গত ১৬ মার্চ ইসলামী
বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২০-২১
শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যাচ-ডে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র
করে মারামারির ঘটনা ঘটে। একই
ঘটনার জের ধরে এক
মাস পর ফের মারামারিতে
জড়িয়েছে ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে ওই ব্যাচের
এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার
(০৬ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি
চায়ের দোকানে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মোবারক হোসেন ল’ এ্যান্ড ল্যান্ড
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী। পরে রাত ১১টার
দিকে ভুক্তভোগীর বন্ধুরা অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পরে
প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে
উপস্থিত হয়ে পরের দিনে
সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত
করেন তারা।
এদিকে
এই ঘটনায় রবিবার (০৭ মে) সকালে
দ্রুত বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর
ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
লিখিত
অভিযোগপত্র সূত্রে, রাতে প্রধান ফটকের
সামনে একটি চায়ের দোকানে
বন্ধুদের নিয়ে বসে ছিল
মোবারক হোসেন। এ সময় মুশফিকুর
রহমানের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন
লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র
নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা
চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোবারককে আঘাত
করতেই সে সরে গেলে
তার হাতে আঘাত লাগে
এবং কেটে যায়। কিছু
বুঝে উঠার আগেই সবাই
লাঠি ও বাঁশ দিয়ে
তার মাথা, পিঠ, হাত ও
পায়ে আঘাত করলে সে
মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায়। পরে
সে দৌড়ে ক্যাম্পাসে আসার
সময় তাকে আবার মারতে
শুরু করে তারা। পরে
তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা
কেন্দ্রে নেওয়া হয়। শরীরে গুরুতর
আঘাত দেখে সেখানে প্রাথমিক
চিকিৎসা দিয়ে তাকে কুষ্টিয়া
সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
অভিযোগপত্রে
ভুক্তভোগী বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি
হত্যা চেষ্টা। তাই আমার উপর
হওয়া এই অতর্কিত হামলা
ও প্রাণনাশ করতে আসা মুশফিক
ও তার সহযোগীদের শনাক্ত
করে দ্রুত বিচারের দাবি করছি। এ
সময় ক্যাম্পাসে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতের
দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
তবে
বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত মুশফিকুর
রহমান বলেন, এ ঘটনা মিথ্যা।
আমি কাউকে মারধর করিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন
আজাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির
সদস্যরা বসেছিলাম। আগের একটি ঘটনার
(ব্যাচ- ডে অনুষ্ঠানে টি-শার্ট বিতরণ নিয়ে মারামারি) জের
ধরে এ ঘটনা ঘটেছে
বলে জানতে পেরেছি। আগের ঘটনায় একটা
তদন্ত কমিটি হয়েছিলো। সেই কমিটির কাছে
বিষয়টি পাঠানো হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা
হয়েছে। আমরা খুব দ্রুতই
একশনে যাব।
প্রসঙ্গত,
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের
শিক্ষার্থীরা মিলে গত ১৬
মার্চ বাংলা মঞ্চে ব্যাচ ভিত্তিক অনুষ্ঠান অবতরণিকা উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে টি-শার্ট বিতরণ নিয়ে দুই পক্ষের
মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে
তিন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা
সেদিনই তাদের উপর অতর্কিত হামলার
অভিযোগ করে প্রক্টর বরাবর
লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অভিযুক্তদের
পক্ষ থেকে আহতের বিরুদ্ধে
পাল্টা অভিযোগ দেওয়া হয়। এক পক্ষের
শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের
মুশফিকুর রহমান, সাব্বির শাওন ও রানা
আহমেদ অভি। অপর পক্ষের
শিক্ষার্থীরা ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তাসিন ইসলাম রাহিন, রাব্বি ফকির ও ল’
এ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মোবারক হোসেন আশিক। উভয় পক্ষের লিখিত
অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি খতিয়ে
দেখতে গত ২২ মার্চ
তিন সদস্যের একটি তদন্ত করে
দেয় প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন মিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডেভিড স্লেটন মিল। আর নতুন এই রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ মনোনয়নকে আমরা স্বাগত জানাই। মাস দেড়েক আগে এ বিষয়টা আমাদের জানানো হয়েছে। এখন তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। আশা করছি— নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ যেভাবে দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, সব দেশের উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা। আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাই থেকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন কূটনীতিক মিল। মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিল।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপি ফেসবুক আইডি ভেরিফায়েড আইডি
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।
প্রশ্ন উঠেছে যে, নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে মার্কিন নীতির কী পরিবর্তন করবেন, তার নীতি কী ধরনের হবে? একজন রাষ্ট্রদূতকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয় তখন প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশে তাদের পররাষ্ট্রনীতির কৌশলপত্র চূড়ান্ত করে। আর ওই কৌশল বাস্তবায়নের জন্য যাকে যোগ্য মনে করা হয় তাকে মনোনয়ন দেয়।
পিটার ডি হাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি, বাংলাদেশের র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট চাপ দিচ্ছিল। এই চাপকে আরও বাড়ানোর জন্যই পিটার ডি হাস বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সুস্পষ্টভাবে তিনি তার অবস্থান প্রকাশ করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখানোর লক্ষ্যেই নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার ডি হাস মিশন ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তাও দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পিটার ডি হাসের সরে যাওয়াটা ছিল অবধারিত। অবশেষে সেটাই ঘটল।
এখন ডেভিড মিল বাংলাদেশে কী করবেন? প্রথমত, ডেভিড মিলের কূটনৈতিক ক্যারিয়ার যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব যে, তার কূটনৈতিক ক্যারিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দেয়। একই সাথে বাংলাদেশে চীনকে মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন কৌশলেরও একটি ইঙ্গিত বহন করে। ডেভিড মিল বাংলাদেশে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসাবে বা ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাজেই বাংলাদেশ তার পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতা এবং বাংলাদেশে কীভাবে কাজ আদায় করতে হয় ইত্যাদি কলাকৌশল সম্পর্কে তাকে নতুন করে শিখতে হবে না। এটি ডেভিড মিলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এটি বিবেচনা করেই সম্ভবত ডেভিড মিলকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, ডেভিড মিল এখন এই মুহূর্তে চীনের বেজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, ডেভিড মিল চীনের রাজনীতি এবং চীনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অনেক পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ধারণা রাখেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ চীনের উপর অর্থনৈতিকভাবে অনেকখানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছেন যিনি চীনের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্বের একটি বড় বিষয় হল, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি মাখামাখির সম্পর্ক। আর এ কারণেই চীনের কূটনীতিতে অভিজ্ঞ এবং চীনের কূটনীতি অলিগলি চেনা ডেভিড মিলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ডেভিড মিলের নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি বার্তা সুস্পষ্ট হয়েছে। তা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে কাজ করা একজন ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয়ত বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের লাগাম টেনে ধরতে পারে এজন্য চীনের কূটনীতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন একজন কূটনৈতিককে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখা যাক, ডেভিড মিলের বাংলাদেশ মিশন কতটুকু সফল হয়।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি
মন্তব্য করুন
ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী-এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।