‘পাখিরা নিরুদ্দেশ - গাছেরা পুড়ে ছাই- শ্বাস নিতে সামান্য বাতাস কোথা পাই’- কাজী শহীদুল ইসলামের এই লাইন দুটিতে আবহমান বাংলাদেশের প্রকৃতিকে ফিরে পাওয়ার যে আকাঙ্খা- সেই আকাঙ্খা হোক বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের প্রাণের আকাঙ্খা, প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার আকাঙ্খা, বিপন্ন পরিবেশকে সুন্দর করে তোলার আকাঙ্খা। সারা দেশজুড়েই চলছে ব্যাপক বৃক্ষনিধন। সেসব কাটা বৃক্ষ একটি জরুরি বার্তা পাঠাচ্ছে মানুষের কাছে, মানুষ সেটি অনুধাবন করতে পারছে কি না- তা জানা নেই। তবে কাটা কাটা, পুড়ে পুড়ে ছাই হওয়া গাছেরা বলছে — ‘প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে গেলে মানুষের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়বে।’
পুড়িয়ে
দেওয়া জুম পাহাড়, উন্নয়ন
ও নগর সম্প্রসারণের নামে
বৃক্ষনিধন, উপকূলের বিপন্ন ম্যানগ্রোভ বনসহ প্রকৃতিবিনাশী ছবিগুলো
পরিবেশপ্রেমীদের মনকে বিষন্ন করে।
অথচ গাছের সাথে মানুষের কি
অবিকল মিল! কোনো কোনো
কাণ্ড হুবহু মানুষের মুখের আকৃতির। লতাগুলো যেন নৃত্যরত; শাখার
বিন্যাস, পাতার গড়ন কতই না
মনোরম। মানুষের ত্বকের সঙ্গে গাছের বাকলের কত মিল। মানুষের
চোখের মতোই কাণ্ডের ভেতরের
গিঁটগুলোর আকৃতি। সব মিলিয়ে প্রকৃতি
আর মানুষ যেন একাকার।
আজ সোমবার (৫ জুন) বিশ্ব
পরিবেশ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও নানা
কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি
পালিত হবে।
এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের
উদ্যোগে নানা কর্মসূচি গ্রহণ
করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ব
পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘প্লাস্টিক দূষণ
সমাধানে সামিল হই সকলে।’ এবং
স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে -‘সবাই
মিলে করি পণ, বন্ধ
হবে প্লাস্টিক দূষণ।’
উল্লেখ্য
যে, ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন
করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’- এ
শ্লোগানটিও এ বছর বিশ্ব
পরিবেশ দিবসে নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ পরিবেশ প্রোগ্রাম
বা ইউনাইটেড নেশন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি)। পরিবেশ অধিদপ্তরের
এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিপাদ্য এবং শ্লোগানের স্থানে ‘গাছ
লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ
প্রজন্মের দেশ গড়ি’- শ্লোগানটিও
লেখা রয়েছে।
জাতিসংঘের
পরিবেশ কর্মসূচির নেতৃত্বে ১৯৭৪ সাল থেকে
প্রতিবছর ৫ জুনকে ‘বিশ্ব
পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণ নিয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ ৫ জুনকে ঘোষণা
করেছে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে। পরিবেশই প্রাণের ধারক, জীবনীশক্তির বাহক। সৃষ্টির শুরু থেকেই পরিবেশের
সঙ্গে প্রাণীর মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার ওপরেই তার অস্তিত্ব নির্ভর
করে আসছে। পরিবেশ প্রতিকূল হলে জীবের ধ্বংস
ও বিনাশ অবশ্যম্ভাবী। পরিবেশের ওপর নির্ভর করে
মানুষ, অন্যান্য উদ্ভিদ ও প্রাণী-জীবনের
বিকাশ ঘটে। তাই পরিবেশ
ও মানুষের মধ্যে রয়েছে এক নিবিড় যোগসূত্র।
কিন্তু নানা কারণে পরিবেশদূষণ
সমস্যা প্রকট হওয়ায় মানবসভ্যতা আজ চরম হুমকির
সম্মুখীন। এ থেকে মুক্তির
উপায় নিয়ে চলছে নানা
ধরনের গবেষণা।
আমাদের
বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন পরিবেশ-প্রকৃতি। কিন্তু প্রতিনিয়ত এ পরিবেশকে আমরা
নানাভাবে দূষিত করে আসছি। বিশ্বজুড়ে
এখন পরিবেশদূষণের মাত্রা ভয়াবহ। পরিবেশদূষণের উল্লেখযোগ্য কারণের মধ্যে রয়েছে অত্যাধিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি,
অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন ও বনভূমি উজাড়,
প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার, দ্রুত শিল্পায়ন, সার ও কীটনাশকের
মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, শিল্প-কলকারখানার বর্জ্য, গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া, ওজোন স্তরের ক্ষয়,
অ্যাসিড বৃষ্টি, অপরিকল্পিত গৃহনির্মাণ, দারিদ্র্য, প্রসাধনসামগ্রী, প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার ইত্যাদি।
মানুষ
একদিন প্রকৃতিকে জয় করার নেশায়
মত্ত হয়েছিল। প্রকৃতিকে জয় করেও মানুষের
সেই নেশার অবসান হলো না। বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ জলে, স্থলে, মহাশূন্যে
আধিপত্য বিস্তার শুরু করল। কিন্তু
মানুষের এই বিজয় মানুষকে
এক পরাজয়ের মধ্যে ফেলে দিল। আজ
আমরা এক ভয়ংকর সংকটের
মুখোমুখি। এ সংকট বিশেষ
কোনো দেশের নয়, বিশেষ কোনো
জাতিরও নয়। এ সংকট
আজ বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের পরিবেশ আজ নানাভাবে দূষিত।
এই দূষণ আজ ভয়ংকর
ভবিষ্যতের দিকে আমাদের নিয়ে
যাচ্ছে।
বিশ্ব
পরিবেশ দিবসের সকালে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সোমবার
(৫ জুন) দিবসটি উদ্বোধন
করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন
সরকারের পক্ষ থেকে নানা
কর্মসূচিও পালন করা হবে
বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু
পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
রোববার (৪ জুন) সচিবালয়ে
তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ
মেলা ২০২৩ এবং জাতীয়
বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩
উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে
তিনি এ তথ্য জানান।
পরিবেশমন্ত্রী
বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং বনজ সম্পদের
উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এসব কাজে জনগণের উপস্থিতি
বাড়াতে মন্ত্রণালয় সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
এ লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব
পরিবেশ দিবস পালনের উদ্যোগ
নেওয়া হয়েছে। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য এবং স্লোগান নির্ধারণ
করা হয়েছে- ‘সবাই মিলে করি
পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক
দূষণ।’
তিনি
বলেন, আগামীকাল (৫ জুন) সকাল
সাড়ে ৯ টার দিকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে
বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করার
সম্মতি জানিয়েছেন।
মন্ত্রী
বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার বেলা ১১টার দিকে
আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২২, বৃক্ষ
রোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২১ এবং সামাজিক
বনায়নের উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করা
হবে।
মন্ত্রী
জানান, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর
শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ মেলা
অনুষ্ঠিত হবে। পরিবেশ মেলা
৫ জুন থেকে ১১
জুন পর্যন্ত চলবে। আর বৃক্ষ মেলা
চলবে ৫ থেকে ২৬
জুন এবং ১ থেকে
১২ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল
৯টা থেকে রাত ৮টা
পর্যন্ত। জাতীয় বৃক্ষ মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘গাছ
লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ
প্রজন্মের দেশ গড়ি।’
শাহাব
উদ্দিন বলেন, দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারসহ
অন্যান্য গণমাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয়
সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তর
থেকে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। সব
জেলা-উপজেলা এবং ঢাকা মহানগরীর
১০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা
হবে।
দিবসটি
উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতা,
পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের
উদ্যোক্তাদের জন্য সচেতনতামূলক সেমিনারের
আয়োজন করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ দিবস প্লাস্টিক দূষণ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।