দালালি করে
ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। দেশের মানুষ জানে আমরা জনগণের জন্য কাজ করেছি, সেটা কেউ
অস্বীকার করতে পারবে না।
বুধবার বিকালে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান একুশে ফেব্রুয়ারি
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব
কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপি অনেক হম্বিতম্বি করেছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায়
ছিল তখন তো আওয়ামী লীগ একটা মিছিলও করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চরম নির্যাতন
করেছে। নারী নেত্রীদের কাপড় টেনে খুলে নিয়েছে। পুলিশি নির্যাতন করেছে। ওরা যা যা করেছে
তার কিছুই আমরা করিনি। কিন্তু এখন তো বাইরে গিয়ে অনেক কান্নাকাটি করছে। তারা মনে করছে
বাইরে থেকে এসে কেউ তাদেরকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। একটা সময় ছিল দালালি করে
ক্ষমতায় বসাতে পেরেছে। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। দেশের মানুষ অনেক সচেতন।
তিনি বলেন,
জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। উচ্চ আদালত সেই তার ক্ষমতাকে অবৈধ ঘোষণা
করেছে। কাজেই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং দল গঠনও অবৈধ। সেই অবৈধ দল যেন ক্ষমতায় না আসতে
পারে সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। দানবদের হাতে বাংলাদেশের জনগণকে ফেলে দিতে পারি
না। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নষ্ট করবে।
সরকার প্রধান
বলেন, রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনশন করেছিলেন।
সে সময় বঙ্গবন্ধুর সাথে মহিউদ্দীন আহমেদও অনশন করেছিলেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর
সকল অবদান মুছে ফেলতে নানা চক্রান্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় জাতীর পিতার নামও পাওয়া যায়
না। আমি সেগুলো আবার সামনে আনার চেষ্টা করেছি। বাঙালীকে শেষ করে দেয়ার এই চক্রান্ত
শুধু পাকিস্তান সরকারই করেনি।
আওয়ামী লীগ
সরকার ক্ষমতায় এসে শহীদ দিবসের ঘোষণা দেয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫৬ সালে শহীদ দিবস
ঘোষণা করে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। জগন্নাথ হলের ওখানে প্রাদেশিক পরিষদ ছিলো। যেখানে
২১ ফেব্রুয়ারির বাজেট সেশন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ছাত্ররা সেখানে যেতে চাইলে পাকিস্তানী
সেনারা গুলি চালায়। সেখানে শহীদ মিনার নির্মিত হলে সেটা পাকিস্তানিরা ভেঙে ফেলে।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকুক আর বাইরে থাকুক, সবসময়েই তিনি মানুষের অধিকারের বিষয়ে
কথা বলে গেছেন। তিনিই প্রথম বলেছিলেন এটা শুধু ভাষার জন্য সংগ্রাম নয়, এটা জাতীর মুক্তির
সংগ্রাম। কারণ মাতৃভাষায় শিক্ষা নিলে মানুষ যেটা শিখতে পারে, অন্য ভাষায় সেটা সম্ভব
নয়।
প্রধানমন্ত্রী শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনয় মোহন কোয়াত্রা
মন্তব্য করুন
গ্রেপ্তার কাচ্চি ভাই বেইলি রোড
মন্তব্য করুন
জাল ভোট নির্বাচনী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’