পৌর শহর থেকে দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার পিচঢালা পথ পেরোলে দরবেশ মেছের মাঝির (রা.) পূণ্যভূমি বানারীপাড়া উপজেলার আলতা গ্রামে আশ্রয়ণে সারি সারি সেমি পাকা রঙিন ঘর। দূর থেকে দেখলে মনে হয় সেমি পাকা এ ঘরগুলোর টিনের চালা যেন ‘লাল-সবুজের’ পতাকা। এর এক পাশে রয়েছে সন্ধ্যা নদীর শাখা বৃহৎ আকারের খাল আর অপর পাশে পিচঢালা পথ। খালের তীরে বাড়িগুলোর সামনে শোভা পাচ্ছে নানা ফুল-ফলের বাগান। রয়েছে নানারকম শাক-সবজির সবুজের সমারোহ। রঙিন টিনের আধাপাকা ঘরগুলো দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এ যেন এক খন্ড শান্তির নীড়। এই নীড়েই সুখের স্বপ্ন গড়েছেন সহায়-সম্বলহীন এক দল নারী-পুরুষ। খাল ও সড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই পল্লীতে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ১২৩।
জনসংখ্যার
হিসাবে এখানে ৫ শতাধিক নারী-পুরুষের বসতি। শুরুতে মাটির ভিটায় কাঠ ও বাঁশের
বেড়া আর ওপরে টিনের
ছাউনি দিয়ে তৈরি ১০টি
ঘরে বসবাস শুরু হলেও এখন
এখানে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর
উপহারের ১২৩ ঘরেই শান্তির
বসবাস তাদের। হাঁস-মুরগি, গবাদি
পশু পালন ও সবজির
বাগানসহ নানা উপায়ে স্বাবলম্বী
এ মানুষগুলো। শিক্ষার ছোঁয়াও লেগেছে তাদের মধ্যে। এখানকার অর্ধশত ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করে প্রাথমিক ও
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
সোমবার (২০
মার্চ) বসন্তের স্নিগ্ধ সকালে সরেজমিনে এ আশ্রয়ণে গিয়ে
দেখা যায়, মৃদুমন্দ বাতাসে
খালের পাড়ে ঘরের আঙিনার
গাছে ঢেঁড়শ ও মরিচের নাচন।
পাশের মাচায় লকলকিয়ে বাড়ছে সিম আর লাউ,নিচের গাছে ঝুলছে ছোট
ছোট বেগুন ও লাল-সবুজ
টমেটো। রয়েছে পেপে ও মিষ্টি
কুমড়া সহ নানা সবজি।
গাছে গাছে আমের মুকুল
জানান দিচ্ছে শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তের আগমন। নারকেল, সুপারী, আমড়া, চিনা বাদাম, পেয়ারা
ও মাল্টাসহ নানা জাতের ফলের
বাগান দিন দিন এ
পল্লীকে সমৃদ্ধ করছে। এর পাশেই সুবাস
ছড়াচ্ছে গাছের বাহারী রঙিন ফুল। রয়েছে
হাস-মুরগি আর গবাদী পশুর
খামার। এদিক ওদিক ছোটাছুটি
করে খেলছে শিশু-কিশোরের দল।
পুরুষরা
ছুটছেন দৈনন্দিন কাজে। নারীদের কেউ কেউ ব্যস্ত
হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগলের
খামার আর নিজ আঙিনায়
গড়ে তোলা সবজি বাগানের
পরিচর্যা নিয়ে। আবার কেউবা ব্যস্ত
কাগজের মোড়ক (ঠোঙ্গা) তৈরী ও সেলাইয়ের
কাজে। ক্ষুদ্র দোকানও ঘরে তুলেছেন কেউ
কেউ। এক কথায় ছোট
পরিসরে আদর্শ রঙিন ছিমছাম সারি
সারি ঘর। আর সেই
সুখনিলয়ের আঙিনায় সবজি খেতে কাজ
করছিলেন শেফালী মন্ডল (৭০) নামের এক
বিধবা বৃদ্ধা। এক পর্যায় তিনি
ঘরের বারান্দায় কাগজের মোড়ক তৈরী করতে
বসেন। ১৫ বছর আগে
স্বামী জ্ঞানেন্দ্রনাথ মন্ডলের মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে
দিলীপকে নিয়ে তিনি পিরোজপুর
জেলার নাজিরপুর উপজেলা থেকে জীবন-জীবিকার
তাগিদে বানারীপাড়ায় আসেন। পৌর শহরের ১নং
ওয়ার্ডে কুন্ডু বাড়িতে ভাড়া বাসায় থেকে
মা-ছেলে মিলে কাগজের
মোড়ক তৈরি করে জীবিকা
নির্বাহ করতেন। জমিসহ সুন্দর পাকা ঘর করে
দেওয়ায় মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করেন তিনি।
আরেক
বাসিন্দা শাহীন শিকদারের স্ত্রী সাথী (৩২) জানান, এর
আগে তারা পৌর শহরের
৪নং ওয়ার্ডে ভাড়া থাকতেন। মনোরম
পরিবেশে জমিসহ রঙিন পাকা ঘর
পেয়ে তারা আবেগ আপ্লুত।
শহিদ খলিফার স্ত্রী ঝুমুর (৩০) জানান, এর
আগে তারা পৌর শহরের
৩নং ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। পিঠা বিক্রি করে
তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। নদীগর্ভে বাড়িঘর বিলীন হওয়ায় তারা পিরোজপুরের পাড়েরহাট
থেকে এখানে পাড়ি জমান। প্রমনেন্দ
হালদার (৭০) জানান, তিনি
পেশায় কাঠমিস্ত্রী। তিনি আগে বানারীপাড়া
সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মাছরং
গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি জানান, এখানের
পরিবেশ অনেক ভালো, শুধু
জমিসহ ঘরই নয় ফ্রি
বিদ্যুৎ সংযোগ, রান্না ঘর, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার
ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা
দিয়ে আমাদের জীবনকে মধুময় করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি
আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
তপন
বিশ্বাসের স্ত্রী পপি বিশ্বাস (৩০)
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে নিজের
অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আগে
আমরা এখানেই ছোট ভাঙ্গা ঘরে
থেকে শিশু সন্তান নিয়ে
শীত-বৃষ্টি মৌসুমে লড়াই করে অনেক
কষ্টে জীবন যাপন করতাম।
সরকার আমাদের নতুন ঘর দেয়ায়
এখন আমরা পরিবার পরিজন
নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। আগের মত কষ্ট
আর নেই। স্থানীয় এনজিও
থেকে ঋণ নিয়ে স্বামীকে
মাছ শিকারের জাল কিনে দিয়েছি।
নদীতে মাছ শিকার করে
আবার কখনও পানের বরজে
কাজ করে তাদের সংসার
চলছে। তিনি আরো জানান,
আমরা এখানের পুরনো বাসিন্দা। পূর্বে এখানে ১২/১৩ বছর
আগে ১০টি টিন-কাঠের
ঘর ছিলো। তখন থেকেই এখানে
আমরা ১০টি পরিবার বসবাস
করে আসছি। বিধবা হাসিনা বেগম (৬০) জানান, আমরা
উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বৌসেরহাট গ্রাম থেকে এসেছি। বাড়িঘর
সব সন্ধ্যা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় এখানে একটু মাথা গোঁজার
ঠাঁই হলো। একই ইউনিয়নের
৩ নং ওয়ার্ড উত্তরকুল
গ্রাম থেকে এসেছেন সিদ্দিকুর
রহমান (৬৫)। তিনি
এর আগে পৌর শহরের
৩নং ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। দু’শতক জমিসহ
ঘর পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত।
সুন্দরী
বেগম নামের ষাটোর্ধ্ব নারী জানান, বঙ্গবন্ধুর
মেয়ে শেখ হাসিনা আমাগো
মাথা গোঁজার ঠাই এ শান্তির
নীড় গড়ে দেওয়ায় মহান
আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাই
তাঁকে যেন একশ’ বছর
সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রেখে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে
রাহেন।
এভাবেই
এই সুখের পল্লীতে সুখে আছেন ১২৩টি
পরিবারের ৫শতাধিক শিশু ও বৃদ্ধসহ
নারী-পুরুষ। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গৃহীত এই উদ্যোগের অংশ
হিসেবে অসহায় ভিক্ষুকরাও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই ঘর। এসব
প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে,
হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি ঘরে মিলেমিশে আছে।
দিন যতই যাচ্ছে একে
অপরের সুখ-দুঃখের সঙ্গীও
হচ্ছে। এ যেন সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
জেলা
প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গৃহহীন-ভূমিহীনরা স্বপ্নের এ পাকা ঘরগুলো
পেয়েছেন। এতে করে এই
অসহায় মানুষগুলোর জীবনমান বদলে গেছে। এই
মানুষগুলোর একসময় ছিলোনা নিজস্ব কোন স্থায়ী ঠিকানা।
খাস জমি কিংবা অন্যের
জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে
আবার কেউ স্বল্প টাকার
ভাড়া বাসায় থেকে পরিবার পরিজন
নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ উপহারের
বাসস্থানসহ নানাবিধ সুবিধার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে তাদের
জীবনমান। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এই ঘর অনাবিল
হাসি ফুটিয়েছে তাদের মুখে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন
ঘরে থাকার আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের
মনোরম পরিবেশে নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী
ঘর পেয়ে। সরেজমিনে এসব ঘরে বাস
করা মানুষদের দেখা যায়, মানবেতর
জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে
এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দে
পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাবন
করছেন।
এদিকে
আগামীকাল ২২ মার্চ বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি
বানারীপাড়া পৌর শহরের ১
নম্বর ওয়ার্ডের চতুর্থ পর্যায়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৭ টি ঘরসহ
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট ১৪২টি জমিসহ
সেমি পাকা ঘর হস্তান্তরের
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ফলে এ নিয়ে
উপকারভোগীসহ গোটা উপজেলার মানুষের
মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনা বিরাজ
করছে। পৌর শহরের ১
নম্বর ওয়ার্ডে সন্ধ্যা নদী ও এর
শাখা খালের তীরে মনোরম পরিবেশে
গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে
প্রধানমন্ত্রীর এ ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানের প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান
ও জেলা প্রশাসক মো.
জাহাঙ্গীর হোসেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নতুন এ
আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করে গেছেন।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল
আহসান বলেন, পিছিয়ে পড়া মানুষদের সবার
আগে সেবা প্রদানের এ
আশ্রয়ন প্রকল্প সারা বিশে^ ‘অর্ন্তভূক্তিমূলক
শেখ হাসিনা মডেল’ হিসেবে পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। মুজিব
শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের জমিসহ এই পাকা ঘর
অনাবিল হাসি ফুটিয়েছে অসহায়
মানুষের মুখে। আশ্রয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সব ধরনের সহায়তা
ও পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে
নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শও দেওয়া
হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক মো.
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,বানারীপাড়ার সন্ধ্যা ও
এর শাখা নদীর তীরে
মনোরম পরিবেশে আশ্রয়নে ২ শতক জমিসহ
সেমি পাকা ঘরগুলো নির্মাণ
করা হয়েছে। গৃহহীন-ভূমিহীনরা জমিসহ স্বপ্নের এ পাকা ঘর
পাওয়ায় এই অসহায় মানুষগুলোর
জীবন বদলে গেছে। এই
মানুষগুলোর একসময় ছিলোনা নিজস্ব কোন স্থায়ী ঠিকানা।
তারা মানবেতর জীবনযাপন করতেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ উপহারের
বাসস্থানসহ নানাবিধ সুবিধার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে তাদের
জীবনমান।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম ফারুক বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী
দেশরন্ত শেখ হাসিনা ২২
মার্চ বানারীপাড়া উপজেলাকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন
মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন। উপকারভোগীসহ বানারীপাড়াবাসীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুুয়ালি এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে
ঘিরে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর মাঝে সৃষ্টি হয়েছে
ব্যপক উৎসাহ ও উদ্দিপনা। সেই
মাহেন্দ্রক্ষনের জন্য বানারীপাড়াবাসী এখন
উন্মূখ হয়ে আছে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতিমা আজরিন তন্বী বলেন, 'দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন
ও গৃহহীন থাকবেনা'- মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন
ঘোষণা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে
বানারীপাড়া উপজেলা প্রশাসন। বানারীপাড়ায় সদর ইউনিয়নের আলতার
এ আশ্রয়ণসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর
বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায়
২০২০-২১ অর্থ বছরে
মোট ৩৮০টি পরিবারের জন্য সেমি পাকা
ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তর করা
হয়েছে। এসব আশ্রয়নে বসবাসকারী
উপকারভোগীদের জীবনমান আমূল বদলে গেছে।
আগামী জুন মাসে বানারীপাড়া
উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত
করার মানসে কাজ চলছে। ২২
মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের মাধ্যমে পৌর শহরের ১
নম্বর ওয়ার্ডসহ উপজেলার বাইশারী,সলিয়াবাকপুর ও ইলুহার ইউনিয়নে
৪র্থ পর্যায়ে নির্মিত জমিসহ আরও ১৪২টি সেমি
পাকা ঘর উপকারভোগীদের মাঝে
হস্তান্তর করবেন বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সেনাপ্রধান মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া
মন্তব্য করুন
আগামী মে মাসে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ সামরিক মহড়া হতে পারে বলে চীনা গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। আগামী মে মাসে এই মহড়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ও পিপলস ডেইলি। এরকম একটি সামরিক মহড়া এই অঞ্চলে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া ফেলবে তা নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে নানারকম প্রশ্ন উঠেছে।
চীনের তথ্য অনুযায়ী, দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতেই চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর একটি কন্টিনজেন্ট যৌথ মহড়ায় যোগ দিতে আগামী মে মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে আসবে। আর এই বিষয়ে গতকাল দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালকে জিজ্ঞেস করা হয়। তিনি বলেন যে, প্রতিবেশী দেশ কিংবা উন্নত এই ধরনের মহড়ার ওপর ভারত সবসময়ই দৃষ্টি রাখে।
গত কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ নিয়ে চীনের অতি আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটে সহায়তা করার জন্য যেমন তারা আশ্বাস দিচ্ছে, তেমনই নানা ধরনের প্রকল্প প্রস্তাব নিয়েও চীন আগ্রহ দেখাচ্ছে।
চীনের সঙ্গে ভূরাজনীতিতে ভারতের কৌশলগত বিরোধ রয়েছে। এমন এক সময়ে চীন বাংলাদেশে এই যৌথ সামরিক মহড়া করতে যাচ্ছে যে সময় ভারতের নির্বাচন হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে এখন ভারতের নীতি নির্ধারক এবং সকলের দৃষ্টি নির্বাচনের দিকে। আর একারণেই এখন চীনের এই সামরিক মহড়ার যৌক্তিকতা এবং এর প্রভাব এই উপমহাদেশের শান্তি এবং নিরাপত্তায় কীভাবে পড়বে তা নিয়ে নানা রকম আলাপ আলোচনা চলছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, মালদ্বীপ হারানোর পর ভারতের এই অঞ্চলে কৌশলগত একমাত্র মিত্র হল বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে নানা বাস্তবতার দিক থেকে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন এবং সেভেন সিস্টারে শান্তি ও অখণ্ডতা সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতও বাংলাদেশকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করেছে। গত নির্বাচনে ভারতের সহযোগিতার কথা আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন। আর দুই দেশের সম্পর্ক ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর যখন নতুন মাত্রায় উত্তীর্ণ হবে ভাবা হচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন যে, তিনি প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাবেন ভারতে। আবার প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরেও ভারতে যাওয়ার কথা। নির্বাচনের পরপর এরকম একটি সফর হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানানও হয়েছে। কিন্তু যখন দুই দেশের সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রা স্পর্শ করছে তখন ভারতের মধ্যে বাংলাদেশের চীনপ্রীতি এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ অমূলক নয় বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তিনটি প্রধান দেশেরই আগ্রহ রয়েছে।
বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের পর চীনকে অনেক আগ্রাসী কূটনীতিতে দেখা যাচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। এমনকি যে সমস্ত মন্ত্রীরা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচিত, তাদের সাথেও চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে চীনের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ নগদ অর্থ বা ঋণ এর দায় মেটানোর জন্য চীনের কাছে হাত পাততে পারে এমন গুঞ্জনও রয়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ যে এতদিন ধরে ভারসাম্যের কূটনীতি রক্ষা করেছিল সেটি কতটা রক্ষা করতে পারবে সেটি এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। আর চীনের সাথে এই যৌথ সামরিক মহড়ার ফলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনদিকে যায় সেটাও দেখার বিষয় বলে অনেকে মনে করছেন।
বাংলাদেশ ভারত চীন ভূরাজনীতি সামরিক মহড়া
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এদিন দ্বিপক্ষীয় ও একান্ত বৈঠকের পর পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি ছাড়াও একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়।
বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করার প্রস্তাবও দিয়েছিলাম।
বাংলাদেশ একটি নিকট প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের। দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আমরা থাইল্যান্ডকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখছি।
এদিন বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান আয়তন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেন এবং শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহজিকরণ এবং ব্যবসা সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। সরকারপ্রধান বলেন, আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে, বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।
এদিন বৈঠকে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিমসটেক মোট ১.৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সরকারপ্রধান দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
নরসিংদীর শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে প্রেমিক সিফাত (১৯) নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমিকার মৃত্যুর ১৯ দিন পর ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিক সিফাত পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেল আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন একসঙ্গে থাকতে পারি। আমার শেষ ইচ্ছা তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি পরিস্থিতির শিকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য
তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না, এমনকি আমার কোনো ভাই-ব্রাদার বা বন্ধুও দায়ী
না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতে হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি
কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করব। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা
কইরো না। বেঁচে থেকে আর কি হবে, যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নেই।’
সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আমারে কথা দিছিলো যদি বাঁচি তো একসঙ্গে বাঁচমু
আর যদি মরতে হয় তো একসঙ্গে মরমু। আমি তানহারে এই কথাটাই দিছিলাম। কিন্তু একটা চরিত্রহীন
জানোয়ার আমাদের সুখে থাকতে দিল না। ওদের অত্যাচারে তানহা আত্মহত্যা করল। এক প্রকার
তারা তানহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করল। জানোয়ারের পরিবারকেই আমি খুনি বলে দাবি করি।
আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে জানোয়ারের পরিবার স্বাধীনভাবে চলবে, ওদের কোনো সাজা হবে না।
আর অন্যদিকে আমার তানহা শেষ, আমি অর্ধেক শেষ আমার পরিবারও শেষ। আমি আর কষ্ট সহ্য করতে
পারছি না (প্রমাণ হয়ে যাক দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসতাম) আর আমি চরিত্রহীন জানোয়ারের
পরিবারের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা দেওয়া হোক অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে যেন
এমন না হয়। আর যেন কারও প্রাণ না ঝরে। কেউ যেন ব্ল্যাকমেইলের শিকার না হয়। আমার শেষ
একটাই ইচ্ছে- আমরা দুজনে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম, বাস্তবে তা হলো না। তাই
আমার মৃত্যুর পর তানহার কবরের পাশে যেন আমার কবর দেওয়া হয়। আমি আঙ্গুররে মারছি শুধু
একটা কারণে, হেয় তানহার হাতে ধরছিল। তানহারে খারাপ প্রস্তাব দিছিল। আমি সহ্য করতে পারি
নাই। তাই হেরে কোবাইছি। আমরা প্রেম করছি এটাই কি অপরাধ ছিল। আমাদের জীবন শেষ করে দিল।
ভালো থাকুক আঙ্গুর আর আঙ্গুরের পরিবার।
এদিকে সিফাতের বাবা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাতো বোন খলিলের
মেয়ে তানহার (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ছেলে সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল দিবাগত
রাত ২টার সময় তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে
ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)।
এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কুপ্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কুপ্রস্তাবে
রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে। পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে
কুপিয়ে আহত করে। মারামারির বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। লোকলজ্জায় গত ৬ এপ্রিল রাতে
তানহা নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এসব বিষয়ে গ্রামীণ সালিস দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিস দরবারে আমাকে
ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। দরবারে গেলে
জমির দলিল নিয়ে যেতে বলতো। এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে
ছেলে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি।
শিবপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ
উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো
হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন
আগামী মে মাসে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ সামরিক মহড়া হতে পারে বলে চীনা গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। আগামী মে মাসে এই মহড়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ও পিপলস ডেইলি। এরকম একটি সামরিক মহড়া এই অঞ্চলে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া ফেলবে তা নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে নানারকম প্রশ্ন উঠেছে।