‘র্যাগিং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ি, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র্যাগিং বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের তৃতীয়তলার সভাকক্ষে শনিবার (০৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
এ্যান্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন
আজাদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্য রাখেন ভিসি প্রফেসর ড.
শেখ আবদুস সালাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন
ভুঁইয়া। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.
এ কে এম মতিনুর
রহমান, জীব বিজ্ঞান অনুষদের
ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল
ইসলাম, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন,
শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ও
প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা,
লালন শাহ হলের প্রভোস্ট
প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল
ইসলাম, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মিয়া মোঃ
রাসিদুজ্জামান, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর
ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, খালেদা
জিয়া হলের প্রভোস্ট ড.
ইয়াসমিন আরা সাথী, ফাইন
আটর্স বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ.এইচ.এম আক্তারুল ইসলাম,
ল এ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সাহিদা আক্তার প্রমুখ।
সভায়
বক্তারা বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার, সকলকে র্যাগিং প্রতিরোধের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে
হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকেরই একটি শ্লোগানটি হবে
আমি মানবিকতা বিবর্জিত কাজ করব না
এবং আমার দ্বারা কেউ
ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং
কোনভাবেই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটবে না। তাহলেই
সকল ধরনের র্যাগিং প্রতিরোধ
করা সম্ভব হবে। বক্তারা আরও
বলেন, র্যাগিংয়ের ফলে
শারীরিক-মানসিকতার পাশাপাশি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাচ্ছে যা আমাদের মর্যাদা
ও মাথা উঁচু করে
দাঁড়াতে দিচ্ছে না। তাই মানবিক
ও বসবাসযোগ্য দেশ ও শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান গড়তে হলে মানবিকবোধ
সম্পন্ন মানুষ হতে হবে।
মতবিনিময়
সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম আলী
হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের
পরিচালক ড. মোঃ নওয়াব
আলী ও তথ্য, প্রকাশনা
ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক(ইন-চার্জ) ড.
আমানুর আমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি
পরিচালনা করেন এ্যান্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির সদস্য-সচিব উপ-রেজিস্ট্রার(প্রশাসন) মোঃ আব্দুল হান্নান।
এর আগে গত রোববার (২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এ্যান্টি র্যাগিং বিষয়ক এক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃুত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে গিয়ে শেষ হয়।
ইবি র্যাগিং বিরোধী সভা র্যাগিং
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।