নওগাঁর
পোরশায় ঋণ দেওয়ার কথা
বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ এর
অভিযোগে ভুয়া এনজিও ‘সাকো’
এর নির্বাহী পরিচালকসহ দুই জনকে গ্রেফতার
করেছে র্যাপিড অ্যাকশন
ব্যাটালিয়ন র্যাব-৫
জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
বুধবার (১৫
ফেব্রুয়ারি) দুপুরে
র্যাব-৫ থেকে
পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার
রাত ১১টার উপজেলার সরাইগাছি বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার
করা হয়।
গ্রেফতাররা
হলেন-উপজেলার কালাইবাড়ী গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা
(২৯) ও সরাইগাছী এলাকার
মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন
(৫৭)।
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়-গ্রেফতার মাসুদ
রানা, তোফাজ্জল হোসেন ও জহুরুল ইসলাম
সরাইগাছি বাজারে একটি অফিস ভাড়া
নিয়ে ‘সাকো’ নামে একটি এনজিও
খুলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মাসিক
মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল
স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এফ ডি আর
খুলে লাখ লাখ টাকা
আদায় করে। শুরুতে প্রথম
দুই এক মাস মুনাফা
প্রদান করে এবং পরবর্তীতে
মুনাফা প্রদান করা বন্ধ করে
দেয়। ফলে গ্রাহকেরা তাদের
জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলে
তারা টাকা দিতে টালবাহানা
শুরু করে। এরকম ভুক্তভোগীদের
মধ্যে শাহাবুদ্দিন, আমিনুল ও আমানুল্লাহ ‘সাকো’
এনজিওকে সাড়ে দশ লাখ
টাকা দিলে তাদেরকে প্রতি
মাসে লাখে ১০ হাজার
টাকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে এনজিও
এর এমডি মূলহোতা মাসুদ
রানা ও নির্বাহী পরিচালক
জহুরুল ইসলামের কাছে মুনাফা চাইতে
গেলে তারা টাকা দিতে
টালবাহানা শুরু করে। পরে
আসল টাকা ফেরত চাইলে
আজ দেব কাল দেব
বলে কালক্ষেপণ করে। কিন্তু টাকা
ফেরত দেয় না।
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়-এ ব্যাপারে সাপাহার
ও পোরশা উপজেলার প্রায় আট-দশ জন
ভুক্তভোগী র্যাব ক্যাম্প
জয়পুরহাটে এসে তাদের সাথে
সাকো এনজিও প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ
করে। অভিযোগ পেয়ে র্যাব-৫, জয়পুরহাট ছায়া
তদন্ত শুরু করে। ছায়া
তদন্তের এক পর্যায়ে নিজস্ব
গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় এনজিওর
এমডি মাসুদ রানা ও জহুরুল
ইসলাম সবকিছু বিক্রি করে ১৬ তারিখে
পালিয়ে যাবে। এরপর মঙ্গলবার সরাইগাছি
বাজারে গিয়ে হাতে নাতে
জুডিশিয়াল ও নন জুডিশিয়াল
স্ট্যাম্পসহ মাসুদ রানা ও মাঠকর্মী
তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময়
নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলাম র্যাবের উপস্থিতি
টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারের পর ভূক্তভোগীরা বাদী
হয়ে পোরশা থানায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা দায়ের করেন।
প্রতারণা অর্থ আত্মসাত এনজিও পরিচালক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান ৩ বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে ৩ বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের ৯ মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন ও তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।
পরে
মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক বার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরী সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫শ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে পুলিশবাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে।
এঘটনায় বিজয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফ উদ্দিন আনোয়ার।গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর আবারও দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল ও ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিজয়ী ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ইবনে হোসাইন ভুলু এবং পরাজিত প্রার্থী তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে আটক করেছে।
ইউপি নির্বাচন সংষর্ঘ চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনী-১
মন্তব্য করুন