রাজধানীর মিরপুরে বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় বস্তিবাসীদের জন্য ৫টি উচুঁ ভবন নির্মাণ করেছে সরকার। এসব ভবনে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ফ্ল্যাট। বস্তিবাসীরা দীর্ঘদিনের ঘিঞ্জি পরিবেশ ছেড়ে আদুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকবেন- এ নিয়ে তাদের চোখেমুখে স্বপ্ন জ্বলজ্বল করছে। ইতিমধ্যেই এইসব ফ্ল্যাটের হস্তান্তর শুরু করেছে সরকার।
সম্প্রতি বস্তির খুপরি ঘর ছেড়ে বাবুনিয়াবাঁধের ফ্ল্যাটে উঠেছেন ইয়াসমিন। স্বামী-সন্তান নিয়ে দুই দশকের বেশি সময় বস্তির খুপরি ঘরে কাটিয়েছেন তিনি। তখন আশপাশের পরিবেশ ছিল নোংরা, দুর্গন্ধময়। বিদ্যুৎ না থাকলে গা দিয়ে ঘাম বেয়ে বেয়ে পড়ত। ঘিঞ্জি পরিবেশের কারণে অন্য সময়ে ঠিকমতো হাঁটাচলা করা যেত না। বৃষ্টি হলে বিপত্তি আরও বাড়ত, ঘর থেকে বেরোনোর উপায় থাকত না, পানিতে ডুবে যেতো বস্তির সেই নোংয়রা ঘর। সেই ইয়াসমিন এখন উঠেছেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বহুতল ভবনে। যে ভবনটি বস্তিবাসীদের জন্যই তৈরি করেছে সরকার।
জানা গেছে, বস্তিবাসীর জন্য ২০১৮ সালের জুনে মিরপুর-১১ নম্বর বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় ১৪ তলার মোট পাঁচটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে তিনটি ভবনের ৩০০ ফ্ল্যাট বিভিন্ন বস্তিতে থাকা ৩০০ জনকে ভাড়ায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বস্তিবাসীর জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট প্রকল্পের উদ্বোধন ও হস্তান্তর করা হয় ২০২১ সালের ৩ আগস্ট । ওই দিনই ভাড়াপত্র হস্তান্তর করা হয়। রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় ১৪ তলাবিশিষ্ট ৫টি ভবনের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। ১৪টি ভবনের মধ্যে একটি ভবনে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছে ইয়াসমিন এবং পরিবার। ইয়াসমিনের মতো এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বস্তিবাসীর এসব ফ্ল্যাটে থাকার বন্দোবস্ত হয়েছে।
বস্তি থেকে বহুতল ভবনে ওঠার পর কেমন লাগছে?- এমন প্রশ্নের উত্তরে ইয়াসমিন বললেন, ‘আগে ৩০ জন মিলে একটা বাথরুম ব্যবহার করতাম। এক ঘরের মধ্যে কেউ চৌকিতে ঘুমাত, কেউ মাটিতে। বসবাসের মতো পরিবেশ ছিল না। এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলাদা ফ্ল্যাটে থাকছি। এখানে আলাদা বাথরুম ও বারান্দা আছে। বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর আছে। লিফটে করে ফ্ল্যাটে ওঠা যায়। পরিবেশ অনেক ভালো। এমন ভবনে থাকতে পারব, এ তো স্বপ্নেও ভাবিনি।’
হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের ভালো পরিবেশে রাখতে পারছি, মা–বাবা হিসেবে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে! থাকার ভালো পরিবেশ পেয়ে কষ্ট হলেও কিছু আসবাব কিনে ঘর সাজিয়েছি। এত ভালো জায়গায় থাকছি, তবে এখনো সবকিছু স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে।’
ইয়াসমিন জানান, তার জন্ম বাউনিয়াবাঁধের কলাবাগান বস্তিতে, ১৯৮৭ সালে। সেখানেই বেড়ে ওঠা, বিয়ে। বড় ছেলে আল-আমিন উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছে। আরেক ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। একমাত্র মেয়ে মোহনা পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ইয়াসমিনের স্বামী মহসিন ব্যাপারী চটপটি বিক্রি করেন। এর আগে যখন যে কাজ পেতেন, তাই করতেন। টাকা জমিয়ে স্বামী দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনে সেগুলো ভাড়ায় খাটাচ্ছেন। নতুন ভবনে ‘জীবনের সেরা সময় কাটছে’- বলেন তিনি।
এ সময় ইয়াসমিনের মা রেহানা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও এই ভবনে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন। তবে তিনি এখনো ফ্ল্যাটে ওঠেননি। তিনি বলেন, ‘এমন পরিবেশে থাকতে পারব, কল্পনাও করিনি। বাচ্চাদের এত ভালো পরিবেশে রাখতে পারাটা স্বপ্নের মতো। এত সুন্দর ভবনে থাকার সুযোগ পেয়েছি, তা বিশ্বাস হচ্ছে না। বস্তিবাসীদের এমন সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।’
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বস্তিবাসীর জন্য পাঁচটি ভবন নির্মাণে প্রায় সরকারের ১৩১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এসব ভবনে ফ্ল্যাট আছে ৫৩৩টি। প্রতি ফ্ল্যাটের আয়তন ৫১০ বর্গফুট (কমন স্পেসসহ ৬৭৩ বর্গফুট)। প্রতি ফ্ল্যাটে শোবার ঘর আছে দুটি। এ ছাড়া বসার ও খাবার ঘর, বারান্দা, শৌচাগার ও বাথরুম আছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য সরকার ভাড়া নেবে মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা। এর পাশাপাশি পানি, লিফট ও নিরাপত্তার জন্য সেবা ফি বাবদ দিতে হচ্ছে আরও দেড় হাজার টাকা। এর বাইরে গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল নিজেদের দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে একটি পরিবারের মাসে খরচ হচ্ছে আট থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিটি ভবনে দুটি করে লিফট ও তিনটি করে সিঁড়ি রয়েছে। নিচতলা থেকে ১৪ তলা পর্যন্ত প্রতি তলায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে। বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১০ জন আনসার সদস্য স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভবনের নিচতলায় খালি জায়গায় বিয়ের অনুষ্ঠান হয় বলে জানালেন বাসিন্দারা। এসব ভবনে বর্তমানে গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। ওয়াসার একটি পানির পাম্প বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এসব ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারের প্লাটুন কমান্ডার আবু সাঈদ বলেন, বস্তিবাসীদের শৃঙ্খলায় রাখা কঠিন কাজ। কারণ, তাঁরা আগে শৃঙ্খলার মধ্যে ছিলেন না। তাই মাঝেমধ্যে নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সার্বক্ষণিক নজরদারির মাধ্যমে তাঁরা সুষ্ঠু পরিবেশ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা অঞ্চল-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী বলেন, ৫৩৩টি পরিবারের জন্য নির্মিত এ পাঁচটি ভবনে ইতিমধ্যে ২৯৯ জনকে ওঠানো হয়েছে। বাকিদের দ্রুতই ভাড়াপত্র হস্তান্তর করা হবে। বস্তিবাসীর ভাড়া দিতে যাতে কষ্ট না হয়, তাই তাঁদের উপার্জন বাড়াতে কুটিরশিল্প শেখানোর কাজসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এসব ভবনের পাশে বস্তিবাসীদের জন্য আরেকটি আবাসন তৈরির কাজ চলছে। এর পাশাপাশি টঙ্গীতে ১২ হাজার বস্তিবাসীর আবাসনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ওই প্রকল্পের কাজও চলমান।
বস্তিবাসী উচুঁ ভবন নির্মাণ সরকার ফ্ল্যাট ইয়াসমিন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।