ইনসাইড বাংলাদেশ

অনেক নাটকীয়তার পর গাজীপুরে জিতলেন জাহাঙ্গীরের মা

প্রকাশ: ০১:২৮ এএম, ২৬ মে, ২০২৩


Thumbnail অনেক নাটকীয়তার পর গাজীপুরে জিতলেন জাহাঙ্গীরের মা।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। তিনি ২,৩৮,৯৩৪ ভোট পেয়ে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২,২২,৭৩৭ ভোট। 

নানা কারণে গাজীপুর সিটি করপোশনের নির্বাচন ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য জয়ী হওয়াটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, তেমনি গাজীপুরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনও জরুরী ছিলো।

আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে টানা ভোটগ্রহণ চলে। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে এ  ভোট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে, গাজীপুরে সিটি নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং উৎসরমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পর্ণ হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ট্রান্সজেন্ডার ১৮ জন ভোটার।

গাজীপুর   সিটি নির্বাচন. মেয়র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এক শতাংশ ভোট পড়লেও নির্বাচন আইনগতভাবে সঠিক: সিইসি

প্রকাশ: ০৬:০৮ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আমাদের দেশে যদি এক শতাংশ ভোট পড়ে, ৯৯ শতাংশ না পড়ে তবুও ওই নির্বাচন আইনগতভাবে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

সিইসি বলেন, ‘আমরা লেজিটিমেসি (বৈধতা) নিয়ে মাথা ঘামাবো না। আমরা দেখবো ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ হয়েছে কি না। এক শতাংশ লোক মাত্র ভোট দিয়েছে। তারপরও যদি দেখি ভোটার যারা এসছিলেন, তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যদি এক শতাংশ ভোট পড়ে, ৯৯ শতাংশ না পড়ে লিগ্যালি দ্যাট ইজ রাইট (আইনগতভাবে এটা সঠিক)। কোশ্চেইন অব লেজিটিমেসি মে অ্যারাইজ। বাট দ্য কোশ্চেইন অব লিগ্যালিটি উইল নট অ্যারাইজ। সো দেয়ার ইজ এ কনফ্লিক্ট বিটুইন লিগ্যালিটি অ্যান্ড লেজিটিমেসি। আমরা লেজিটিমেসি নিয়ে মাথা ঘামাবো না। আমরা দেখবো ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ হয়েছে কি না। এক শতাংশ লোক মাত্র ভোট দিয়েছে। তারপরও যদি দেখি ভোটার যারা এসছিলেন, তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইনগত দিক থেকে লিগ্যালিটি আর লেজিটিমেসি। লিগ্যালি একটা জিনিস হলে লিগ্যালি ভ্যালিড। বাট লেজিটিমেসি (বৈধতা) একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যেখানে পারসেপশন তৈরি হয়। আমি ওই বিরোধে যেতে চাচ্ছি না। নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করবে একটি ল’ফুল নির্বাচন করতে। আর রাজনৈতিক সমাজ লেজিটিমেসি নিয়ে ফাইট করবে। নির্বাচন কমিশন এই বিষয় নিয়ে ফাইট করবে না।’


নির্বাচন   সিইসি   কাজী হাবিবুল আউয়াল   নির্বাচন ভবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা নদীর বাঁধ, পাঁচ জেলায় আকস্মিক বন্যার শঙ্কা

প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

উজান থেকে তিস্তা নদী হয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে আকস্মিক বন্যা। এদিকে ভয়াবহ ঢলের আগাম পূর্বাভাসে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চর ও গ্রামের বসতীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন মাঠে নেমেছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্রমেই বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি।

 

ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, 'বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ০৮ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে দুপুর ২টায় একই পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ মিটার ৯০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।'

 

ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের বরাত দিয়ে সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, 'ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তার পানির সমতল গত মধ্যরাতে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকালে প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বেড়েছে এবং তা অব্যাহত আছে।তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে দ্রুত বাড়ছে। এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাতে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, যা বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।'

 

এদিকে বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে নজরদারী করা হচ্ছে। নদীপাড়ের মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকযোগে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস এলাকা দিয়ে মানুষজনকে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, তিস্তা নদীতে উজান থেকে হড়পা বান ধেয়ে আসছে এমন আগাম খবরে সতর্কবার্তা গ্রহণ করা হয়েছে। নীলফামারীর কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে তিস্তা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাই প্রথম ধাক্কা এ জেলার উপর দিয়ে আসতে পারে। এ জন্য এলাকায় মাইকিংসহ মানুষজনকে সর্তক করে তিস্তা চর ও গ্রাম এলাকা ও বাঁধে বসবাস কারীদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

 

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, ভারতের উত্তর সিকিমে লোনক হ্রদে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানি প্রবল বেগে ভয়ঙ্করভাবে ঢল নেমে আসছে। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হড়পা বান (আকস্মিক বন্যা) বলা হচ্ছে এটিকে।


তিনি বলেন, 'ভারত উজানের জলপাইগুড়ি ও তিস্তা নদীতে সর্তকতা জারী করেছে। সেই পানি তিস্তা দিয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে বলে ভারতের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে। আজ দুপুরের পর সেই পানি প্রবেশ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এ জন্য আমরা সকল প্রকার সতর্কাবস্থান নিয়েছি। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস দিয়ে মানুষজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


নীলফামারী   তিস্তা   নদী   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেলকুচিতে প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বুধবার (৫ অক্টোবর') সকালে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের নিশিবয়ড়া গ্রামে অবস্থিত  প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভাটি নিশিবয়ড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য আবুজার আলী সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আফিয়া সুলতানা কেয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন সমবায় মানে সকলের মনের সাথে সমম্বয়, একটি সমাজ পরিবর্তন করতে হলে সমবায়ের ভুমিকা অপরিসীম। সমবায়ের মাধ্যমে যেমন অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় ঠিক তেমনি ভাবে সমাজকেও এগিয়ে নেওয়া যায়। যে কাজটি প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতি করে যাচ্ছে। আপনাদের সুন্দর এমন উদ্যোগের জন্য শুভ কামনা রইলো।

 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষুদ্র পরিসরে কাজ শুরু করেছিলাম। আমাদের সকল পরিচালক ও সদস্যদের মনমানসিকতার কারনেই আমরা এগিয়ে যেতে পারছি। আমরা আমাদের গ্রামের সকল উন্নয়ন মূল ক, সামাজিক মূলক কাজ করে যাচ্ছি। আমরা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছি না। সামাজিক উন্নয়ন নিয়েও কাজ করছি যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক বিরোধী, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, নিরক্ষন দূর করেন বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা, এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নসহ নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছি।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রত্না বেগম, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ তামাই সাব জোনাল অফিসের এজিএম কাজী মো: জসিম উদ্দিন, প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তড়িৎ, সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুস সবুর তালুকদার, পরিচালক শিউলি আক্তার, সদস্য আব্দুর রশিদ মিয়া, ফজলার রহমান খাঁন, সোহেল তালুকদার প্রমূখ'।

 

এ সময় বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। উপস্থিত সদস্যবৃন্দও তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।


সামাজিক সংগঠন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইনের বিষয়ে দীর্ঘসুত্রিতা কখনো কাম্য নয়: ড. কামাল উদ্দিন

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইনের বিষয়ে দীর্ঘসুত্রিতা কখনো কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, একটি আইন প্রণয়নে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়না। যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইনের বিষয়ে দীর্ঘসুত্রিতা কখনো কাম্য নয়।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন আইনের খসড়া প্রস্তাবনার সর্বশেষ অবস্থা ও করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে নারী অধিকার বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, প্রাসঙ্গিক দলিলসমূহ এবং বিস্তৃত পরিসরে বাংলাদেশের সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়টি উল্লেখ করে নারী অধিকার, বৈষম্য বিলোপ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ ইত্যাদি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রায়োগিক দিক আলোচনা করেন। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সাফল্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি।

মানব পাচার প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধ আইন প্রণয়নে ০৩ বছর সময় লেগেছিল যদিও তা ০২ বছরের মধ্যেই প্রণয়ন করা সম্ভব ছিল। এছাড়াও, উক্ত আইন প্রণয়নের বিষয়টি আসন্ন নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করা এবং উক্ত আইন প্রণয়নের বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার থাকাটা জরুরি।”

তিনি তাঁর বক্তব্যে নারীর মানোন্নয়ন, বৈষম্য রোধসহ সকল ধরনের অধিকায় প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার প্রসার, জ্ঞানগত চর্চা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির প্রক্রিয়াকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল ধরনের প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, সঠিক সমন্বয় ও লক্ষ্যনির্ভর হওয়াকে গুরুত্ব প্রদান করেন।

সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত আইনের প্রণয়ন ও প্রয়োগ সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কি সরকারের আপস হয়ে গেল?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একটি শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, ফয়সালা হয়ে গেছে। তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে, আগামী নির্বাচন হবে। তার এই বক্তব্যের পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়ে যায়। রাজনৈতিক দলের অনেকেই তার বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য শুরু করে। কেউ কেউ বলছেন, ওবায়দুল কাদেরের এই ধরনের বক্তব্য বিব্রত কর। অনেকেই এর আগের বক্তব্যের সূত্র ধরে ওবায়দুল কাদের কেন এই ধরনের কথা বলছেন তা নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে ফিরে বিমানবন্দরে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, দুই সেলফিতেই ফয়সালা হয়ে গেছে। গতকালকের বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের একই রকম বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন। কিন্তু আজ সকালে ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্য যে স্রেফ কথার কথা নয়, তার বক্তব্যের যে কিছু সারবর্ত রয়েছে সেটি স্পষ্ট হয়। 

আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে প্রথমবারের মতো স্বীকার করা হয় যে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। এই সময় তিনি বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ হয় তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এবং বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব এবং ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত তারা জানেন যে, জ্যাক সুলিভান ক্ষমতাবান ব্যক্তি। শুধু জ্যাক সুলিভান ব্যক্তি হিসাবে নয় বরং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ এবং তিনি বহির্বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ভূমিকা এবং করণীয় নির্ধারণ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন দেশের সাথে কি ধরনের সম্পর্কে জড়াবে সেই বিষয়টিও নির্ধারণ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা। 

প্রশ্ন উঠেছে, ২৭ সেপ্টেম্বরের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও সরকার বৈঠকটির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য রাখেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোন কথা বলা হয়নি। যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে হইচই ফেলে দেয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথার ফুলঝুটি ঘটান। এই ক্ষেত্রে আশ্চর্য নীরবতা অবলম্বন করা হয়েছিল। এমনকি ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতা হয়ে গেছে এ ধরনের বক্তব্য কেউ আমলে নেননি। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরপরই গতকাল হোয়াইট হাউসে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ে সমন্বয়কারী জন কিরবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জ্যাক সুলিভানের বৈঠকের কথাটি নিশ্চিত করেন। এর মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, ওবায়দুল কাদের সস্তা কথার কথা বলেননি। তার কাছে কিছু তথ্য আছে জন্যই এ ধরনের মন্তব্য তিনি করেছেন এবং এই বক্তব্যের পিছনে যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত রয়েছে। হয়তো তিনি যেভাবে বলেছেন সে বলার ভঙ্গিমা সঠিক ছিল না কিংবা এই ধরনের কূটনৈতিক গোপনীয় বিষয়টি প্রকাশ্যে আনাটা তার সঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যপূর্ণ সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নিশ্চিত ভাবেই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, শান্তি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সেই আলোচনার প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভাব এবং ভূমিকা রাখবে বলে অনেকেই মনে করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ওবায়দুল কাদের   শেখ হাসিনা   মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা   জ্যাক সুলিভান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন