মন্তব্য করুন
“আমাদের নার্স আমাদের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক শক্তি, নার্সিং সেবায় ভিত্তি” এই শ্লোগানে নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
রবিবার (১২ মে) সকাল ১০ টার দিকে নওগাঁর রুমিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়।
শোভাযাত্রাটি রুমিয়া নার্সিং ইন্সটিটিউট বকুলতলী হতে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এসে শেষ হয়। পরে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় রুমিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রহমাতুল ফাতিমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. ময়নুল হক দুলদুল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কায়েশ উদ্দিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি রোটারিয়ান চন্দন কুমার দেব, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরাদ হোসেন, পরিচালক আনতারা ফাহমিদা, কাজী কামাল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নওগাঁ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মাগফুরুল হাসান বিদ্যুৎ।
আলোচনা সভা শেষে নার্সেস এর প্রতিষ্ঠাতা মিস ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ২০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
ও কেক কাটা হয়। এমসয় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী ও শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস শোভাযাত্রা
মন্তব্য করুন
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের ফলাফল নিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফেল করেছে বলে গালমন্দ করবেন না। ফেল করেছে এতেই তো তাদের মনোকষ্ট। তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। পড়াশোনার দিকে আরও মনোযোগী করতে হবে। গালমন্দ করলে তারা সেটা নিতে পারবে না। এ সময় ফলাফল নিয়ে সন্তানদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
রোববার (১২ মে) সকালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, মেধা বিকাশের লক্ষ্যেই নতুন কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকার শিক্ষাখাতের ব্যয়কে বিনিয়োগ মনে করে। এছাড়া এবারের ফলাফলেও মেয়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রোববার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এরপর ১১টার দিকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবছর সবচেয়ে বেশি পাশের হার যশোর বোর্ডে। এই বোর্ডের ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। অপরদিকে সবচেয়ে কম পাশের হার সিলেট বোর্ডে। এই বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ও ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন।
এদিকে, ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। এছাড়া, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তা শেষ হয় ১২ মার্চ। এবছর মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সারাদেশের ৩ হাজার ৭৯৯ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৮৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এসএসসি ফলাফল
মন্তব্য করুন
পা
দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে রাব্বি। সে স্বাভাবিক জন্মগ্রহণ করলেও ২০১৬
সালে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পর্শে তার দুটি হাত কাটা যায়।
রাব্বি সীতাকুণ্ডর ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বজলুর রহমানের ছেলে। সে হাজী তোবারাক আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
রাব্বির
বাবা বজলুর রহমান বলেন, আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। আমার ছেলের মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমের
মাধ্যমে অর্জন করেছে কৃতিত্ব। অগণিত মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আমার ছেলের সঙ্গে আছে।
রাব্বি
বলে, আমি যে শারীরিক প্রতিবন্ধী সেটা কখনো আমি চিন্তা করিনি। আমার মনোবল সব সময় শক্ত
ছিল। ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবন
শেষ করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রাব্বি।
ভাটিয়ারী
হাজী তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য বলেন,
শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও রাব্বি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো ফলাফল করায়
আমরা মুগ্ধ। সে জীবনে অনেক বড় হোক এই প্রত্যাশাই করি।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ রবিবার (১২ মে) বেলা ১১ টায় শহরের প্রধান সড়কে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সটিটিউটের আয়োজনে শোভাযাত্রা শেষে নার্সিং হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ প্রভাষক আকলিমা খাতুন।
এসময় বক্তব্য রাখেন ইন্সট্রাক্টর ফারজানা খাতুন, শাহানারা বেগম, আয়েশা সিদ্দিকা ও জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে সহকারি স্টাফ নার্স সুফিয়া বেগম প্রমুখ। এসময় অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় নার্সিং শিক্ষা ও
নার্সিং পেশায় জড়িত সকল সম্মানিত সদস্যকে নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক নার্স দিবস শোভাযাত্রা
মন্তব্য করুন
ফেনীর
পরশুরাম উপজেলার মাঠে-মাঠে এখন পাকা ধান। তবে শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটাতে পারছেন
না কৃষকরা। এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে
হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতি মণ ধানের
জন্য খরচ পড়ছে দেড় হাজার টাকার মতো। এদিকে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৫০
টাকা। উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৩২৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড়ে ৫ থেকে সাত টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কমবেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক জানান, তিনি এবার আড়াইশ শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকামাকড়, রোগবালাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজারমূল্য অনেক কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
পরশুরাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে শ্রমিকের দাম বেশি। কিন্তু তার বিপরীতে ধানের বাজার দাম কম হওয়ায় কৃষকরা লোকসান গুনছেন। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, পরশুরামে বিভিন্ন এলাকায় কম্ভাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে কম্ভাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটলে কৃষকদের খরচ বাঁচবে।
মন্তব্য করুন
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের ফলাফল নিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্তানরা ফেল করেছে বলে গালমন্দ করবেন না। ফেল করেছে এতেই তো তাদের মনোকষ্ট। তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। পড়াশোনার দিকে আরও মনোযোগী করতে হবে। গালমন্দ করলে তারা সেটা নিতে পারবে না। এ সময় ফলাফল নিয়ে সন্তানদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মাঠে-মাঠে এখন পাকা ধান। তবে শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষকরা। এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতি মণ ধানের জন্য খরচ পড়ছে দেড় হাজার টাকার মতো। এদিকে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৫০ টাকা। উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।