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি আরব পৌঁছান তারা। শুক্রবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। 

বুলেটিনে বলা হয়, মোট ৬১টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন হজযাত্রীরা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। আর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং ২২ জুলাই শেষ হবে।


পবিত্র হজ   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ১১:৪৭ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনা চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। 

 

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উথুলি খামারপাড়া গ্রাম এ ঘটনা ঘটে।

 

আহত দুই বোন হলেন মিম (২০) ও লাম (২০) । তারা পৌর সদরের আরাজি উথুলী খামারপাড়া মহল্লার রেজাউল করিম রিজুর মেয়ে।

 

আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ ইয়ামান পায়েল (২২) । তিনি চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।

 

এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দুই বোনের বাবা রেজাউল করিম। 

 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। এ সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে লাম তাকে গিয়ে বলে গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়। 

 

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার জমজ বোন মিম এগিয়ে আসলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পায়েল ও তার বাবা-মা মিলে জমজ দুই বোনকে বেধরক মারধর করে। 

 

পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দুই বোনের পরিবারের লোকজন গিয়ে এলাকাবাসির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

 

এ বিষয়ে চাটমোহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত দুই বোনের পিতা রেজাউল করিম রিজু।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাটমোর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েল বলেন, ‘আমার মায়ের সাথে ওরা দুই বোন মারামারি করছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম। আমি তাদেরকে মারিনি। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য।’

 

চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হয়েছে। সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জাড়িতদের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। যেহেতু ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। সে কারণে জেলা ছাত্রলীগ এই বিষয়টি দেখবে।’

এ বিষয়ে চাটনোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ছাত্রলীগ   হাতুড়ি   মারধর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন