আমেরিকা আর নিষেধাজ্ঞা দেবে না, তারা বাস্তবতা বুঝবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘লিখতে পারে। আমার ধারণা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেগুলো বলেছেন, সঠিকই বলেছেন। স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যন্তরীণ সব বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ আমরা কোনোদিনই কামনা করি না বা সহজভাবে নিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে আমাদের বাস্তববাদী হতে হচ্ছে। বাস্তবতার আলোকে দেশ ও জাতির স্বার্থে, ধর্মীয় ও সম্প্রদায়িক জঙ্গি দমনে অনেক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। সেটার জন্য যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়, সেটা কতটা যুক্তিসঙ্গত।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় নির্বাচন হতে হবে, সেটা কোনোদিনই হবে না। সংবিধানের বহির্ভূত কিছু হবে না। তবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন হওয়া দরকার। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদিন বিএনপি যেসব অভিযোগ আনছে, এর সঙ্গে সুর মেলাচ্ছে কিছু বিদেশি শক্তি। এসব মিলিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।’
দেশের মানুষ পূর্ণ বাকস্বাধীনতা ভোগ করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বুঝি না স্যাংশনস (নিষেধাজ্ঞা) কেন দেবে। আমার ধারণা তারা স্যাংশনস দেবে না। তারা বাস্তবতাটা বুঝবে। তারা একটা সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে আমাদের সহযোগিতা করবে।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি একজন আশাবাদী মানুষ। পত্রিকায় যে রিপোর্টই আসুক। আমেরিকা আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে বলে আমি মনে করি না। নিষেধাজ্ঞা যদি দেয় একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের এর মধ্য দিয়েই চলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে তাদের কাছ থেকে আমরা কিছু কিনবো না। এর তিনদিনের মধ্যে আমরা যুক্তরাষ্ট্র দেখে ডাল ও চিনি কিনেছি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আরও যদি নিষেধাজ্ঞা দেয় সেটা বলছি। চায়নার বিরুদ্ধে কতকিছু বলছে। চায়নার জিনিসে তো আমেরিকার বাজার সয়লাব হয়ে আছে। ওইভাবে বন্ধ হয় না। যদি একেবারে নিষিদ্ধ করে দেয় যে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস নেবে না বা অমুক পণ্য নেবে না। আমার মনে হয় না আমেরিকা এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে দেবে।’
আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।