নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৮ এএম, ০১ মার্চ, ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসরত সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল (অব.) মঈন ইউ আহমেদ বলেছেন, ‘এই শাস্তি বেগম জিয়ার প্রাপ্য ছিল। শাস্তিটা বহু আগেই হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও, তিনি বুঝতে পেরেছেন কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।’ নিউইয়র্কে বাঙালি কমিউনিটির এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নিউইয়র্কে বসবাসরত সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রোববার সন্ধ্যায় ব্রুকলিন থিয়েটার হলে এই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ। সাবেক সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘এই মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হলো যে, আমাদের মামলা করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আমরা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই মামলা করেছিলাম।’ ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম এই কুশীলব বলেন, ‘বেগম জিয়ার ধারণা ছিল, তিনি এবং তাঁর পরিবার আইন ও বিচারের উর্ধ্বে। কেউ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ‘টাচ’ করতে পারবে না। এই রায় সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছে। এর ফলে, ভবিষ্যতে যেই অন্যায় করবে, যেই দুর্নীতি করবে, সেই আইনের আওতায় আসবে। দেরিতে হলেও আসবে।’ জেনারেল মঈন বলেন, ‘এটাই ছিল ওয়ান-ইলেভেনের স্বপ্ন। এই রায়ের মধ্যে দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন পূরণ হলো।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে পাবনার তিনটি ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ইটভাটা তিনটি ইটভাটার কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার (৬ই মে) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার চর আশুতোষপুর এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে মেসার্স কেআরবি ব্রিকস, মেসার্স এআরবি ব্রিকস এবং মেসার্স আরএবি ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা করে মোট ৯ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, পাবনা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুল মমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন, র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান। এ সময় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
মন্তব্য করুন
ভোটের দিন সাধারণ ছুটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের প্রথম দিকে কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে ২১৪ একর জমিতে বসানো হয়েছে ২৭ হাজার পিলার। এই পিলারের উপর বসানো হচ্ছে শক্তিশালী সোলার প্যানেল। ৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা খরচের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি। এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। জ্বালানী আমদানীর উপর চাপ কমাতে দেশে মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ হচ্ছে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২৭ হাজার পিলারে দেড় লাখ সোলার প্যানেল উৎপাদন হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। চরের জমিতে করা যাবে মৌসুমি আবাদও।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে পতিত চরের জমিতে সারিবদ্ধ ও সুউচ্চ ২৭ হাজার পিলার বসানো হয়েছে। আর এসব পিলারের উপর বসানো হয়েছে দেড় লক্ষাধিক সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেলের নিচের জমিও সম্পূর্ণ কৃষিবান্ধব। এই জমিতে করা যাবে মৌসুমি ফসলের আবাদ। বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (বিসিআরইসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।'
প্রকল্প ব্যয় ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (চুক্তিকালীন ডলারের বিনিময় হার ১০৫ টাকা হিসাবে প্রায় ৯২১ কোটি টাকা) । যৌথ অর্থায়নে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৫০ শতাংশ মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। আর বাকি অর্ধেক মালিকানা চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি)
চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) এর ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পের ৭৫ ভাগের উপরে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশাবাদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো। ইতিমধ্যে ২৭ হাজার পিলার স্থাপন করা হয়েছে। পিলারের উপরে সোলার প্যানেল বসানোর কাজও শেষের দিকে। ভবন গুলোর কাজও ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। আমাদের প্লান আছে জুনের প্রথম সপ্তাহে উৎপাদনে যাবো।’
বাংলাদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাম এন্টার প্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দিন রাত শ্রমিকরা কাজ করছেন। কন্ট্রোল বিল্ডিং, অফিসার ডরমিটরি, রেস্টহাউস, নিরাপত্তা ভবনসহ অন্যান্য কাজও শেষ পর্যায়ে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ব্যতিক্রম। কেন্দ্রটিতে উঁচু পিলারের ওপর সোলার প্যানেল বসানোর কারনে নিচে বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজি চাষ করা হবে। এতে বিদ্যুৎ ও উৎপাদন হবে আবার ফসলের চাষাবাদ করা যাবে।'
সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন জাতীয় গ্রীড
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড়ি
ছড়ায় গোস করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার
দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চেইন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় মৃতরা
হলো,
দক্ষিণ
মিঠাছড়ি
ইউনিয়নের
চেইন্দা
এলাকার
ফজল
আহমদের
ছেলে
আব্দুর
শুক্কুর
(১২)
এবং
একই
এলাকার
গিয়াস
উদ্দিনের
ছেলে
সালাহ
উদ্দিন
খোকা
(১০)।
দক্ষিণ
মিঠাছড়ি
ইউনিয়নের
৮নং
ওয়ার্ডের
চেইন্দা
ইউপি
সদস্য
জাফর
আলম
বিষয়টি
নিশ্চিত
করে
বলেন,
রাতে
রামু
উপজেলার
দক্ষিণ
মিঠাছড়িসহ
বিভিন্ন
এলাকায়
হালকা
ও
মাঝারি
বৃষ্টিপাত
হয়েছে।
শুষ্ক
মৌসুমে
শুকিয়ে
যাওয়া
পাহাড়ি
ছড়ার
বিভিন্নস্থানে
সৃষ্ট
গর্তে
বৃষ্টির
পানি
জমেছিল।
সকালে
দক্ষিণ
মিঠাছড়ি
ইউনিয়নের
চেইন্দা
এলাকার
একটি
পাহাড়ি
ছড়ায়
জমে
থাকা
পানিতে
স্থানীয়
কয়েকটি
শিশু
গোসলে
করতে
নামে।
এক
পর্যায়ে
৪
শিশু
ছড়ার
পানিতে
ডুবে
যায়।
পরে
ঘটনাস্থলে
থাকা
অন্য
শিশুদের
চিৎকারে
স্থানীয়রা
৪
জনকে
উদ্ধার
করে
কক্সবাজার
জেলা
সদর
হাসপাতালে
নিয়ে
আসে।
এসময়
কর্তব্যরত
চিকিৎসক
দুই
শিশুকে
মৃত
ঘোষণা
করেন।
রামু
থানা
পুলিশের
ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা
(ওসি)
আবু
তাহের
দেওয়ান
বলেন,
দক্ষিণ
মিঠাছড়িতে
পাহাড়ি
ছড়ায়
গোসলে
নেমে
দুই
শিশুর
মৃত্যুর
খবর
শুনে
ঘটনাস্থলে
পুলিশ
পাঠানো
হয়েছে।
শিশুদের
মরদেহ
নিজ
নিজ
বাড়িতেই
আছে।
কক্সবাজার রামু পাহাড়ি ছড়া শিশু মৃত্যু
মন্তব্য করুন
''রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ'' এই স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাগরপুর এর আয়োজনে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (৬ মে) এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে এ দুর্নীতিবিরোধী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল মোঃ নুর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাদির আহম্মদ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদুন নাহার ভূইয়া, সদস্য জাহানারা আক্তার, মোঃ সালাউদ্দিন। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কামরুল হাসান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নুরুল হুদা। এছাড়াও ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নাগরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বাবু।
উল্লেখ্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত রাউন্ডে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিচারকগণ শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে ঘোষণা করেন।
বিতর্ক প্রতিযোগিতা দুর্নীতি বিরোধী
মন্তব্য করুন