বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার (১৭ মে) বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস- ২০২ এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এদিন শুরুতে হাসপাতালের সামনে বেলুন উড়িয়ে এসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হাসপাতালের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী। এরপর সকাল ১০টায় হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে একটি গণমুখী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। কারণ, এই রোগের কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ থাকে না। ফলে কারো উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও, তিনি যদি পরিমাপ না করেন তাহলে তার পক্ষে জানা সম্ভব নয় যে তিনি এই রোগে আক্রান্ত। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো কৌশল হচ্ছে রক্তচাপ নির্ণয় করা।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)-এর সভাপতিত্বে গণমুখী সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক। তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপের ফলে অনেক সময় একজন মানুষের জীবনে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে। এ জন্য সঠিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আর এটি কমাতে হলে অবশ্যই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরি বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পাইলট পর্বের সফল সমাপ্তির পর, ‘বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি কর্মসূচি শুরু করে যা বর্তমানে দেশের ২৩ জেলার ১৮২ টি উপজেলায় চলমান রয়েছে। বর্তমানে এই কাভারেজ এলাকায় মোট প্রায় ১২ লক্ষ লোকের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে এমন রোগীদের রেজিস্ট্রি করা হয়েছে মোট প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার। আর এদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ৫৩%, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
সেমিনারে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, উচ্চ রক্তচাপ একটি নিরব ঘাতক। জাতিকে সচেতন করা ছাড়া এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষদের উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
এদিন দুপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের অডিটোরিয়ামে তরুণ চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এ ছাড়াও মে মেজারমেন্ট মানথ- (এমএমএম) এর অধীনে দেশব্যাপী বিনামূল্যে সাধারণ মানুষদের রক্তচাপ পরীক্ষা করা এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উদযাপন
মন্তব্য করুন
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) গৃহীত নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আমিরাবাদ হাউজিং ও পলিটেকনিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকগণকে ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মসিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাজহারুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জানান,নির্মাণাধীন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তা জরিমানার আওতায় আনা হবে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
অভিযানকালে খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার,স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জাবেদ ইকবাল,আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড প্রয়োগের পাশাপাশি ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) গৃহীত নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আমিরাবাদ হাউজিং ও পলিটেকনিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকগণকে ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।