ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা- ইতিহাস বিকৃতি এবং ঐতিহাসিক সত্য

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

“রাষ্ট্রভাষা-বাংলা চাই”-আন্দোলনের শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। এজন্য তিনি পুলিশি নির্যাতন ও জেল-জুলুমও সহ্য করেছেন। তাঁর এই অবদানকে অনেকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ নিজের অত্মঅহমিকা এবং নিজের অবদান প্রকাশ করতে গিয়ে বিরোধীতাও প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ অতিমাত্রায় ভক্তি-শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে অতিরঞ্জিত করে বিকৃতি ঘটিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগত বিরোধ এবং মতাদর্শগত অমিল থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর এই অবদানকে খাটো করে দেখার প্রয়াস চালিয়েছেন। ফলে এই স্বীকৃতি, বিরোধ এবং বিকৃতি-এই তিন প্রভাবের ফলে ঘটেছে ইতিহাস বিকৃতির মতো ঘটনাও। 

ইতিহাসবিদদের মতে, ভাষা-আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে খণ্ডিত, বিকৃত ও খাটো করে যারা উপস্থাপন করেছেন, তাঁদের কেউ তাঁর সমসাময়িক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হয়েও পরবর্তীকালে রাজনীতির মঞ্চ থেকে ছিটকে পড়েছেন, কেউ আজীবন মুজিব-বিদ্বেষী হয়েছেন, অবার কেউ রাজনীতির মাঠে সরাসরি প্রতিযোগী ছিলেন, কেউ সম্পূর্ণ ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন করেছেন, কেউ আবার ছিলেন সুযোগ-সন্ধানী; ফলে রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান বিষয়ে তাঁদের মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ কখনো অন্ধ ভালোবাসা দ্বারা, আবার কখনো হিংসা-বিদ্বেষ দ্বারা এবং কখনো অতিরঞ্জিত দ্বারা আচ্ছন্ন হয়েছে। 

এসব বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য ও বক্তব্য এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদন রয়েছে। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, সমসাময়িক পত্রপত্রিকার সংবাদ বিবরণ, বাংলার ভাষা-আন্দোলনের নানা দলিলপত্র, ভাষা সৈনিকদের স্মৃতিচারণ নিয়ে  বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন সাক্ষাৎকারও রয়েছে। প্রভৃতির আলোকে যাচাই করা হলে ভাষা আন্দালনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা, ইতিহাস বিকৃতি এবং ঐতিহাসিক সত্য খুব সহজেই প্রকাশিত এবং প্রমাণিত হয়। 


সূত্রমতে, রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খণ্ডিত ও বিকৃত করতে যাঁরা লেখনী ধারণ করেছেন তাঁদের মধ্যে অলি আহাদ, মোহাম্মদ তোয়াহা, মোহাম্মদ সুলতান, আবদুল মতিন, আহমদ রফিক, বদরুদ্দীন উমর প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মোহাম্মদ তোয়াহা এবং বদরুদ্দীন উমর ১৯৪৮ সালের ভাষা-আন্দোলনে শেখ মুজিবের অবদান প্রসঙ্গে আলোকপাত করতে গিয়ে অনেক সময় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের আশ্রয় নিয়ে ইতিহাসের সত্যকে আড়ালের চেষ্টা করেছেন। বদরুদ্দীন উমর ১৯৪৮ সালের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার সভায় শেখ মুজিবের সভাপতিত্ব করার ঘটনাটি ভিন্নভাবে তুলে ধরেছেন। 

আমতলার ওই সভায় বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্ব করা বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর লিখেছেন : ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ সভার নির্ধারিত সময়ের কিছু পূর্বেই বেলা দেড়টার সময় শেখ মুজিবুর রহমান কালো শেরওয়ানী এবং জিন্নাহ টুপী পরিহিত হয়ে একটি হাতলবিহীন চেয়ারে সভাপতির আসন অধিকার করে বসেন। সেই সভায় তাঁর সভাপতিত্ব করার কোন কথা ছিলো না। কারণ ঢাকার তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে তাঁর ভূমিকা ছিলো নিতান্ত নগণ্য। কিন্তু এ সত্ত্বেও তিনি নিজেই সেই সভায় সভাপতিত্ব করার সিদ্ধান্ত নেন এবং নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সভাপতির চেয়ার দখল করেন।’ (পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি, প্রথম খণ্ড, পৃ. ৯৬, বিঃ দ্রঃ ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ হলো বদরুদ্দীন উমর রচিত বাংলা ভাষা আন্দোলন নিয়ে রচিত তিন খণ্ডে প্রকাশিত বই। এর তিনটি খণ্ড যথাক্রমে ১৯৭১, ১৯৭২ ও ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা ভাষা আন্দোলন নিয়ে সবচেয়ে তথ্যবহুল বই বলে সমাদৃত বাংলা বই।)

যাঁর সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরে বদরুদ্দীন উমর এ যুক্তি তুলে ধরেছেন তিনি হলেন মোহাম্মদ তোয়াহা, যিনি আজীবন ছিলেন অতিমাত্রায় মুজিব বিদ্বেষী। তোয়াহার সমালোচনায় শেখ মুজিবের রাজনৈতিক অবদান অস্বীকারের প্রবণতা তো ছিলই, তাঁর নেতৃত্বে সংঘটিত একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে তোয়াহা ও তাঁর দল ‘দুই কুকুরের লড়াই’ বলেও অভিহিত করেছেন। ১৯৪৮ সালের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার সভা বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্ব করা প্রসঙ্গে তোয়াহা লিখেছেন : ‘সেদিন (১৬ই মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মিটিং হওয়ার কথা ছিল। সেটিতে কথা ছিল আমার সভাপতিত্ব করার। নির্ধারিত সময়ের একটু আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি শেখ মুজিবুর রহমান একটা কালো শেরওয়ানী এবং জিন্নাহ টুপী পরে একটা হাতলবিহীন কাঠের চেয়ারে বসে আছে। তাকে ঐভাবে সভাপতির চেয়ারে বসে থাকতে দেখে খুবই আশ্চর্য হলাম। যাই হোক আমি সেখানে গিয়ে দাঁড়ালাম। সভাস্থলে তখন আন্দাজ ১৫০ জন লোক ছিলো। এই সময় হঠাৎ করে মুজিব উঠে দাঁড়িয়ে একটা বক্তৃতা শুরু করে দিল। বক্তৃতার সারমর্ম কিছুই ছিল না। ছোট বক্তৃতার পর সে অন্য কাউকে বক্তৃতার সুযোগ না দিয়ে চিৎকার করে উঠলো, ‘চলো চলো এ্যাসেমব্লি চলো।’ (উদ্ধৃত, বদরুদ্দীন উমর, ‘ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গ : কতিপয় দলিল-২’, পৃ. ২৬৪-২৬৬। বিঃ দ্রঃ ‘ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গ : কতিপয় দলিল’ হলো বদরুদ্দীন উমর রচিত বাংলা ভাষা আন্দোলন নিয়ে রচিত বই। বইটি দুই খণ্ডে প্রকাশিত।)

বদরুদ্দীন উমর ও মোহাম্মদ তোয়াহার এ বক্তব্যে ১৬ মার্চের সভায় শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্ব করার বিষয় ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা ওইদিনের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ওই সভায় উপস্থিত তাজউদ্দীন আহমদসহ অন্য নেতৃবৃন্দের বিবরণের সঙ্গে মোহাম্মদ তোয়াহা এবং বদরুদ্দীন উমরের বিবরণের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। মোহাম্মদ তোয়াহার বিবরণ অসংলগ্ন, তাতে তারিখ ও ঘটনার যেমন অসঙ্গতি রয়েছে তেমনি একই ঘটনা একেক সময় একেকভাবে উপস্থাপন করার প্রবণতাও লক্ষণীয়। তিনি ওই দিনের সভা শুরুর কথা বলেছেন ১১টায়, কিন্তু তাজউদ্দীন আহমদ তাঁর ডায়েরিতে লিখেছেন, ‘বেলা দেড়টায় সভা শুরু হলো’।

তোয়াহা এ সভায় নিজের সভাপতি নির্ধারিত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন, যা আর কারো লেখায় উল্লেখ নেই; তিনি বলেছেন, নাজিমুদ্দীনের সঙ্গে করা চুক্তি বিষয়ে শেখ মুজিব কিছু জানতো না, কিন্তু রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সকল নেতাই বলেছেন চুক্তির খসড়া কারাবন্দি শেখ মুজিবসহ অন্য নেতৃবৃন্দের অনুমোদন নেওয়া হয়; তিনি বলেছেন, কাউকে কথা বলার সুযোগ দেয়নি মুজিব, অন্যরা বলেছেন অনেকেই সেদিন বক্তৃতা দিয়েছে; তোয়াহা বলেছেন, শেখ মুজিব পার্লামেন্টারি পার্টির লোকজনের প্ররোচনায় ওই সভায় সভাপতিত্ব করেছেন, এ কথা আর কেউ বলেননি; তিনি বলেছেন, শেখ মুজিব জিন্নাহ টুপি ও শেরওয়ানী পরে ওই সভায় একটি হাতলবিহীন চেয়ারে বসে সভাপতিত্ব করেন, অন্য কারও লেখায় বা স্মৃতিচারণে এ বিবরণ আসেনি।

তিনি বলেছেন, ঢাকার ছাত্রসমাজে শেখ মুজিবের পরিচিতি ছিল নগণ্য, কিন্তু সমসাময়িক ইতিহাস তা বলে না। এসব তথ্যই প্রমাণ করে ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় শেখ মুজিবের সভাপতিত্ব প্রসঙ্গে মোহাম্মদ তোয়াহার বক্তব্য তথ্যপূর্ণ ও ইতিহাসের বাস্তব এবং সত্য ঘটনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়- যা ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। এ বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর যেহেতু মোহাম্মদ তোয়াহার বিবরণকেই সাক্ষ্য মেনেছেন সেজন্য তাঁর বক্তব্যও গ্রহণযোগ্য নয়। ওই দিনের ঘটনাপ্রবাহ এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, শওকত আলী, গাজীউল হক প্রমুখের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে বদরুদ্দীন উমরের বিবরণ অসার, উদ্দেশ্যমূলক এবং ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা বলেই মনে হয়।

মোহাম্মদ তোয়াহা ও বদরুদ্দীন উমর কথিত, শেখ মুজিবুর রহমান ‘নিজেই সেই সভায় সভাপতিত্ব করার সিদ্ধান্ত নেন’ এ কথাটি ঠিক নয়। সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ তোয়াহাও কোথাও এ কথা বলেননি। তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরিতেও এ ধরনের কোনো কথা উল্লেখ নেই। উপস্থিত ছাত্রদের সম্মতিতে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নঈমুদ্দীন আহমদ সভাপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে শেখ মুজিব নিজে বলেছেন : ‘১৬ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে সভার সময় কে সভাপতিত্ব করবে তাই নিয়ে একটা বিতর্ক হয়। কেউ আমার নাম, কেউ শামসুল হকের নাম, কেউ বা আবার কমিটি অব অ্যাকশনের কারো কারো নাম প্রস্তাব করলো। কিন্তু সভা আরম্ভ করার পর নঈমুদ্দীন আমার নাম প্রস্তাব করে এবং সেখানে কোনো আপত্তি ওঠে না।’ ( ভালোবাসি মাতৃভাষা, পৃ. ৩,  শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১।)

বদরুদ্দীন উমর ও মোহাম্মদ তোয়াহা বলেছেন, ‘ঢাকার তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে তাঁর (বঙ্গবন্ধু) ভূমিকা ছিলো নিতান্ত নগণ্য’।  তাঁদের এ বক্তব্যও যুক্তিযুক্ত বা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ গণতান্ত্রিক যুবলীগ ও পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন এবং এসব সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া ও ১১ মার্চের ধর্মঘটে শেখ মুজিবের অগ্রণী ভূমিকা প্রমাণ করে তখনকার ছাত্র আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাষা-আন্দোলনের প্রথম পর্বে পূর্ববঙ্গের ছাত্ররাজনীতিতে শেখ মুজিবুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। আর তা না হলে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনে বলা হতো না যে, He took very active part in the agitation for adopting Bengali as the State language of Pakistan, and made propoganda at Dacca for general strike on 11.3.48. on this issue. On 11.3.48 the subject was arrested for violating orders under section 144 Cr. P.C. (Secret  Documents of Intelligence Branch on Father of The Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, Volume-1 (1948-19750),  page. 319)

কাজেই মোহাম্মদ তোয়াহা এবং বদরুদ্দীন উমর ১৬ মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভার বিবরণে শেখ মুজিবের যে চিত্র অঙ্কনের চেষ্টা করেছেন, তা সমর্থন করা যায় না। - যা সম্পূর্ণরূপে বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবের ভিত্তিতে ইতিহাস বিকৃতি ছাড়া আর কিছু নয়।  

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের বিস্ফোরণ পর্বে শেখ মুজিববুর রহমান জেলে ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক ময়দানে অনুপস্থিত থাকলেও জেলে বসেও নিয়মিত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতেন (সূত্র : একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক- ড. মোহাম্মদ হান্নান, পৃ. ৫৩)। 

এ প্রসঙ্গে ভাষাসৈনিক গাজীউল হক তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন- ‘১৯৪৯ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জনাব শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন জেলে আটক ছিলেন। ফলে স্বাভাবিক কারণেই ’৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা জনাব শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবে জেলে থেকেই তিনি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতেন।’ (গাজীউল হক, আমার দেখা আমার লেখা, পৃষ্ঠা-৪০)। 

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে যারা গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে ছিলেন, যেমন- আব্দুস সামাদ আজাদ, জিল্লুর রহমান, কামরুজ্জামান, আব্দুল মমিন তারা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে, বঙ্গবন্ধু জেলখানা থেকে এবং পরে হাসপাতালে থাকাকালীন আন্দোলন সম্পর্কে চিরকুটের মাধ্যমে নির্দেশ পাঠাতেন। ভাষাসৈনিক, প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ‘একুশকে নিয়ে কিছু স্মৃতি, কিছু কথা’ প্রবন্ধে বলেছেন : শেখ মুজিব ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ ফরিদপুর জেলে যাওয়ার আগে ও পরে ছাত্রলীগের একাধিক নেতার কাছে চিরকুট পাঠিয়েছেন।” (তথ্যসূত্র : ভালোবাসি মাতৃভাষা- পৃষ্ঠা: ৬২, শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১)।


ভাষা আন্দোলন   বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা   ইতিহাস   ঐতিহাসিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৫শ’ টাকার লোভে শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর


Thumbnail

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।

আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।

এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।


ব্রহ্মপুত্র নদ   ৫শ’টাকার লোভ   শিশু   কিশোর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের হাইকমিশনারের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (১২ মে)  দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অভিন্ন ইস্যু রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এসকল ইস্যু খুঁজে বের করে একসাথে কাজ করতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তর, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ, গবেষণাসহ এ সংক্রান্ত অভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করলে দু’দেশই লাভবান হবে বলে এসময় আলোচনা করা হয়। 

ভারতের হাইকমিশনার   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হাসপাতালের লিফটে আটকা ৪৫ মিনিট, রোগীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন। 

মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী। 

মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।

এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা  ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।

এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।

লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হাসপাতাল   লিফট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি উন্নয়নকে মলিন করে দিচ্ছে: সাঈদ খোকন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা মলিন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। 

রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডের সুরিটোলা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন হাজার পরিবারকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের’ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এই উন্নয়ন, পরিশ্রম ও বদলে যাওয়া বাংলাদেশ কিছু আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এখন পুরান ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। হাতে লাঠি আর মুখে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, ভ্যান, ট্রাক, বাস থামিয়ে টাকা নিচ্ছে। এই চাঁদাবাজিতে জনগণ আতঙ্কিত। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রিকশায় স্কুলে যাতায়াতের সময় হাতে লাঠি নিয়ে কেউ আসলে ভয় পেয়ে যায়, তাদের সঙ্গে থাকা মায়েরাও ভয় পেয়ে যায়। এই কাজ নেত্রীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে মলিন করে দিচ্ছে।’

টোলের নামে যারা চাঁদাবাজি করে তারা সরকারের ভালো চায় না জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘চাঁদাবাজরা দল এবং নেত্রীর ভালো চায় না। তারা নেত্রীর ভালো চাইলে এসব কাজ থেকে বিরত থাকত এবং জনগণের সেবায় কাজ করত। আমি আশা করব অনতিবিলম্বে এই ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে নেত্রীর নির্দেশে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন, জনগণের কাতারে আসুন।’

সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বিষয়টি সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বলেছি আমার নেত্রীর অর্জন মলিন হয়ে যাচ্ছে। আপনি অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই ধরণের অরাজকতা এবং চাঁদাবাজি অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। আপনারা (পুলিশ) এবং আমরা জনগণ হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ভারতের চেয়েও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই সরকারের আমলে প্রায় একশোর ওপরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যার মাধ্যমে গরীব-দুঃখী মানুষ খেতে পারে, চলতে পারে। ইউনিয়ন লেভেলে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কোটি মানুষকে বিনামূল্যে-স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের প্রতি ওয়ার্ডে হাজারো গরীব-দুঃখী মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ দেওয়া হচ্ছে।’

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমের ভোট করায় এমপি পুত্র সাবাব চৌধুরীর লোকজন এ হামলা করে।

রোববার (১২ মে) সকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা এমন অভিযোগ করেন। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন সদ্য শেষ হওয়া সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, গত ৮মে অনুষ্ঠিত সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেয় আনারস প্রতীকের কর্মীরা। কুপিয়ে আহত করে দোয়াত কলমের কর্মীদের। সন্ধ্যায় চারটি কেন্দ্রের ভোট উলটপালটও করা হয়। চরমহি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন এনএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রেখে পুনঃভোট দেয়া এবং বাতিল হওয়া ১৯১৪টি ভোট পুনঃগননা করার পর চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার দাবী জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন সুবর্ণচরের বিভিন্ন উপজেলায় হামলা চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে চরজব্বার ইউনিয়নে। সেখানকার চাউয়াখালী বাজারে অন্তত ১৫টি দোকানপাট, আশপাশে অন্তত ২০টি বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় অর্ধশত কর্মী ও তাদের স্বজনদের। বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনার একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। অভিযোগকারীরা, ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

সুবর্ণচর   আওয়ামী লীগ   সাবাব চৌধুরী   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন