ইনসাইড বাংলাদেশ

সঙ্কটের শঙ্কায় সিইসি: প্রসঙ্গ অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সংসদীয় বিরোধীদল জাতীয় পার্টি এবং সরকার বিরোধী প্রধান দল বিএনপি ও এর সমমনা জোটগুলোর সমসাময়িক রাজনৈতিক কার্যকলাপে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সংকটের মুখে পড়বে। আমরা একটা সংকটে আছি, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ ভোট নিয়ে আমরা এখনও রাজনৈতিক কোনো ঐক্য দেখতে পাচ্ছি না। এটা খুব প্রয়োজন। যদি ঐক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আমরা চাই না, নির্বাচনের পূর্বে বা নির্বাচনের সময়ে কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি হোক।’

এদিকে গতকাল বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা শুণ্যের কোটায়। দেশের মানুষ নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তাই, দেশের মানুষ এখন ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হচ্ছে না। কারণ, উৎসবের নির্বাচন এখন আতংকের হয়ে পড়েছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর প্রশাসনের কর্তারাও নিরপেক্ষ থাকে না নির্বাচনে। আবার, ক্ষমতাসীনদের পেশী শক্তির কারণে নির্বাচনের মাঠে দাঁড়াতেই পারছে না প্রতিপক্ষ। ফলে, নির্বাচনে খুব নগন্য সংখ্যক ভোটার উপস্থিত হচ্ছে। তাই, নির্বাচনে গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন হচ্ছে না। এমন নির্বাচন আমরা চাই না। আমরা চাই, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশের সাধারণ মানুষ হচ্ছে দেশের মালিক। দেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে।’ 

‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২৩’- এর আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা এখনও আস্থাভাজন হয়ে ওঠেনি। আজকেও পত্রিকায় দেখলাম জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় আস্থার জায়গা শূণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এটা সম্পূর্ণ সত্য নয়, তবে কিছুটা হলেও সত্য। ভোটারদের আস্থা বর্ধিত করতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচন আয়োজক হিসেবে ভোটার এডুকেশন আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন থেকেই দেশের সরকার বিরোধী প্রধান শক্তি বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে আসছে। গত রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরেও রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায়- যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসছে ততক্ষণ কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসছে। আগামী নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।’

এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে।’ এছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতাদের দেয়ালের লেখা পড়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের চোখের ভাষা দেখেন। দেখবেন এই সরকারের প্রতি মানুষের শুধু ঘৃণা আর ঘৃণা। এই মুহূর্তে সবাই চায় এই সরকারের পরিবর্তন।’

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেকরা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যে ধরনের বক্তব্য দিয়ে আসছে, তাতেই ঘাবরে গিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সরকার বিরোধী দলগুলো নিজস্ব সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করেছে মাত্র, রাজনৈতিক ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা বহুল প্রচলিত। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকার কারণেই সরকার বিরোধী দলগুলো সরকারের সমালোচনা করে এ ধরনের সরকার বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছে। এইটা স্বঅবাবিক। তবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের যে দায়িত্বগুলো রয়েছে- সে দায়িত্বগুলো প্রতিপালন করা অত্যন্ত জরুরী। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, ইতিপূর্বেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ সংসদীয় উপ-নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত করেছে এই নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনগুলোতে বিভিন্ন অভিযোগের অজুহাতে কেউ কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। তাতে করে নির্বাচন থেমে থাকেনি। এমনকি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেনি। সংসদীয় উপ-নির্বাচনে বগুড়া- ৪ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ও প্রমাণিত হয়নি। কাজে কাজেই অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের শঙ্কা থাকার কোনো কারণ নেই। তবে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনের উচিৎ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে গণমানুষের আস্থা অর্জন করা। এখন দেখার বিষয় জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন।

সিইসি   নির্বাচন   কাজী হাবিবুল আউয়াল   সিইসি   বিএনপি   জাতীয় পার্টি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আদালতে মিল্টনের রিমান্ড চাওয়া হবে: ডিবি

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। 

বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,’মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও নির্যাতনসহ প্রতারণার মামলার করা হবে। মিডিয়ায় যতো অভিযোগ এসেছে সব বিষয়েই তদন্ত করা হবে। এছাড়া রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এই বিষয়ে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৭৩ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু এই সব বহিষ্কার সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে তাদের আগ্রহ হারায়নি। বরং যারা উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী, তারা দলের নির্দেশ অমান্য করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

জাতীয় পার্টিকে উপজেলা নির্বাচনে তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং হতাশার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কিনা সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচটি শঙ্কা ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। 

১. ভোটার উপস্থিতি: উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোটার উপস্থিতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। একাধিক প্রার্থী যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, দলের ভিতর যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি পারে সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই কৌশল কতটুকু কার্যকর হবে, ভোটাররা ভোটে কতটুকু আগ্রহ দেখাবে- সেটি নিয়েও অনেকের সংশয় রয়েছে।

২. আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খল অবস্থা: উপজেলা নির্বাচনে একটা বড় শঙ্কার জায়গা হল আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা এবং এই বিশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে কারণে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থীদের সহিংসতার ঘটনা উপজেলা নির্বাচনকে উত্যক্ত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিভিন্ন স্থানে তার আলামতও পাওয়া যাচ্ছে।

৩. প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ: নির্বাচনে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি বড় বাধা। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ না শুনেই মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন। শুধু প্রার্থী করাই নয়, এলাকায় তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন। এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিপক্ষকে ঘাবড়িয়ে দেওয়া, ভোটারদেরকে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি প্রবণতাগুলো উপজেলা নির্বাচনকে ম্লান করতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।

৪. প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা: প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই পরামর্শ অনুযায়ী প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রভাবশালীরা যখন নির্বাচনের মাঠে হস্তক্ষেপ করবে তখন প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটুকু নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

৫. ভোটারদের অনীহা: উপজেলা নির্বাচনেও ভোটারদের অনীহা রয়েছে। কারণ একাধিক বিকল্প প্রার্থী এবং ভিন্নমতের প্রার্থী না থাকার কারণে উপজেলা নির্বাচন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের এই অনাগ্রহ উপজেলা নির্বাচনকে একটি সাদামাটা নির্বাচনে পরিণত করতে পারে বলেই অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। 

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

দ্বাদশ সংসদ অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আলোচিত সেই মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল কালবেলার প্রিন্ট ভার্সনে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। 

প্রায় সাড়ে আট বছর পর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে ছিলো ব্যাপক আমেজ। আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা হয় ব্যাপক। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত ছিলো সেই আমেজ। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হলে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। 

অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী, সমর্থক, এজেন্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ভোটের আগের দিন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ভুলু কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাহিরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। এতে করে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহির থেকেই নারী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেই বাড়ি ফিরেন। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানালেন, তিনি শান্তি চান। তিনি হয়রানি হতেও চান না কাউকে করতেও চান না। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, যদি কেউ মনে করে আবারো নির্বাচন করা দরকার তবে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে প্রস্তুত। 

পুলিশ সুপার তরেক বিন রশিদ বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের গাড়ির ওপর তারা হামলা করে। এঘটনায় দুই প্রার্থীকেই পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন