চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। চলতি বছর উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা; যা সংশোধিত এডিপিতে কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকায়।
বুধবার (১ মার্চ) শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করা হয়। সভায় এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে সভার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এডিপির ১৫টি সেক্টরের আওতায় ১ হাজার ৫২৬টি অনুমোদিত প্রকল্পে মোট বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ২০ হাজার ৫১২ কোটি টাকা; যা সংশোধিত এডিপির ৯৬.৯০ শতাংশ। সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫০ কোটি ৭১ লাখ টাকা ও বৈদেশিক ঋণ থেকে ৭৩ হাজার ১৬১ কোটি টাকা এই ১৫টি সেক্টরের অধীন অনুমোদিত প্রকল্পের অনুকূলে ব্যয় হবে। এছাড়া, ৯টি উন্নয়ন সহায়তা খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ৩ হাজার ২১০ কোটি টাকা ও বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা খাতে ৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা।
এর বাইরেও ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত সংশোধিত এডিপির খাতওয়ারি বরাদ্দ বিভাজন এবং বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোতে মোট ৮ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ নিজস্ব অর্থায়নসহ প্রস্তাবিত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সর্বমোট আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ এনইসি সভা এডিপি প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।