যতদিন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব আছেন ততদিন ঢাকা শহরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জমি দখলকারী কোনও ভূমিদস্যু রাখবেন না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে '১৪ নং আউটফল ও ধলপুর তেলেগু পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠান' এ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদের অনেক জমি বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় আছে। ভূমিদস্য, কুচক্রী মহল বসে বসে আমাদের জমি দখল করে খেয়েছে। জমি আমার, ভাড়া দেয় তারা! আমি থাকতে তা বরদাশত করব না। আমার পরিচ্ছন্নকর্মীরা, আমার কর্মচারীরা থাকবে -- সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সেটা দেখব। ১৪ নম্বরে আউটফলে আমাদের ১৫ একর জমি আছে।বিভিন্নভাবে অনেক অসাধু লোক সেখানে মাদকের আখড়া বানিয়ে রেখেছিল। কিছু অসাধু লোক আমাদের কর্মচারীদের কাছ থেকে সেখানে থাকার জন্য টাকা নেয়। জমি আমার। সেখানে থাকলে আমার কর্মচারীরা থাকবে। বিনামূল্যে থাকবে। তাদের আবার এসব অসাধু লোকদের টাকা দিতে হবে? কেন টাকা দিবে? ঢাকা শহরে আমি যতদিন আছি এইসব ভূমিদস্যু আর রাখব না।’
এ সময় ১৪ নম্বর আউটফলে নতুন করে আর কিছু ঘর নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘সেখানে অত্যাধুনিক মোটর গ্যারেজ নির্মাণের জন্য আমাদের ১০ একর জমি লাগবে। আমার গাড়ি এখন রাস্তায় থাকতে হয়। রাস্তা থেকে চুরি হয়ে যায়। ঝড়, বৃষ্টি, রোদে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যায়। সেজন্য আমরা গাড়ি রাখার অত্যাধুনিক গ্যারেজ নির্মাণ করব। সেখানে আমাদের সকল গাড়ি, যান-যন্ত্রাংশ নিরাপদে থাকবে। আর বাকী যে ৫ একর জমি আছে, সেখানে আমরা আমাদের কর্মীদের, কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা করে দেবো। পানি, বিদ্যুৎ যা যা লাগবে সেগুলো আমরাই ব্যবস্থা করে দেবো। সেখানে ঘর করে দেবো। সেজন্য আপনারা কাউকে এক টাকাও দেবেন না। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরাই করে দেবো। কিন্তু এর মাঝে কোনও মধ্যস্বত্তভোগী, দালালচক্র কোনরকম যেন পায়তারা করতে না পারে। যদি কেউ করে তাহলে আমার কানে দেবেন। আর আমার কানে আইলে তো বুঝেন কি অইব!’
উল্লেখ, আজ ১৪ নম্বর আউটফল ও ধলপুরে নির্মিত আবাসিক ভবন পলাশ এ ১০৯ জন, শালুক এ ৯ জন এবং শাপলায় ২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়াও আবাসিক ভবন মুকুল এ তেলেগু সম্প্রদায়ের ২৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীও বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদল সরদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ভূমিদস্যু
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা ঢাকা সফর
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. লায়েক আলী বলেন, তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলেও শিলাবৃষ্টির কারণে আমার বসত ঘরের টিনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাড়ি চালক সৈকত বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গরম কমলেও আমার গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে।
হবিগঞ্জ কালবৈশাখী ঝড় শিলাবৃষ্টি
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।