ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘনার বুকে নতুন নতুন চর, ইলিশ যেন ডুমুরের ফুল

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ০৯ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে নতুন নতুন ভাসমান ও ডুবোচর জেগে উঠেছে। এতে লঞ্চ, ফেরী এবং সাধারণ নৌকা চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। ডুবোচরের কারণে নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ উৎপাদনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নতুন চর জেগে ওঠায় নদীর স্বাভাবিক জোয়ারে পানি উপকূল এলাকাগুলোতে ঢুকে লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে বহু জনপথ, ভাঙ্গছে নদীর তীর। মেঘনাপাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা, ফেরী ও লঞ্চ চালক, জেলে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। মেঘনার বুকে জেগে উঠা এসব চরে নতুন স্বপ্ন না দেখে এসব চর ভোগান্তি বাড়াচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা বলছেন, মেঘনা নদীর অববাহিকায় জেগে উঠা এসব চর দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। নতুন চর জেগে নদীর তলদেশে ঢাল তৈরি হয়েছে। এতে পানি প্রবাহ বিঘ্ন হচ্ছে। পানি স্বাভাবিক নিয়মে প্রবাহিত হতে না পেরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নদীতীরে। এতে নদী তীর ভাঙ্গছে এবং লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির কার্যালয় থেকে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর ও ভোলা রুটে নৌযোগাযোগ ঠিক রাখতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২৫ কিলোমিটার নদীপথ ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। ওই বছর ডিসেম্বর মাসে মজুচৌধুরীর হাট থেকে চর রমণী মোহন এলাকায় মেঘনার লোয়ার চ্যানেলে ড্রেজিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজু চৌধুরীহাট এলাকার জেলে সাজু মাঝি, হোসেন এবং কমলনগর উপজেলার জেলে সিরাজ। তারা তিনজন মেঘনায় প্রায় ৪০ বছর যাবত মাছ ধরেন। তারা জানায়, মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর অংশে প্রচুর নতুন নতুন চর পড়ছে। লক্ষ্মীপুরের উত্তর সীমানা চর ভৈরবী থেকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ একটি চর দৃশ্যমান রয়েছে। প্রায় ৮ কিলোমিটার প্রস্থের এ চরটি বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন নাম ধারণ করেছে। কমলনগর এলাকায় মাতব্বরহাট, নাসিরগঞ্জ, পাটারিহাট, লুধুয়া, বালুর চর এলাকায় একটি করে নতুন চর জেগে উঠেছে। কমলনগরের মতিরহাট থেকে রামগতির টাংকি বাজার পর্যন্ত অন্তত আরো ৬টি বড় বড় ডুবোচর রয়েছে । যেগুলো বর্ষায় দেখা না গেলেও শীত মৌসুমে ভাটার সময় দেখা যায়। পুরো মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর সীমানায় এখন অসংখ্য চর।

মতিরহাট ঘাটের মাছের আড়ৎদার মিছির আহমেদ জানায়, বর্তমানে মেঘনা নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ইলিশের জন্য জেলেদের কে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে সাগরে যেতে হচ্ছে। সাগর থেকে ইলিশ এনে জেলেরা নদীর ঘাটে বিক্রি করছে। পুরো শীত মৌসুমে মেঘনায় ইলিশ তেমন পায়নি জেলেরা। দু’চারটি করে ইলিশ পেলেও তাতে নৌকার জ্বালানি খরচও ওঠে না।

মতিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও চর কালকিনির ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান লিটন জানায়, মেঘনায় ইলিশ ধরা না পড়ায় এসব বাজারে এখন ক্রেতা ও বিক্রেতা আসেনা।

এদিকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট থেকে প্রতিদিন ভোলা ইলিশায় এবং বরিশালে ৫টি ফেরী এবং ১০টি বড় লঞ্চ, রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চরফ্যাশন, লালমোহন, তজুমদ্দিন ৬টির মতো লঞ্চ চলাচল করে।

ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীহাট রুটের নিয়মিত যাত্রী পলাশ, শিমুল পাটোয়ারি এবং তাহসিন হাওলাদার জানান, লক্ষ্মীপুরের পশ্চিম এবং ভোলা জেলার পূর্বদিকে মেঘনা নদীর মাঝে উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বিভাবে অসংখ্য চর পড়ার কারণে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। প্রায়ই ডুবোচরে ট্রলার, লঞ্চ এবং ফেরী আটকে গিয়ে মাঝ নদীতে জীবনের ঝূঁিক নিয়ে অপেক্ষা করে ভোলা-লক্ষ্মীপুরের রুটে চলাচলকারী ২১ জেলার যাত্রীরা।

লঞ্চ দোয়েল পাখির মাস্টার আরিফুল রহমান আরমান জানায়, গত ২ বছর আগে ইলিশা থেকে মজুচৌধুরীহাট ঘাটে যেতে লঞ্চে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে। যদি চরে লঞ্চ আটকে যায় তাহলে জোয়ারের জন্য আরো ২-৩ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। নদীতে অসংখ্য ডুবোচরের কারণে লঞ্চ চরে আটকে পড়ার ভয়ে ঘুরে যেতে হয়। এতে সময় বেশি লাগে। ডুবোচরের কারণে লঞ্চ ২৩ কিলোমিটারের পথ ৩১ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।

কিষাণী ফেরির মাস্টার আতিকুর রহমান জানান, ডুবোচরের কারণে আমরা ঠিকমতো ফেরি চালিয়ে যেতে পারছি না। ঘুরে গেলেও ডুবোচরে আটকা পড়ে ফেরি। পরে জোয়ারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

রামগতি উপজেলার নদীপাড়ের স্থানীয় বাসিন্দা মিশু সাহা নিক্কন এবং কমলনগর উপজেলার আবদুর রহমান বিশ্বাস জানায়, মেঘনায় চর জেগে উঠায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। নদীর স্বাভাবিক জোয়ারে পানি লোকালয়ে চলে এসে তৈরি হয় প্লাবন। এতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষতিসহ ব্যাপক হারে নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠাপানিতে আসতে বাধা পেয়ে গতিপথ পরিবর্তন করছে। সামনে এ অবস্থা চললে মেঘনা ইলিশ শূন্য হয়ে যাবে। নদীতে চর পড়ে গেছে এবং পানি কমে গেছে। তাই ইলিশ মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। পানি বাড়লে ইলিশের পরিমাণও বাড়বে।

এদিকে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা চরগুলো পরিকল্পিতভাবে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি করেন স্থানীয়রা।


মেঘনা   চর   ইলিশ   নেতিবাচক প্রভাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছরেই চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) বাস্তবায়নে প্রকল্পটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে আগামী বছর। তবে এর আগে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

তারা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২৫ সালে প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সব কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে চলেছে। পরে দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে পরের বছর ২০২৬ সালে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, এ প্রকল্পটি চালু করার সময় যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, তা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে নেয়া হবে। প্রকল্প এলাকায় এই বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে। এর প্রথম অংশের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। অক্টোবরের আগে বাকি কাজও শেষ হবে।

চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার আগে আগামী অক্টোবরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার দিকে যাচ্ছি। অক্টোবরে প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন (রোসাটম)। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত থ্রিজি(+) ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জ্বালানিও সরবরাহ করবে রাশিয়া। গত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে রাশিয়া। প্রকল্পটি চালুর পর ৫-৬ বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাই এটি পরিচালনা করবেন। পরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আরো প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য রাশিয়ায় প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর এর পরিচালনার কাজে যুক্ত হবেন।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমাদের টিম ওয়ার্ক ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে জ্বালানি আসা পর্যন্ত সব কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আরো বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর তারা কাজ করবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুইটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট অর্থাৎ দুইটি ইউনিট থেকে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

এদিকে, প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর এই একই স্থানেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়া। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোসটামের প্রধানের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আলোচনাও শুরু হয়েছে।


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র   রোসাটম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নিয়ামতি ইউনিয়নের ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (৩১), তার ৯ বছরের মেয়ে রেজমি আক্তার ও ৫ বছরের ছেলে সালমান মোল্লা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি: ডিএমপি

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকার ৫০টি থানা এলাকার মধ্যে ১০টি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ লক্ষ্য করা যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজকের কিশোর আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি ‘কিশোর গ্যাং’।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। পরিবার থেকে মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

মোবাইলের দুটি দিক উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, একটি নেতিবাচক অন্যটি ইতিবাচক। একটি মোবাইল একটি লাইব্রেরি, একটি জ্ঞান ভাণ্ডার। মোবাইলের পজিটিভ দিক শিক্ষার্থীরা যেন ব্যবহার করে সেই শিক্ষাটা অভিভাবকদের দিতে হবে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।


রাজধানী   কিশোর গ্যাং   ডিএমপি   কমিশনার হাবিবুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে তাপদাহে দূর্বিসহ জনজীবন, বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকা’র নামাজ

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে বৃষ্টির আশায় ইস্তিকার নামাজ আদায়

প্রচন্ড তাপ প্রবাহে জয়পুরহাটে জনজীবন দূর্বিসহ হয়ে পরেছে। জয়পুরহাটে আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠানামা করছে।

অতিরিক্ত তাপদাহের কারনে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিন মজুর ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষরা। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ডাবের পানি সহ বিভিন্ন পানীয় জাতীয় পান করে তৃষ্ণা নিবারন করছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের জন্য সেলাইন পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, বৃষ্টির জন্য ওলামা পরিষদের আয়োজনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। নামাজে ইমামতি করেন জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদে খতিব মাওলানা শরিফ উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ওলামা পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল মতিন, সভাপতি মাওলানা আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিনসহ অন্যরা।


তীব্র তাপপ্রবাহ   ইস্কিকার নামাজ   অতিষ্ট জনজীবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোববার থেকে খুলছে স্কুল, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের মধ্যে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলছে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে বন্ধ থাকবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।  

শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ২৮ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি হয়েছে তা পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


স্কুল   বন্ধ   প্রাক-প্রাথমিক   প্রাথমিক   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন