ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছে সংসদ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পঞ্চাশ বছরের পথচলায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র অগ্রায়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। সরকারের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে।’

শুক্রবার (৭ মার্চ) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে দেওয়া প্রস্তাব উত্থাপনকালে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব তোলার পর এর ওপর সংসদে আলোচনা শুরু হয়। সরকারি দলের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম আলোচনায় অংশ নেন।

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত প্রস্তাবটি হচ্ছে- বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখব। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সবার জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারসমূহ পূরণে আমরা সবাই একযোগে কাজ করবো, গড়ে তুলবো আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা- এই হোক আমাদের প্রত্যয়।

প্রস্তাব উত্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সালের পরে এদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে। যার ফলে একটা স্থিতিশীলতা আছে। মাঝে মাঝে আমাদের প্রতিবন্ধকতা, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়। তারপরও বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আশাকরি ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ৫০ বছরের পথপরিক্রমা অনেক ক্ষেত্রেই মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বারবার সামরিক ফরমান জারি করে সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও জাতীয় সংসদের ওপর আঘাত হানা হয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, সামরিক ও স্বৈরশাসনের পালাবদলের মধ্য দিয়ে সংবিধানের চার মূলনীতিতে আঘাত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে কালো আইনে পরিণত করা ছিল সংসদীয় ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। পরবর্তীকালে সপ্তম সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম করা হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে। সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে মন্ত্রীর পরিবর্তে সদস্যদের নির্বাচিত করা হচ্ছে। বিরোধীদলের সদস্যদের থেকে স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সিপিএ ও আইপিউতে সভাপতিত্ব ছিল বাংলাদেশের সংসদের প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আস্থার প্রতীক। নারীর ক্ষমতায় বাংলাদেশের সংসদ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘বর্তমান সংসদের স্পিকার, সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেতা, একজন হুইপ, চারজন নারী স্থায়ী কমিটির সভাপতির ভূমিকা পালন করছেন। জাতীয় রাজনীতিতে নারীদের উৎসাহিত করতে সংসদে নারী আসন ৫০টিতে উন্নীত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত তিন মেয়াদে জাতীয় সংসদের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা, সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থায়িত্ব ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ক্ষেত্র রচনা করেছে। জনগণের জীবনমান উন্নয়নে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। দারিদ্র্য বিমোচন, দুর্যোগ মোকাবিলা, নারী ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের মঞ্চ মহান জাতীয় সংসদ সরকারের সামগ্রিক উন্নয়নের অংশীদার। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্জনসমূহ সংসদে আলোচনার মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপিত হয়।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘একটি বিরল দৃষ্টান্ত জাতির সামনে রেখে গিয়েছিলেন জাতির পিতা। ইচ্ছা থাকলে যে কত দ্রুত একটা দেশকে পুনর্গঠন, পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন করা যায় তা তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন। আজকে তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠতো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলি। তাই ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সালের পরে এদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে। যার ফলে দেশে একটা স্থিতিশীলতা আছে।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে গণপরিষদ এবং প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি লক্ষ্য নিয়েই রাজনীতি করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা এবং মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা আছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। সে পতাকা হাতে নিয়ে তিনি যত্ন সহকারে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।’

প্রথম জাতীয় সংসদের আরেক সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘ষড়যন্ত্র নানা দিকে বিস্তৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই। কিন্তু সেখানে বাধা আছে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশে চাকরি দিয়েছিল তারাই বড় বাধা।’

সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে সরকারি দলের এই সিনিয়র সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘গ্রামের মানুষ এখন একবেলাও অভুক্ত থাকে না। সংসদ সদস্যরা এর সাক্ষী।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ ফজলুর রহমান সেলিম বলেন, ‘আর যেন কোনো সামরিক জান্তা ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে সংসদের চলতি বিশেষ অধিবেশনের চতুর্থ দিন আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রী উত্থাপিত প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। 


সরকার   সংসদ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন।


সেনানিবাস   প্রধানমন্ত্রী   সেনাবাহিনী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অননুমোদিত স্টিকারযুক্ত ৩৬৩ গাড়িতে মামলা

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত যানবাহন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের ৮টি ট্রাফিক বিভাগ গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত মোট তিন হাজার ১৭৪টি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। এরমধ্যে ৩৬৩টি অননুমোদিত স্টিকার, ৪৬১টি ফিটনেসবিহীন ও দুই হাজার ৩৫০টি অবৈধ যানবাহন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

এস এম মেহেদী হাসান বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার স্টিকারের অবৈধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করছে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এ অভিযান চলমান থাকবে। ব্যক্তিগত গাড়িতে পুলিশসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ২ হাজার গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক প্রসিকিউশন ব্যবস্থাপনা, সময়োপযোগী ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়ন এবং ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগকল্পে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বিশেষ করে স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সাথে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব পালনে জনগণের সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরছে’।

ডিএমপির ৮টি বিভাগের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ট্রাফিক রমনা বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪০টি মামলা করেছে। ৭৪টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এছাড়াও ১৮৮টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৬৪টি মামলা করেছে। ৪৬টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এছাড়াও ৩টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা করেছে। ২০টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০৭টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা করেছে। ৪২টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ২১৫টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। ৫৩টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০৪টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে। ৬১টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ১২৩টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে। ৯৪টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ৭৬টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা করেছে। ৭১টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও এক হাজার ৩৩৪টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।

মেহেদী হাসান বলেন, সম্প্রতি চলমান তাপপ্রবাহে কর্তব্যরত ট্রাফিক, সাধারণ মানুষ, পথচারী, রিকশাচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের একটু স্বস্তি দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে।

গেল মাসের রোববার (২৮ এপ্রিল) মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে কর্তব্যরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন। গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়টি নজরে রাখবেন।


ডিএমপি   মামলা   ফিটনেসবিহীন যানবাহন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রবাসে বসে এনআইডি করতে দিতে হবে রঙিন ছবি

প্রকাশ: ১২:৩৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বাহিরে বসে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে রঙিন ছবি দিতে হবে প্রবাসীদের। বৈধ পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে রঙিন ছবি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, প্রবাসীদের এনআইডি সহজীকরণের লক্ষ্যে ছয়টি দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, ইতালি, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও কুয়েত৷ প্রবাসীদের আধিক্য রয়েছে ভবিষ্যতে এমন আরো ৪০টি দেশে এই সেবা নিয়ে যেতে চায় সংস্থাটি।

ইতোমধ্যে যে সকল দেশে কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেসকল দেশ থেকে ১০ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে। অনেকের আবেদন তদন্ত শেষে নিষ্পত্তিও করা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আবেদন যথাযথ না হওয়ায় অনেকের আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়নি। এক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন ও রঙিন ফটো জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনেক প্রবাসী তা পূরণ করতে পারছে না। সম্প্রতি দূতাবাসে কর্মরত এনআইডি কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইসির সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে ছয়টি দেশ থেকে প্রবাসীদের ভোটার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান আছে। উক্ত দেশের দূতাবাস/কনস্যুলার অফিসসমূহ থেকে যে সকল ভোটারের বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয়েছে তার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সম্পন্ন করে সিস্টেমে তদন্ত প্রতিবেদন আপলোড করার জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাগণকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দূতাবাস/কনস্যুলার অফিসে কোন কোন আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয়েছে এবং কোন কোন আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয়নি তা উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস হতে দেখার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ছবি, জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট সিএমএস এ অ্যাটাচ করা হয়েছে কিনা তাও দেখার সুযোগ রয়েছে। এ তিনটি ডকুমেন্ট তদন্তের ক্ষেত্রে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার জন্য সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের জন্য ছবি, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট এই তিনটি ডকুমেন্ট বায়োমেট্রিক গ্রহণের সময় জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যা দূতাবাস/কনস্যুলার অফিস হতে কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিএমএস) আপলোড করা বাধ্যতামূলক। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট সংযুক্ত করা হলেও কালার ছবি দূতাবাস/কনস্যুলার অফিস হতে সিএমএস এ সংযুক্ত করা হচ্ছে না। এদিকে বায়োমেট্রিক গ্রহণ করার পর সিস্টেমে বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয়েছে কিনা এই স্ট্যাটাস আপডেট দিতে দেরি হচ্ছে। বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস/কনস্যুলার অফিসের জন্য এনআইডি হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত টেকনিক্যাল কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে ইসি কর্মকর্তারা জানান, কোনো ডকুমেন্ট বাদ পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদন বাতিল না করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে আবেদনটি পেন্ডিং রেখে তথ্য চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো তথ্য বাদ পড়লে তা পরবর্তীতে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে প্রবাসীদের।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে এনআইডি পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে ইসি। আবেদনে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা। তবে সকল কাগজপত্র না থাকায় অনেকেই আবেদন করছেন না বলেও পর্যবেক্ষণ তাদের।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, পাসপোর্ট ছাড়া কারো আবেদনই আমরা আমলে নিচ্ছি না। এক্ষেত্রে যারা অবৈধভাবে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু করতে পারছি না। কেননা, নীতিমালা অনুযায়ী, অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বা বৈধ পাসপোর্ট যাদের নেই তাদের আবেদন আমলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, অনেকেই আবেদন করলেও তদন্তে গিয়ে সত্যতা মিলছে না। ফলে তাদের আবেদন বাতিল করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের দেশে এসেই আবেদন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগটি হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থারত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়।

সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা।


নির্বাচন কমিশন   এনইডি   প্রবাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শর্শায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসভবনের সামনে বোমা বিস্ফোরণ


Thumbnail

যশোরের শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের বাসার সামনে গভীর রাতে দুইটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দূর্বত্তরা।

 

শনিবার (৪ মে) দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের সময় শার্শার রাজনগর মোড়ে তার নিজস্ব বাসভবনের সামনে এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায় দূর্বত্তরা। তবে এ ঘটনায় কোন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জের মুখে তরুণ মন্ত্রীরা

 

এদিকে গভীর রাতে হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের পরিবার সহ আশেপাশের মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

 

অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল জানান, রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে পরিবারের সবার ঘুম ভেঙে যায়। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৩টা ৪৫ মিনিট। তড়িঘড়ি উঠে পর্যবেক্ষণ করে দেখি বাসার সামনে দূর্বত্তরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। 


আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তারেকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেতাদের

 

এসময় পরিবারের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে জানালে পুলিশ এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। 

 

এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। বোমা বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কে বা কারা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


চেয়ারম্যান প্রার্থী   বোমা বিস্ফোরণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাপ্তাইয়ে বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের ‍সুইচ ইয়ার্ডে আগুন

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের সুইচ ইয়ার্ডে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (৫ মে) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।


বিদ্যুতের সাব-স্টেশন   আগুন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন