ইনসাইড বাংলাদেশ

মোবাইল ব্যাংকিং: হাজার কোটির অস্বাভাবিক লেনদেন, পাচারের আশঙ্কা

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৩


Thumbnail

ফেনীর বনিটো কমিউনিকেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিকাশের জেলা ডিস্ট্রিবিউটর। এর মালিক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। তার ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ৪৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে গত এক বছরে তার ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। বিপুল এ অর্থের ৯৯ শতাংশই জমা হয়েছে নগদ টাকা হিসেবে। এত টাকা নগদে জমা হওয়ায় ডিস্ট্রিবিউটরশিপের আড়ালে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্সের বিপরীতে লেনদেন হয়েছে বলে সন্দেহ করছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিষয়টি অনুসন্ধান করছে সিআইডি।

সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার বাছির উদ্দিন বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাঠানো কিছু মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) গ্রাহকের অনিয়ম নিয়ে তারা কাজ করছেন। সেখানে বিকাশের বেশকিছু গ্রাহকের বিধিবহির্ভূত লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এসব হিসাব খোলার ক্ষেত্রে যাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘হুন্ডি, অর্থ পাচারসহ বিধিবহির্ভূত লেনদেনে জড়িত মার্চেন্ট হিসাব ও এজেন্ট অসংখ্য।’ অনেকের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা হয়েছে। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ফেনীর বনিটো কমিউনিকেশন এবং এর মালিকের ব্যাংক হিসাবেই ৩ হাজার ৪৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এসব বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার বাছির উদ্দিন।

এমএফএস ব্যবহার করে কয়েক বছর ধরে হুন্ডি, অর্থ পাচার ও ঘুষ লেনদেন চলছে। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও দায়ীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, ইউক্যাশ, মাইক্যাশ, এমক্যাশ, শিওরক্যাশসহ এমএফএস-সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভারে প্রবেশের অনুমতি চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির কর্মকর্তারা মোবাইল ব্যাংকিং-সেবা দেওয়া ১৩ এমএফএস প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ব্যাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও করে। তাতে সাড়া মেলেনি।

দুদক পরিচালক (মানি লন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, ‘এমএফএস সার্ভিস ব্যবহার করে হুন্ডি ও ঘুষ লেনদেনের অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। এসব প্রতিরোধে দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নির্দেশে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সব এমএফএস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়। এমএফএস সার্ভিস সার্ভারে প্রবেশাধিকারসহ তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরে প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েকটি মিটিংও করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এ উদ্যোগ আর এগোয়নি।’ তিনি আরও বলেন, বিশেষত হুন্ডির বিষয়টি সিআইডি তদন্ত করায় দুদক আর এ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেনি।

এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া দুদকের চিঠিতে বলা হয়, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে অবাধে ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। এসব মাধ্যমে দেশের বাইরে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচারের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব অবৈধ ও অপরাধমূলক লেনদেন বন্ধ এবং দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রয়োজনে এমএফএস সার্ভিসের সার্ভারে দুদকের প্রবেশাধিকার জরুরি।

দুদকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা বেশকিছু অভিযোগ অনুসন্ধানের সময় দেখেছি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ চেয়ে বিএফআইইউকে চিঠি দিলে তারাও কিছু তথ্য আমাদের দিয়েছে, কিন্তু তা আশানুরূপ নয়।

দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের এক রিপোর্টে বলা হয়, ‘সরকারি দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে ঘুষের টাকা গ্রহণ করেছেন। এসব বিষয়ে বিএফআইইউর কাছ থেকে দুদক আশানুরূপ তথ্য পাচ্ছে না। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এক সার্কুলারে এমএফএস অ্যাকাউন্টে সব ধরনের ক্যাশ ইন/ক্যাশ আউটের ডিজিটাল মানি রিসিটের বিস্তারিত তথ্য দুদকের অনুসন্ধান বা তদন্তের প্রয়োজনে সরবরাহের নির্দেশনা দিয়েছে। একই সার্কুলারে এমএফএস গ্রাহক ও লেনদেনের তথ্যভাণ্ডার থেকে দুদককে রিয়েল টাইম তথ্য প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে।

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ও দমন কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে গঠিত কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের এক সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে এমএফএস সার্ভারে প্রবেশের বিষয়ে বলা হয়। ওই সভায় জালিয়াতি রোধে গ্রাহকদের তথ্য সরাসরি সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো সিআইডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমএফএস নিয়মের বাইরে বিকাশের কিছু মার্চেন্ট এজেন্ট খোলা হয়েছে। এসব হিসাব বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে চালু রেখে তাতে বিধিবহির্ভূত লেনদেন করা হয়েছে। বিকাশ কর্তৃপক্ষ অর্থ পাচার বিধিমালা অনুযায়ী গ্রাহকের বিষয়ে যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিকাশের কিছু মার্চেন্ট হিসাবে লেনদেনে ব্যাপক অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। সিআইডি ওইসব মার্চেন্ট হিসাব ও এজেন্টের নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করে। পাশাপাশি যেসব ডেইলি সেলস অফিসার (ডিএসও) অভিযুক্ত মার্চেন্ট হিসাবগুলো খুলে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে যেসব এজেন্ট পয়েন্ট ওই মার্চেন্ট হিসাবগুলো রেখে বিধিবহির্ভূতভাবে লেনদেন করেছে, তাদের এজেন্টশিপ বাতিল, নিবন্ধনদাতা ডিস্ট্রিবিউটরের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ বাতিলের কথা বলা হয়। অর্থ পাচার বিধিমালা অনুযায়ী গ্রাহকের বিরুদ্ধে যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে সিআইডি।

প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, ঢাকার আশুলিয়ায় মোল্লা ডেকোরেটর অ্যান্ড টেলিকমের নামে খোলা মার্চেন্ট হিসাবটি ব্যবহার করেন বিকাশ এজেন্ট মো. রাজু আহম্মেদ। নিজের এজেন্ট পয়েন্টে মার্চেন্ট হিসাবে লেনদেন করেন তিনি। অপর একটি মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয় চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান টু স্টার পোল্ট্রি অ্যান্ড সেলস সেন্টারের নামে। সেই মার্চেন্ট হিসাবটি উদ্ধার করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বায়েজিদ কুলিং কর্নার অ্যান্ড টেলিকম থেকে। সেখানে ক্যাশ আউট করতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে মার্চেন্ট হিসাবে পেমেন্ট নেওয়া হতো, যা বিধিসম্মত নয়।

বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘কোনো গ্রাহকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা বিএফআইইউ থেকে কোনো গ্রাহকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এ ছাড়া সন্দেহজনক বা অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধে আমরা নিজেরাই সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম (এসএআর) দুই ধরনের পর্যবেক্ষণ করে থাকি। কোনো গ্রাহকের সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেলে আমরা গ্রাহকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করাসহ তা প্রতিবেদন আকারে বিএফআইইউতে পাঠাই। বিএফআইইউ তদন্ত করে দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়ারই অংশ। দুদক, সিআইডি বা আইনপ্রয়োগকারী অন্য কোনো সংস্থা আমাদের সরাসরি প্রতিবেদন দেয় না। তারা অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেলে বাংলাদেশ ব্যাংককে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেয়।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক অভিযোগ পেলে বাস্তবায়ন করা হয় বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এমএফএস সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেলে আমরা বিএফআইইউকে দিই। তারা বিধিবহির্ভূত লেনদেনের বিষয়ে সন্দেহ করলে অধিকতরও তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে সিআইডি বা দুদকে দেয়। সিআইডি বা দুদক থেকে কোনো সুপারিশ করা হলে তা পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়।


মোবাইল ব্যাংকিং   লেনদেন   পাচার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: গজারিয়ায় দুই প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময় উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস) এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন