বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে এমন কথা কান পাতলেই শোনা যায়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা তিন দেশ সফর করে এসে যখন বলেছেন, যে সমস্ত দেশ বাংলাদেশকে স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে কোনকিছু
কেনা হবে না, এই কথার পর পরই কূটনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী কোন
দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এটা স্পষ্ট যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করেই
এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। এর রেশ কাটতে না কাটতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যে
সমস্ত দেশ বাড়তি স্কট প্রটোকল পেত, তাদের প্রটোকল প্রত্যাহার করা হবে। যে চারটি দেশ
এই বাড়তি নিরাপত্তা প্রটোকল পেত তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। এই বাড়তি
নিরাপত্তা প্রটোকল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বিএনপি। তারা এটাকে
দেশের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিষয়ে বর্ণনা করেন এবং এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিও
ঘোষণা করেছেন।
এই ঘটনাগুলো
যখন ঘটছে তখন সুস্পষ্টভাবেই বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়ন
প্রকাশ্য রূপ নিতে শুরু করে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন
যে, যুক্তরাষ্ট্র হয়ত চায় না আমি ক্ষমতায় থাকি। এজন্যই তারা স্যাংশন দিয়েছে। কিন্তু
প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে খোলামেলা বক্তব্যের বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ
সম্পর্কের কিছু ইতিবাচক ঘটনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে সাম্প্রতিককালে। তাই কোন কোন মহল থেকে
প্রশ্ন উঠেছে যে, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রকাশ্য
রূপ আসলে বাস্তবতা নয় বরং এটি অনেকটাই সাজানো নাটক। কারণ প্রধানমন্ত্রী যখন যে সমস্ত
দেশ দিয়েছে তাদের পণ্য কেনা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন, ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাছাড়া সরকারের
পক্ষ থেকে কিছু কার্গো বিমান কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যেটিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
থেকে কেনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ
ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলপত্র ঘোষণা করেছে, যে কৌশলপত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে
ইতিবাচক মনে হয়েছে বলেও কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। তাহলেকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে
বাংলাদেশ গোপন সমঝোতা এবং প্রকাশ্যে বিরোধিতা নীতি গ্রহণ করছে? এটি কি আসলে বিএনপি'র
জন্য একটি ফাঁদ? যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উপর সন্তুষ্ট নয় এটি দেখিয়ে শেষ
পর্যন্ত বিএনপিকে নির্বাচনে উৎসাহিত করা যায়?
কারণ, বিএনপি
ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে
যাবে না। বিএনপি’র এই ঘোষণার পরপরই তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
দাবিতে আন্দোলনও শুরু করেছে। বিএনপি মনে করছে যে, বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হলে সেই
নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না এবং যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে
সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। তখন সরকারের পতন হতে বাধ্য। কিন্তু যেভাবে কূটনৈতিক কৌশলের
খেলা চলছে, তাতে বিএনপি'র এই অনুমান কতটুকু বাস্তবতা পাবে তা নিয়ে কারও কারও মধ্যে
সংশয় এবং সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদিও বলছে যে, তারা অবাধ
সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়, কিন্তু তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সমর্থন করেনা। এরকম বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত নির্দলীয়
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছাড়া যদি একটি রাজনৈতিক সমঝোতা নিয়ে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসে এবং সেই সমঝোতা প্রস্তাবে বিএনপি যদি রাজি হয় তাহলে সেটি
হবে আওয়ামী লীগের বিজয়। আর অন্যদিকে বিএনপি এখন এমন একটি কূটনৈতিক অবস্থানে গেছে
যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বাইরে তারা যাওয়ার চিন্তাও করছে না বরং মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র তাদের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী এটি মনে করেই তারা রাজনৈতিক কৌশল আঁটছে।
এই বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি'র জন্য একটি ফাঁদ কিনা এ নিয়েও ভাবছেন
অনেকে।
এখন দেখার বিষয়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যিই চাপ দিচ্ছে নাকি এটি সাজানো নাটক। আগামী কিছুদিনের
মধ্যেই এটি পরিষ্কার হবে।
মন্তব্য করুন
বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী
লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ
তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক
পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের
বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ
হাওলাদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন
মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী
ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ
হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা
উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের
ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে
রক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা
হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান
সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া
পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের
লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে
বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে
হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি
করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক
শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হেফাজতে
ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার
খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে
তারা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া
পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত
কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন
ধরে বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়।
অনেক মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক আজ মুক্তি পেতে পারেন কিনা
বা কখন মুক্তি পাবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কারাগারের একটি সূত্র নিশ্চিত
করেছে, বৃহস্পতিবার ছাড়া পাচ্ছেন না মামুনুল হক।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম
ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন
কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা
গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময়
উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)
এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি
হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে
হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ
বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান
করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি
১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে
লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা
(কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক
প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।