ইনসাইড বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ায় তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু

প্রকাশ: ০৯:৫৩ এএম, ০৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিন দিনব্যাপী এ লালন স্মরণোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যরিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম, কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাড: অনুপ কুমার নন্দী, কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ডা. এস এম মুস্তানজীদ প্রমুখ।
 
তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসবকে ঘিরে যেন মানুষের ঢল নামে লালনের আখড়া বাড়িতে। শহরের সব রাস্তা গিয়ে মেশে আখড়া বাড়িতে। বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের তিন দিনব্যাপী স্মরণোৎসবকে ঘিরে সাধু-ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত এখন লালনের আখড়া বাড়ি।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমার রাতে শুরু হয়ে থাকে এ লালন স্মরণোৎসব। তবে এবার পবিত্র লাইলাতুল বরাত’র কারণে দুইদিন আগে শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আঁখড়াবাড়িতে শুরু হয় তিনদিনের লালন স্মরণোৎসব।

আয়োজনকে ঘিরে ছেঁউড়িয়ায় মরা কালিগঙ্গা নদীর তীরের আখড়াবাড়িতে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমির উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে এবারও লালনের কর্মময় জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা সভা, দেশি-বিদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় লালন সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও মূল মাজারের সামনে মরা কালী নদী প্রাঙ্গণে বসেছে গ্রামীণ মেলা। এরই মধ্যে এই আয়োজনকে ঘিরে দেশের দূর-দুরান্ত থেকে লালন ভক্ত ও সাধুরা লালনের মাজার প্রাঙ্গণে আসন গেড়ে বসেছেন। এবারের লালন স্মরণোৎসবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।’

উৎসবকে ঘিরে সাধু ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত সাঁইজির ধাম। পরিবার পরিজনসহ অনেক দর্শনার্থী আসছেন ছেঁউড়িয়ায়। মরমি সাধক ফকির লালন সাঁইজি জীবদ্দসায় শিষ্যদের নিয়ে দোল পূর্ণিমায় ছেঁউড়িয়ার কালীগঙ্গা নদীর তীরে সারা রাত ধরে তত্ব কথা আলোচনা ও গান বাজনা করতেন। আজ আর কালী গঙ্গায় স্রোত নেই, মানুষ তাই নাম দিয়েছে মরাকালী গঙ্গা।

তবে নদীর স্রোত থেমে গেলেও সাঁইজির ভক্তরা থেমে যাননি। তার মৃত্যুর পরও ভক্ত-শিষ্যরা এ বিশেষ দিনটি পালন করে আসছেন বছরের পর বছর ধরে। তবে এবছর সেই নিয়মে হচ্ছে লালন স্মরণোৎসব। আগামী ৬ মার্চ দোল পূর্ণিমার রাতে লালন স্মরণোৎসবের উদ্বোধনের নিয়ম থাকলেও ৭ মার্চ পবিত্র লাইলাতুল বরাতের কারণে দুইদিন আগেই শনিবার উদ্বোধন হয় স্মরণোৎসব।

এ উৎসবে যোগ দিতে এরই মধ্যে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বাউল তীর্থভূমি ছেঁড়িয়ার আখড়াবাড়িতে ছুটে এসেছেন সাধু-গুরু, বাউল ভক্তরা। ছোট দলে ভাগ হয়ে দরদ ভরা গলায় গেয়ে চলেছেন লালনের গান। আবার কেউ বা মেতে উঠেছেন গুরুবাদি বাউল ধর্মের নিগুড় তত্ত্ব কথার আলোচনায়। এসেছেন দেশ বিদেশের নানা বয়সী দর্শনার্থীও।

আয়োজনকে ঘিরে মাজারকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। রাতে লাল-নীল আলোক সজ্জা, বিশাল তোরণ, মাজারের বাইরে বিস্তৃণ কালী নদীর পাড়ে তৈরি করা হয়েছে লালন মঞ্চ। সামনে বিশাল ছামিয়ানা টানানো হয়েছে। আলোচনা মঞ্চের চারপাশ লালন মাজারের প্রধান রাস্তাজুড়ে বসেছে গ্রামীণ মেলা। প্রেম ভক্তি আর ভালোবাসার টানে লালন ভক্ত অনুসারীরা জীবনের মধ্যে নতুন জীবন খুঁজে পাওয়ার শিক্ষা নিয়ে লালনের আখড়া বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। মূল মাজারের ভেতরে ছোট-ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ফকির-বাউলরা আসন পেতে বসেছেন।

ভাববাদী লৌকিক ভাবাদর্শের স্রষ্টা বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই। তার জীবদ্দশায় এমন ফাল্গুনের জোৎনালোকের রাত্রিতে প্রতি বছর চৈত্রের দোল পুর্ণিমা রাতে বসত সাধুসঙ্গ। এই উৎসবের একটা ভিত্তি হচ্ছে ঠিক এমনি এক দোলের দিনে লালন সাঁইজির আবির্ভাব ঘটেছিলো ছেঁউড়িয়ার কালী নদীর ঘাটে। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুও পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছেন তার অনুসারীরা।

লালন স্মরণোৎসব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২৪ পালিত

প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা

আমাদের নার্স আমাদের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক শক্তি, নার্সিং সেবায় ভিত্তিএই শ্লোগানে নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) সকাল ১০ টার দিকে নওগাঁর রুমিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়।

শোভাযাত্রাটি রুমিয়া নার্সিং ইন্সটিটিউট বকুলতলী হতে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এসে শেষ হয়। পরে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় রুমিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রহমাতুল ফাতিমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. ময়নুল হক দুলদুল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কায়েশ উদ্দিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি রোটারিয়ান চন্দন কুমার দেব, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরাদ হোসেন, পরিচালক আনতারা ফাহমিদা, কাজী কামাল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নওগাঁ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মাগফুরুল হাসান বিদ্যুৎ।  

আলোচনা সভা শেষে নার্সেস এর প্রতিষ্ঠাতা মিস ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ২০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও কেক কাটা হয়। এমসয় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস   শোভাযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্তানদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করতে অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের ফলাফল নিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফেল করেছে বলে গালমন্দ করবেন না। ফেল করেছে এতেই তো তাদের মনোকষ্ট। তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। পড়াশোনার দিকে আরও মনোযোগী করতে হবে। গালমন্দ করলে তারা সেটা নিতে পারবে না। এ সময় ফলাফল নিয়ে সন্তানদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

রোববার (১২ মে) সকালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, মেধা বিকাশের লক্ষ্যেই নতুন কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকার শিক্ষাখাতের ব্যয়কে বিনিয়োগ মনে করে। এছাড়া এবারের ফলাফলেও মেয়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রোববার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এরপর ১১টার দিকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এবছর সবচেয়ে বেশি পাশের হার যশোর বোর্ডে। এই বোর্ডের ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। অপরদিকে সবচেয়ে কম পাশের হার সিলেট বোর্ডে। এই বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ও ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন।

এদিকে, ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। এছাড়া, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তা শেষ হয় ১২ মার্চ। এবছর মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সারাদেশের ৩ হাজার ৭৯৯ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৮৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী   এসএসসি   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পা দিয়ে লিখে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেল রাব্বি

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে রাব্বি। সে স্বাভাবিক জন্মগ্রহণ করলেও ২০১৬ সালে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পর্শে তার দুটি হাত কাটা যায়।

রাব্বি সীতাকুণ্ডর ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বজলুর রহমানের ছেলে। সে হাজী তোবারাক আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

রাব্বির বাবা বজলুর রহমান বলেন, আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। আমার ছেলের মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করেছে কৃতিত্ব। অগণিত মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আমার ছেলের সঙ্গে আছে।

রাব্বি বলে, আমি যে শারীরিক প্রতিবন্ধী সেটা কখনো আমি চিন্তা করিনি। আমার মনোবল সব সময় শক্ত ছিল। ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবন শেষ করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রাব্বি।

ভাটিয়ারী হাজী তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও রাব্বি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো ফলাফল করায় আমরা মুগ্ধ। সে জীবনে অনেক বড় হোক এই প্রত্যাশাই করি। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৪ পালিত

প্রকাশ: ০১:৪৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে আন্তজার্তিক নার্স দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রা

জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ রবিবার (১২ মে) বেলা ১১ টায় শহরের প্রধান সড়কে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সটিটিউটের আয়োজনে শোভাযাত্রা শেষে নার্সিং হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ প্রভাষক আকলিমা খাতুন।

এসময় বক্তব্য রাখেন ইন্সট্রাক্টর ফারজানা খাতুন, শাহানারা বেগম, আয়েশা সিদ্দিকা ও জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে সহকারি স্টাফ নার্স সুফিয়া বেগম প্রমুখ। এসময় অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভায় নার্সিং শিক্ষা ও নার্সিং পেশায় জড়িত সকল সম্মানিত সদস্যকে নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।


আন্তর্জাতিক নার্স দিবস   শোভাযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেনীর পরশুরামে শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষকরা

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মাঠে-মাঠে এখন পাকা ধান। তবে শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষকরা। এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতি মণ ধানের জন্য খরচ পড়ছে দেড় হাজার টাকার মতো। এদিকে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৫০ টাকা। উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৩২৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড়ে ৫ থেকে সাত টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কমবেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক জানান, তিনি এবার আড়াইশ শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকামাকড়, রোগবালাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজারমূল্য অনেক কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।

পরশুরাম  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে শ্রমিকের দাম বেশি। কিন্তু তার বিপরীতে ধানের বাজার দাম কম হওয়ায় কৃষকরা লোকসান গুনছেন। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, পরশুরামে বিভিন্ন এলাকায় কম্ভাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে কম্ভাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটলে কৃষকদের খরচ বাঁচবে।


ফেনী   পরশুরাম   শ্রমিক   কৃষক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন