হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার তিনদিনেও আশানুরূপ কোনও উন্নতি হয়নি বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি এবং মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। এই অবস্থায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড। বৈঠক শেষে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎকরা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা দেন।
রোববার (৯ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক বি. জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মোস্তাফী।
তিনি জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শাররিক অবস্থা গত তিন দিনে তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। এই অবস্থায় তার চিকিৎসায় আজ দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা মিনিট পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক করা হয়। মেডিকেল বোর্ডে কিডনি, মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে।
গতকাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। গত ৫ এপ্রিল থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডা. জাফরুল্লাহ কিডনি ফেইলিউর, লিভারের সমস্যা, হার্টের সমস্যাসহ সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত। শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ও ব্লাড পেশার কমে যাওয়ার কারণে দুই দিন থেকে বিশেষ কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তাকে। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল, তবে স্থিতিশিল।
তিনি গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ব্রি. জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফীর অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মেডিকেল বোর্ড বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।