ইনসাইড বাংলাদেশ

হেবা কমিটির সদস্যদের দৌরত্বে খোয়া সাগর দিঘি, দুর্ভোগে দর্শনার্থীরা


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর রায়পুর সড়কের পূর্বপাশে বিশাল আয়তনের একটি দিঘী আছে; যার নাম খোয়া সাগর দিঘী। খোয়া মানে কুয়াশা অর্থাৎ দীঘিটি আয়তনে এতই দীর্ঘ যে এর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে তাকালে কুয়াশাময় মনে হয় বলে এর নামকরণ হয় খোয়া সাগর। দুই শতাধিক বছর পূর্বে আশপাশের এলাকা মাটি ভরাট এবং মানুষের ব্যবহারের জন্য পানি সংরক্ষণের প্রয়োজনে দালাল বাজারের জমিদার ব্রজবল্লভ রায় দীঘিটি খনন করেন।

পর্যটন মন্ত্রণালয় ও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে দিঘীর উত্তর ও পশ্চিমের একাংশ প্যালাসাইটিং দিয়ে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য কয়েকটি পাকা বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়। সৌন্দর্য রক্ষার্থে একটি গোলঘর নির্মাণ করা হয় খোয়াসাগর দিঘীর পশ্চিম পাড়ে। এছাড়া বসার জন্য বেশ কয়েকটি পাকা বৃত্তাকার বেঞ্চ রয়েছে। বসার স্থানে সড়কের পাশে ১৩টি সোলার ল্যাম্পপোস্ট লাগানো হয়।

লকডাউনের মধ্যেও ঈদকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজার খোয়া সাগর দিঘির পাড়ে  নানা বয়সি মানুষের উপচে পড়া ভীড় শুরু হয়েছে গত ২ বছর  আগে ঈদের দিন থেকে। জেলার রামগতির কমল নগর, রামগঞ্জ, রায়পুর,চন্দ্রগঞ্জ,  লক্ষ্মীপুর থেকে বেড়াতে  আসা শিশু-কিশোর যুবক-যুবতীরা আক্ষেপের করে বলেন, দূরদূরান্ত থেকে আমরা ঘুরতে আসি ঠিকই কিন্তু ঘুরতে এসে পড়তে হয় বিপদে। চেনা নেই জানা নেই দলে দলে বখাটে ছেলেরা এসে আমাদেরকে প্রশ্ন করে আমাদের কে বিভ্রান্ত করে। কে আমরা কেন আসছি বাড়ি কোথায় সাথে নিজের ভাই থাকলে ও প্রশ্ন করে উনি কে তোমার কি হয় এরকম উদ্ভট প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় প্রতিনিয়ত।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায় বিকাল বেলা স্বামী-স্ত্রী, ভাই বোন, বন্ধু- বান্ধবী, বোন ভগ্নিপতি বাসায় আগত মেহমানদের কে নিয়ে যখন এই খোয়া সাগর দিঘীর পাড়ে বেড়াতে আসে তাদেরকে পরতে হয় কোন না কোন ঝামেলায়। হঠাৎ একজন আসেন এসে নানা প্রশ্ন জড়িয়ে দেন তারপর আস্তে আস্তে দুজন তিনজন করে জড়ো হতে থাকে ৮ থেকে ১০ জন্য  বখাটের একটি টিম। এবং ভাষা গত ভাবে ঘুরতে আসা যুবক-যুবতীদেরকে অপমান অপদস্থ করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের হাতের মোবাইল নগদ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। আর এরা হচ্ছে হেবা কমেটির সদস্য। আর এই হেবা কমেটির সদস্যরা  পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে তাৎক্ষণিক বাহিনীর প্রধান  ফোন করেন স্থানীয় দালাল বাজার ফাঁড়িতে।  মাত্র ১০ - ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রশাসনের লোকজন চলে আসেন খোয়া সাগরদিঘির পারে ঘটনাস্থলে। এর পর হেবা  কমিটির সদস্যরা অনেকেই  তাদের দলীয় পরিচয় দেন । 

এক পর্যায়ে প্রশাসন অথবা ফাঁড়ির আই সি যুবক-যুবতীদেরকে হেবা কমেটির সদস্যদের সাথে কথা বলে দালালবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে যান। সাথে সাথে হেবা কমিটির সদস্যরা দালাল বাজার ফাঁড়িতে অবস্থান নেন। ক্ষুদ ফাঁড়ি আইসির সামনেই বসে শুরু হয় দরকষাকষি। হেবা কমিটি সদস্যদের চাহিদা ৫০.০০০ সর্বনিম্ন ৩০.০০০ দিতে হবে। টাকা পয়সা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে এক পর্যায়ে ব্ল্যাকমেন করা শুরু করে। মামলার ভয় দেখায়। কোনভাবেই যদি টাকা-পয়সার দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে না পারে তখন যুবক যুবতীর  স্বামী-স্ত্রীর ফোন নাম্বার চাই অথবা  বাবা-মায়ের ফোন  নাম্বার চাই। 

সম্প্রতি ৪ দিন আগের ঘটনা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আপন বড় ভাই তার ছোট বোনকে লক্ষ্মীপুর উত্তর ইস্টিশনে নিজের চালিত বাইক থেকে নামিয়ে সিএনজি অটোরিকশা যোগে দালাল বাজার তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠিয়ে দেন। এরই মাঝে  দালাল বাজার খোয়া সাগরদিঘির পারে গেলে ছোট বোনের স্কুল জীবনের বন্ধুর সাথে দেখা হয়। অনেকদিন পরে দেখার পর দুই ক্লাসমেট দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বলা অবস্থায় দুজনের উপরের শোয়ার হয় হেবা কমিটির সদস্যরা। ঘটনাস্থলেই দুই ক্লাসমেটকে নাজেহাল করা শুরু করে এবং মারধর করে। মিনিটে জড়ো হলো প্রায় ৩০ থেকে ৫০ জন লোক। সবাই দূর থেকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখছে কি ঘটনা হচ্ছে ওখানে। অতঃপর পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে দালাল বাজার ফাঁড়ির আইসি সালাউদ্দিন শামীম কে ফোন করে হেবা কমেটির সদস্যরা। দুই ক্লাসমেটকে হেবা কমেটির সদস্যরা মিথ্যা অপবাদ ও সাজানো নাটক সাজিয়ে ফাঁড়ির আইসির হাতে তুলে দেন। তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় দালালবাজার ফাঁড়িতে।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়ার পর সংবাদকর্মীরা ছুটে যান দালাল বাজার ফাঁড়িতে। কি ঘটনা ঘটেছিল ব্যাপারটা জানতে চাইলে ক্ষুদ ফাঁড়ি আইসি সালাউদ্দিন শামিমের সামনেই বসে হেবা কমেটির সদস্যরা  নাজেহাল করেন  সংবাদকর্মীদের কে। অতঃপর দেখা গেল হেবা কমিটির সদস্যরা আইসি শামিমের সাথে যোগাযোগ করে শুরু করছে দর কষাকষি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোসলেউদ্দিন ঘটনাটি জানার পর দালালবাজার ফাঁড়ি থানা থেকে দুই ক্লাসমেটকে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন আইসি শামিম কে। 

দালাল বাজার ফাঁড়ি থেকে আইসি শামিম সদর থানা নিয়ে আসেন ক্লাসমেট দুজনকে, ওসি সদর থানা দুজনের কথা শুনে তাদের কে সম্মানের সহিত থানায় থেকে বিদায় দেন। 

স্থানীয়রা জানায়, এতদিন খোয়া সাগর দিঘির পাড়ে সাধারণ মানুষের বিনোদনের জায়গা হলেও বর্তমানে উচ্ছৃঙ্খল তরুণ, মাদক সেবি, মাদক ব্যবসায়ী, জুয়া খেলোয়াড়দের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে খোয়া সাগর দিঘির পাড়। 

খোয়া সাগর দিঘির পাড়ে এসে অনেক যুবক এখানে সেখানে বসে দল বেধে মোবাইলে ইন্টারনেট জুয়া খেলায় লিপ্ত হচ্ছে। এমন উচ্ছৃঙ্খল তরুণদের ভয়ে আতংকে থাকছে সাধারণ দর্শনার্থী ও এলাকার মানুষ। উচ্ছৃঙ্খল তরুণরা মেয়েদের কে কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেও দেখা গেছে। প্রতিবাদ করলে অনেক তরুণরা দল বেধেঁ একাএকি দর্শনার্থীদের বিরুদ্ধে তেড়ে আসে।

কালিবাজার থেকে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী মুরাদ বলেন, একটু যে আরামে কোথাও ঘুরে বেড়াবেন, তারও কোনো উপায় নেই। যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন বখাটেদের উৎপাত বাড়ছে। ঝামেলা এড়াতে এসব উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতেও চান না।’

রায়পুরের দর্শনার্থী আলআমিন জানান এধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে দালাল বাজার খোয়াসাগর পর্যটন কেন্দ্র। মাঝে মাঝে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটছে কিশোরগ্যাং সদস্যদের মাঝে। 

আলআমিন আক্ষেপ করে বলেন, বছরখানেক আগেও খোয়াসাগরদীঘির পাড় লোকে লোকারণ্য ছিল এখন পর্যটন সেরকম একটা আসে না। কারন খোয়াসাগর দিঘি পাড় এখন দখল করে আছে কিশোর গ্যাং ও হেবা কমেটির সদস্যরা।

তিনি আরো বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক জনাব আনোয়ার হোসেন আকন্দ এবং লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার জনাব মাফুজ্জামান আশরাফ দালাল বাজার খোয়া সাগর দিঘির পর্যটন কেন্দ্রের দিকে যদি সুদৃষ্টি দেন, তাহলে হয়তোবা ফিরে পেতে পারে খোয়াসাগর দিঘি পর্যটন কেন্দ্র তার হারানো ঐতিহ্য।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেন লাইনচ্যুত, রাজবাড়ী-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় আপাতত রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।


ট্রেন লাইনচ্যুত   রেলপথ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিজের বাবাকে পিটিয়ে এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়েছিল মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের বাবাকে পেটানোর পর এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢাকায় চলে আসেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান বহুল আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার। ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে চাকরি শুরু করেন। তবে ফার্মেসি থেকে ওষুধ চুরি করায় তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।

বুধবার (০১ মে) তাকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পিটানোয় এলাকাবাসী ধরে তাকে এলাকা থেকে বের করে দেয়। পরে ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। ওষুধ চুরি করায় সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি কিছু পড়াশোনা করেন। পরে মিঠু হালদার নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, এরপর তার চিন্তায় আসল তিনি একটা ওল্ড এজ কেয়ার চালু করবেন। পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামে একটা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সেখানে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিয়ে আসেন। আপনারা দেখেছেন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে অপারেশন থিয়েটার আছে। মানুষ সেখানে বিভিন্ন সেবা নেয়। কিন্তু অপারেশন থিয়েটার থাকতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন, যা তার নেই। এছাড়া তিনি মরদেহ রাতে দাফন করেন এবং চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই ডেড সার্টিফিকেট দেন, যা তিনি স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। লাশগুলো রাতে দাফন করেছেন কেন, ডেড সার্টিফিকেট নিজে কেন তৈরি করেন। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের তিনি টর্চারসেলে নিয়ে পিটিয়েছেন। এগুলো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৮:১৬ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দাঁড়িয়ে মেয়েদের উদ্দেশ্যে ইশারা ইঙ্গিত ও অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গি করার দায়ে মো. জাকির হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার (১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর ইউএনও মুশফিকুল আলম হালিম।

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জাকির হোসেন জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় জিয়া পুকুর বিনোদন কেন্দ্রের পাহারাদার।

এর আগে, বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুশফিকুল হালিম।

ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসে থাকা ছাত্রীদের দীর্ঘ দিন ধরে নানানভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন জাকির। পরে ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে অভিহিত করেন। পরে পুলিশ এসে বুধবার বিকেলে জাকির হোসেনকে হাতে নাতে ধরে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে। জাকির হোসেন দায় স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালত এক মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডা দেন। তৎক্ষনাৎ জাকির হোসেন ১ হাজার টাকা পরিশোধ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপধ্যাক্ষ মো. আতাউল খান বলেন, আমাদের কলেজের ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রী ওই যুবকের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করেন। সেটি প্রমাণ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই যুবক এর আগেও ছাত্রীনিবাসের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করেছে বলে অভিযোগ ছিল। এজন্য বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।


ছাত্রীনিবাস   অশ্লীল ভিডিও   কারাদণ্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দাবদাহ মোকাবিলায় সরকার, জনসচেতনতা কোথায়?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহে অসহনীয় গরমে পুড়ছে পুরো দেশ। কখনও তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে। এই গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন পার করছে জনগণ। নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে জীবনব্যবস্থা। এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এবংকি চলতি মে মাসেও দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।

দেশের তাপমাত্রায় যখন এমন দূর্বিসহ দিন যাচ্ছে তখন বসে নেই সরকার। জনগণকে এই তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে সরকার নিচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ, করছে কার্যকর। শুধু সরকারের পদক্ষেপেই কি মিলবে স্বস্তি নাকি দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে দাবদাহ মোকাবিলা নিতে হবে নানান ব্যবস্থা। দেশপ্রেমের স্থান থেকেও সরকারকে সহযোগিতা করে তীব্রগরমেও আনতে হবে স্বস্তি।

সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পানি ছিটানো হচ্ছে ফুটপাত ও সড়ক বিভাজকে থাকা গাছপালাতেও। তপ্ত গরমের মধ্যেও যারা জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্যেগ নেওয়া হয়ে।

বসে নেই আবহওয়া অধদপ্তরও। স্বস্তিবোধের খবর দিতে কাজ করে যাচ্ছে অনায়েসে। ক্রমাগত ভাবে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে খবর দিয়ে যাচ্ছে দেশবাসিকে। দফায় দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করে জনগণকে সচেতন করছে সংস্থাটি।

অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রনালয় তৎপরতার সহিত তীব্র তাপদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করছে। শিক্ষার্থীদের কল্যানে যাতে করে এই তাপপ্রবাহ শিক্ষাখাতে কোন প্রভাব না আনতে পারে সে জন্য নিচ্ছেন নানান ব্যবস্থা।

তবে কি শুধু সরকার এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলেই মিলবে গরমের স্বস্তি? নাকি জনগেণেরও নিজেরা উদ্যেগ গ্রহন করে সামাজি ও পারিবারিকভাবে সচেতন হওয়া উচিৎ?

বসতবাড়িতে তীব্র তাপপ্রবাহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যক্তিগত এয়ার কন্ডিশনার, ফ্যান, বা অন্যান্য কুলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের নকশা যত্ন যাথে করে তাপমাত্রা কমানো যায়। যা কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। অতিরিক্ত গরমে দেহ থেকে পানি হারিয়ে যায়। তাপমাত্রা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে পানিশূণ্যতাযনিত রোগ থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যাবে তেমনি গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। শুধু পানি পান করা নয় , তীব্র গরমে জীবন চলার পথে উষ্ণতাও বন্ধ করা উচিত। অতিরিক্ত গরমে সারি, জামা, ও অন্যান্য সংগ্রহশালা এবং কুলিং বাস্ত্র পরিহার করা উচিত যাতে দেহ ঠাণ্ডা রাখা জরুরী।

আর এতে করে মিলতে পারে ব্যক্তিগত স্বস্তি। যা নিজের অবস্থান সুস্থ্যতাকে ভালো ফলশ্রুত দিতে পারে। দাবদাহে চলার পথে শুষ্ক এবং শীতল স্থানে সময় ব্যয় করা উচিত। যেমন বাড়ির ভিতর থাকা, জলস্থল বা বারি পর্যবেক্ষণ করা। গাছের ছায়ার নিচে থাকা। এক কথায় শরীরের জন্য যত্ন নেওয়া জরুরি যেন হার্মনিক হয়। এটি উষ্ণতা রেগুলেশন, উষ্ণতা ব্যবহার এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করে। সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে। চলমান দাবদাহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জণগনের কল্যানে বিভিন্নভাবে সতর্ক করছে। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রী নিজেই গ্রামীন পরিবেশে গিয়ে জণগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে।

এই তীব্র গরমের মধ্যেও বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল গ্রামে ঘুরে হাসপাতালগুলোর সার্বিক অবস্থা ও জণগনের স্বাস্থ সংক্রান্ত বিষয়ে খবর নিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেনে, ‘আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে’।

এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্ত দিয়েছে ৪ নির্দেশনা..

১। তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২। প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩। গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪। গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শের জন্য প্রয়োজনে ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও, সরকারের সকল নির্দেশ মেনে চলা এবং নির্দেশাবলী মানতে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব স্থান থেকে একে অপরে পাশে থেকে সহযোগিতা করা উচিৎ। কেননা প্রতিটি সামাজ দেশ ও জাতির প্রতিটি মানুষই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিটি জনগণকে সচেতন হয়ে দাবদাহ মোকাবিলা করতে হবে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   ডিএনসিসি   জনসচেতনতা   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আদালতে মিল্টনের রিমান্ড চাওয়া হবে: ডিবি

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। 

বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,’মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও নির্যাতনসহ প্রতারণার মামলার করা হবে। মিডিয়ায় যতো অভিযোগ এসেছে সব বিষয়েই তদন্ত করা হবে। এছাড়া রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এই বিষয়ে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন