ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বিশ্বে সমাদৃত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৩


Thumbnail সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বিশ্বে সমাদৃত। বাংলাদেশ কখনোই ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি বা তথাকথিত ঋণের ফাঁদে পড়েনি। সোমবার (১৫ মে) প্রধানমন্ত্রী  তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখিত ভাষণে বলেন, ‘তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের প্রধানসহ সবাই তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করতে তাঁর সরকারের প্রতি তাঁদের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সম্রাট দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীরতর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্রুততম সময়ে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি সম্পাদন, বিগ-বি প্রকল্পের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারকরণ, অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, জাপান ওভারসিজ কো-অপারেশন ভলান্টিয়ার প্রকল্প পুনরায় চালু করা, বাণিজ্য বৃদ্ধি, বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগ, মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, ঢাকা-টোকিও সরাসরি বিমান চলাচল ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন বাজেট সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে মোট আটটি চুক্তি ও সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের আমন্ত্রণে তিনি গত ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটনে পৌঁছান। ২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজ ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। জর্জিয়েভা বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি মহামারিকালেও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রশংসা করেন। আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সব বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ১ মে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অভিযাত্রায় বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনুষ্ঠানে বলেছি, বাংলাদেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সুযোগ এবং খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ কখনোই ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি বা তথাকথিত ঋণের ফাঁদে পড়েনি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার ৫টি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ওয়াশিংটন সফর উন্নয়নের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সুসংহত অংশীদারত্বের প্রতিফলন।

প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি ৪ থেকে ৮ মে যুক্তরাজ্য সফর করেন। তিনি ৫ মে বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলার অভ্যর্থনা এবং ৬ মে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাজা ও রানির রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মার্লবরো হাউসে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে রাজার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ ছাড়া ৫ মে মার্লবরো হাউসে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল আয়োজিত কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন।

একই দিন মার্লবরো হাউসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন জনগণকে সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। আমি যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সঙ্গে ৭ মে কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি আমাকে কমনওয়েলথের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ডিজিটালাইজেশন, ই-গভর্ন্যান্স ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেন এবং এসব খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কমনওয়েলথের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে বিনিময়ের অনুরোধ জানান।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ ছাড়া কমনওয়েলথে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

সূত্র: বাসস


সংবাদ সম্মেলন   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আদালতে মিল্টনের রিমান্ড চাওয়া হবে: ডিবি

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। 

বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,’মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও নির্যাতনসহ প্রতারণার মামলার করা হবে। মিডিয়ায় যতো অভিযোগ এসেছে সব বিষয়েই তদন্ত করা হবে। এছাড়া রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এই বিষয়ে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৭৩ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু এই সব বহিষ্কার সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে তাদের আগ্রহ হারায়নি। বরং যারা উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী, তারা দলের নির্দেশ অমান্য করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

জাতীয় পার্টিকে উপজেলা নির্বাচনে তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং হতাশার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কিনা সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচটি শঙ্কা ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। 

১. ভোটার উপস্থিতি: উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোটার উপস্থিতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। একাধিক প্রার্থী যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, দলের ভিতর যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি পারে সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই কৌশল কতটুকু কার্যকর হবে, ভোটাররা ভোটে কতটুকু আগ্রহ দেখাবে- সেটি নিয়েও অনেকের সংশয় রয়েছে।

২. আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খল অবস্থা: উপজেলা নির্বাচনে একটা বড় শঙ্কার জায়গা হল আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা এবং এই বিশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে কারণে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থীদের সহিংসতার ঘটনা উপজেলা নির্বাচনকে উত্যক্ত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিভিন্ন স্থানে তার আলামতও পাওয়া যাচ্ছে।

৩. প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ: নির্বাচনে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি বড় বাধা। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ না শুনেই মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন। শুধু প্রার্থী করাই নয়, এলাকায় তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন। এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিপক্ষকে ঘাবড়িয়ে দেওয়া, ভোটারদেরকে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি প্রবণতাগুলো উপজেলা নির্বাচনকে ম্লান করতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।

৪. প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা: প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই পরামর্শ অনুযায়ী প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রভাবশালীরা যখন নির্বাচনের মাঠে হস্তক্ষেপ করবে তখন প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটুকু নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

৫. ভোটারদের অনীহা: উপজেলা নির্বাচনেও ভোটারদের অনীহা রয়েছে। কারণ একাধিক বিকল্প প্রার্থী এবং ভিন্নমতের প্রার্থী না থাকার কারণে উপজেলা নির্বাচন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের এই অনাগ্রহ উপজেলা নির্বাচনকে একটি সাদামাটা নির্বাচনে পরিণত করতে পারে বলেই অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। 

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

দ্বাদশ সংসদ অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আলোচিত সেই মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল কালবেলার প্রিন্ট ভার্সনে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। 

প্রায় সাড়ে আট বছর পর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে ছিলো ব্যাপক আমেজ। আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা হয় ব্যাপক। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত ছিলো সেই আমেজ। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হলে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। 

অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী, সমর্থক, এজেন্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ভোটের আগের দিন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ভুলু কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাহিরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। এতে করে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহির থেকেই নারী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেই বাড়ি ফিরেন। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানালেন, তিনি শান্তি চান। তিনি হয়রানি হতেও চান না কাউকে করতেও চান না। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, যদি কেউ মনে করে আবারো নির্বাচন করা দরকার তবে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে প্রস্তুত। 

পুলিশ সুপার তরেক বিন রশিদ বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের গাড়ির ওপর তারা হামলা করে। এঘটনায় দুই প্রার্থীকেই পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন