ইনসাইড বাংলাদেশ

উখিয়া টেকনাফে আবারো সক্রিয় মানবপাচারকারী: পাঁচ দালাল আটক


Thumbnail

কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ১০/১২ শক্তিশালী সিন্ডিকেটের পাঁচ শতাধিক মানব পাচারকারী এ অবৈধ কাজে জড়িত। এদের মধ্যে গত ২৬ মে রাত সাড়ে ১১ টায় পাঁচ দালালসহ ২৩ জনকে আটক করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।

আটক পাঁচ দালালের মধ্যে রয়েছে টেকনাফ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের নাইট্যং পাড়ার মোঃ সেলিমের ছেলে জাহিদ হোসেন( ৩৫), মোঃ হাসেমের ছেলে জামাল হোসেন( ৩১), আমিন শরীফের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪২) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের বরইতলী গ্রামের আলী জোহার ছেলে মোঃ ইউনুচ (২৩) ও মোঃ শাহর ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩৩)। অপর ১৮ জন মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদেরকে দালাল চক্র সাগর পথে  মালেশিয়া নিয়ে যাবার জন্য এনে নাইট্যং পাড়ার আমিন শরীফের বাড়িতে এনে জড়ো করেছিল।এদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৬ জন নারী  ও৭ জন শিশু ছিল। তাদেরকে মায়ানমারের মংন্ডু থেকে মায়ানমার মুদ্রায় দুই লক্ষ টাকা যা বাংলাদেশী ৮ হাজার টাকা করে অগ্রীম নিয়ে  নাফনদী দিয়ে অবৈধ ভাবে  অনুপ্রবেশ করিয়ে মালেশিয়া  যেতে জড়ো করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হালিম। তিনি বলেন তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মানব পাচার আইনে পৃথক মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এধরণের আরো অনেক চক্র আছে যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু, নারী ও পুরুষ পাচারের জন্য জোগাড় করছে। এদের মধ্যে যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা ভালো তাদের নিলামে তোলা হয়। তাদের নিলামে কিনে নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। এমন অবস্থা এখন নিত্যদিনের। সরেজমিন জানা যায়, মানব পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয় টেকনাফ উখিয়ার ছয়টি নৌঘাট। নৌঘাট ছয়টি দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় লোক পাচার করা হচ্ছে। মানব পাচারকারী ১২ সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন- মো. হোছন প্রকাশ মাছন মাঝি (৪৫) (তার ভাই হাসেমের বাড়ি থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করেছিল), পিতা-শফিকুর রহমান, সদর ইউনিয়ন, নোয়াখালী পাড়া-কোনার পাড়া, বাহারছড়া ইউনিয়ন, টেকনাফ। তার ভাই মো. হাছন প্রকাশ আতুরী (৩৫), হাবিরছড়া, সদর ইউনিয়ন। সুলতান মাহমুদউল্লাহ (৩২), পিতা-আবদুল হামিদ, গ্রাম-হাবিরছড়া, সদর ইউনিয়ন। রশিদ মিয়া (৩২) (বর্তমান মেম্বার, মাদক ও মানব পাচারকারী), পিতা-কবির আহমদ, গ্রাম-হাবিরছড়া, সদর ইউনিয়ন। আবদুল আমিন (৪২), পিতা-শহর মল্লুক, গ্রাম-হাবিরছড়া, সদর ইউনিয়ন। পাহাড়ের ভিতর অবস্থান নিয়ে মানব পাচার ও অপহরণ বাণিজ্য করে) এবং হুমায়ুন। এই ১২ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে মানব পাচার। এরাই মানুষ নিলামে তুলছে। বিদেশে যাওয়া লোকজনকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ। শাহপরীর দ্বীপ, লম্বরী, মহেশখালিয়াপাড়া এবং বাহারছড়াসহ সাগরতীরবর্তী ছয়টি ঘাট এখন আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ এসব ঘাট দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছে অনেকে। গত ৪ নভেম্বর মহেশখালীয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ মানব পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয় একজনকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এসব ঘাটে সক্রিয় রয়েছে অন্তত  পাঁচ  শতাধিক মানব পাচারকারী। টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, যারা মানব পাচার করছে তারা এখন অনেক সোচ্চার।পুলিশের তোয়াক্কা করছে না । বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, আমার ইউনিয়ন উপকূলে হওয়ায় এদিক দিয়ে পাচারের চেষ্টা বেশি হয়। এসব নৌঘাটে মানব পাচারে কারা সম্পৃক্ত তা জানে স্থানীয়রাও। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, লম্বরী ঘাটের সাইফুল, নতুন পল্লানপাড়ার সিরাজ মেম্বারের ছেলে আরিফ, ইয়াসিন, মাস্টার মাহবুব আলম, এনামসহ কয়েকজন মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। মানব পাচারের জন্য আলোচিত শাহপরীর দ্বীপে যে কজন সক্রিয় বলে অভিযোগ, তাদের অন্যতম আবুল কালাম ভুলু ও শাহপরীর দ্বীপ মাঝরপাড়ার জাইর হোসেনের ছেলে ছৈয়দ উল্লাহ (৪২)। টেকনাফ উপকূলের নোয়াখালীপাড়ার কাটাবনিয়া-কচুবনিয়া, শাহপরীর দ্বীপ ঘাট ‘মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়। সম্প্রতি আবারও এ পথে মানব পাচার বেড়ে গেছে।

পাচারের পয়েন্ট : টেকনাফের সাগর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকার পাশাপাশি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বেশকিছু পয়েন্ট দিয়ে মানব পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। এর মধ্যে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছটা, ফিশারিঘাট, নাজিরাটেক, সমিতিপাড়া; মহেশখালীর সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, কুতুবজোম, ধলঘাটা; উখিয়ার সোনারপাড়া, রেজুরখাল, ইনানী, ছেপটখালী, মনখালী; টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া, নোয়াখালীপাড়া, মহেশখালীয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, কাটাবনিয়া, খুরেরমুখ, হাদুরছড়া, জাহাজপুরা, কচ্ছপিয়া, শামলাপুর, সদরের ঈদগাঁও, খুরুশকুল, চৌফল-ী, পিএমখালী, চকরিয়া, পেকুয়া; চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা কুতুবদিয়া ও পটিয়া উল্লেখযোগ্য। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারকারীরা সক্রিয়। ক্যাম্পের মো. ওসমান, আবদুল গফুর ও সাইফুল মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। তারা উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। এ ছাড়া উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা মানব পাচারকারী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা হলেন- হাফেজ ছলিম, আতাত উদ্দিন,কুতুপালং রেজিস্ট্রাট ক্যাম্পের মোলভী কামাল হোসেন। সে গত বছর সাড়ে ১৩ লক্ষ হুন্ডির টাকাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়ে আবারো সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেে হুন্ডি ও মানব পাচার এমনটা জানিয়েছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক ঘনিষ্ট সহযোগী।সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হলে ও পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এছাড়া মোহাম্মদ আলম, আবদুর করিম, হাফেজ মোহাম্মদ আইয়ুব, আবদুল করিম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ কবির, আমির হোসেন, মোহাম্মদ ফয়েজ, নূর হোছন, মোহাম্মদ নাগু, নুরুল কবির, আবুল কালাম, লাল বেলাল, দিল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ফারুক, জোবাইর হোসেন, লালু মাঝি, আলী আকবর, ইমাম হোসেন ও শুক্কুর এরা একেকজন মানব, মাদক ও অস্ত্র পাচারের সাথে জড়িত বলে জানাগেছে।

মোহাম্মদ ছলিম, লম্বা কবির, মোহাম্মদ শাহর বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও এলাকায় তারা পাচারে তৎপর রয়েছে। তবে মানব পাচার ঠেকাতে নজরদারির পাশাপাশি পুরনো পাচারকারীদের সহায়তায় নতুন কোনো চক্র তৈরি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার কথা জানায় পুলিশ। কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, যারা মিয়ানমার দিয়ে চলে যেত তাদের আমরা উদ্ধার করেছি। এর বাইরে পাচারকারীদের অনেক প্রচেষ্টাই আমরা নিষ্ফল করে দিয়েছি। এদিকে মানব পাচারকারীদের নতুন তালিকা করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা না গেলে সাগরপথে মরণযাত্রা বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। জানা গেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে মাঝে-মধ্যে সিন্ডিকেট সদস্যরা ধরা পড়লেও আইনের ফাঁকফোকরে তারা জেল থেকে বেরিয়ে আবারও শুরু করে মানব পাচারসহ নানা অপকর্ম।  স্থানীয়দের পাশাপাশি মালয়েশিয়া পাচারভিত্তিক সিন্ডিকেটে যোগ হয়েছে অসংখ্য  রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে। উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম  বলেন, দীর্ঘদিন পাচার প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পাচারকারী সিন্ডিকেট। তাদের খপ্পরে পড়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে।

এলাকার সচেতন মহল জানিয়েছে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নজর এড়িয়ে বহু রোহিঙ্গা দালালের মাধ্যমে পাচার হয়ে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে। এবং তাদের পরিবারের অনেকেই এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে আছেন। এখানে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ওখান থেকে সিগন্যাল এলে তারা এখান থেকে দালালের মাধ্যমে চৌধুরী যেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। শুধু তাই নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে  সাগরপথে মালেশিয়াগামী লোক সংগ্রহে কমিশন এজেন্ট হিসাবে সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার এজেন্ট। এমন তথ্য পুলিশের কাছে দিয়েছে আটক দালালদের কয়েকজন।উখিয়া ও টেকনাফ থানার উপকূলীয় অঞ্চল এখন মানব পাচারের হট স্পট। তাই টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হালিম ও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ইয়াবা,মানবপাচারের বিরুদ্ধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে গত দুই মাসে শতাধিক দালাল ও ভিকটিমকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাঙ্গা থেকে যশোর রেলপথ চালু হবে অক্টোবরে : রেলমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে আগামী অক্টোবরে। ভাঙ্গা জংশনের নির্মাণকাজ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত যে চন্দনা কমিউটার ট্রেন চলছে, তা ফরিদপুরে স্টপেজ দেওয়ার ব্যাপারে আন্দোলন চলছে।

এ ব্যাপারে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুরে চন্দনা ট্রেনের রিশিডিউল দিয়ে দেব। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করছি। ওদের আশ্বস্ত করে দেন। আন্দোলন করতে হবে না।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় অবস্থিত ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত ঢালী, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ খুদা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চায়না রেলওয়ে কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।


ভাঙ্গা   যশোর   রেলপথ   অক্টোবর   রেলমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী চান সোনালি আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে: নানক

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান সোনালি আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। যেকোনো মূল্যেই আমরা পাটের গৌরবময় সোনালি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনায় বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে ছয় হাজার টন পাটবীজ প্রয়োজন। দেশে এক হাজার পাঁচশত টন উৎপাদন হয়। বাকি সাড়ে চার হাজার বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। ব্যাপকভাবে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।’

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ফ্রাষ্কফুর্টে পাঠালেন। আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০ টি স্টল, ভারতের ২১টি স্টল। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কাঁচাপাট রপ্তানি করেও বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। পাটচাষি, পাট ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার।’ 

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উৎস কর কমিয়ে আনতে সবার সঙ্গে কথা বলা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী অর্থ সচিব এবং প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চকে পাট দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মাননীয় নেত্রী এই পাটকে কৃষি পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু পাট চাষিরা যখন ব্যাংকে যান, পাট ব্যবসায়ীরা যখন ব্যাংকে যান তখন গাত্রদাহ হয়। সেইভাবে তারা একসেপ্ট করে না পাট ব্যবসায়ীদের। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটার জন্য যা যা করা দরকার আমি আছি। আমি আপনাদের পক্ষ হয়ে সেই দায়িত্ব পালন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি পরিবেশবান্ধব এই সোনালি ব্যাগকে অতি দ্রুত উৎপাদনে নিয়ে আসার। পলিথিনের ব্যাগ বন্ধ করতে বলবো কিন্তু বিকল্প ভোক্তার হাতে দেব না বা বিক্রেতার হাতে দেব না, এটি হতে পারে না! বাজারে গিয়ে পাঁচ রকমের সবজি যদি কিনেন তাহলে পাঁচটা ব্যাগে পাঁচ রকম সবজি বিক্রেতা দেয় বিনা পয়সায়। তারপরও যদি বলেন সবগুলো আরেকটা ব্যাগে দিয়ে দেন সেটাও দিয়ে দেয় বিনা পয়সায়। কিন্তু আমাদের যে সোনালি ব্যাগ হচ্ছে সেটির উৎপাদনে যে দাম হচ্ছে সেটিকে আমরা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সেটিকে আমরা মানুষের ক্ষয়ক্ষমতার মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক বলেন, ‘আমি হেভিওয়েট মন্ত্রী না। আমরা রাস্তা থেকে বেড়ে ওঠা মানুষ। আমরা খুব সহজ মন্ত্রী। কাজেই আমাদের কাছে আসবেন। আমাদের দরজা খোলা। আমাদের কাছে আসবেন যেকোনো সমস্যা নিয়ে যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা ডাকবেন। প্রয়োজনবোধে এই খুলনায় চলে আসব।’

বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন।

 


আওয়ামী লীগ   পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী   অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান।

গত ৩ মে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগের দিন রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলার সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাইবাছাই চলছে।

গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। 


ডিবি   কার্যালয়   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে কিনা এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ধরনের অবস্থানের কথা জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের সময় র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইতিবাচক কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। সে সময় ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছিলেন যে, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সালমান এফ রহমান এটাও বলেছেন যে, এটা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের হাতে রয়েছে এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর এবং হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে তাদেরকে তাগদা দিচ্ছে।

আর এরকম একটি বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে এমন আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এই আশাবাদে জল ঢেলেছেন হোয়াইট হাউসের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে, র‌্যাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে এমন দাবি সঠিক নয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য।

উল্লেখ্য, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। আর তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, অতীতের তিক্ততা ভুলে তারা সামনের দিকে এগোতে চায়। এরকম একটি বাস্তবতায় অনেকেই মনে করেছিল যে, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সরকার ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। বিশেষ করে ডোনাল্ড লু’র এই সফরের পর সরকারের অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। তবে এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্যের ফলে ভিন্ন সুর পাওয়া গেল।

তবে কূটনৈতিক মহল বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নানামুখী হয় এবং তাদের প্রকৃত অবস্থান বোঝা অত্যন্ত কষ্টকর। নির্বাচনের আগেও যেমন ডোনাল্ড লু, আফরিন আক্তারের অবস্থানের সঙ্গে জ্যাক সুলিভানের অবস্থানের মিল ছিল না। এমনকি শেষ দিকে পিটার ডি হাসের অবস্থানের সঙ্গেও হোয়াইট হাউসের অবস্থান এক রকম ছিলনা। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই নানা প্রসঙ্গে বিভিন্নরকম মতামত থাকে। তাই ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে সালমান এফ রহমান যা বলেছেন কিংবা বেদান্ত প্যাটেল যা বলেছেন তার মধ্যে কোনটি সত্যি তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তবে র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সেখানে এ বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করার জন্য একটি লবিস্ট ফার্মকেও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের কাজও বহুদূর এগিয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা এটি বলে দেয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সেটি প্রত্যাহার করাটা অনেক জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার।


র‌্যাব   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   ডোনাল্ড লু   হোয়াইট হাউস   স্টেট ডিপার্টমেন্ট   বেদান্ত প্যাটেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন