চিনির নতুন দাম নির্ধারণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খোলা চিনির দাম আগের নির্ধারিত দাম প্রতি কেজি ১০৪ টাকা থেকে ১৬ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে ১০৯ টাকার প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে ১২৫ টাকা।
ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক কেজি পরিশোধিত খোলা চিনির প্রস্তাবিত মিলগেট মূল্য ১১৫ টাকা এবং পরিবেশক মূল্য হবে ১১৭ টাকা। পরিশোধিত প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৯ টাকা আর পরিবেশক পর্যায়ে যার দাম হবে কেজিতে ১২১ টাকা। কমিশন এ দাম প্রস্তাব করেছে ডলারের বিনিময়মূল্য ১১১ টাকা হিসেব করে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য এবং ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনি আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমদানিকৃত খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণে আমদানি নীতি আদেশ-২০২১-২০২৪ সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের অবহিতকরণ বিষয়ক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, চিনির জন্য শুল্কছাড় এখনো বলবৎ রয়েছে। এটা ৩১ মে শেষ হবে। চিনির জন্য শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে চিঠি পাঠাব। যেহেতু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এজন্য আমরা শুল্কহার আরও কমানোর জন্য সুপারিশ করব।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনির আমদানি কমেছে। গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে দাম সমন্বয় করার অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। এরপর ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দামে চিনি বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তবে তারা আমাদেরকে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।
বাণিজ্য সচিব বলেন, যখনই কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে না তখন আমরা এনবিআরকে শুল্কহার কমানোর জন্য অনুরোধ জানাই। তারা কখনো কমায় আবার সম্ভব না হলে কমাতে পারেন না।
চিনি দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।