ব্যাংকের পরিচালক বা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে হওয়া আর্থিক ক্ষতি মেটাতে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে ব্যাংক- এমন বিধান যুক্ত করে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন বিল ২০২৩ সংসদে তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে তা ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বিলটি উত্থাপনে আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
আপত্তি তোলার সময় ফখরুল ইমাম অভিযোগ করেন, আইএমএফের শর্ত মেনে এই সংশোধনী বিলটি আনা হয়েছে। সংসদে কোনোকিছু গোপন করা উচিত নয়।
তবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কারো পরামর্শে এই সংশোধনী আনা হচ্ছে না। আধুনিক ও সময়োপযোগী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কিছু সংশোধনী আনা হচ্ছে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একটি একক পরিবারের সদস্যের বাইরে তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বা নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বোচ্চ দুটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পক্ষে একজন প্রতিনিধি পরিচালক থাকতে পারবে। একজনের বেশি ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক নিযুক্ত হতে পারবে না।
এছাড়া বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের পর্ষদে ব্যক্তি শেয়ারহোল্ডারের পক্ষে অপর কোনো ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবে না। অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি ব্যাংকের শেয়ারের মালিক হলে তার প্রতিনিধি হিসেবে অন্য কোনো ব্যক্তিকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
বিদ্যমান আইনে কোনো ব্যাংক পরিচালক একইসময়ে অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকতে পারবেন না। তবে এই আইন কার্যকর হওয়ার পর সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে বিমা কোম্পানির পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সংশোধনী খসড়ায় কোনো ব্যাংক পরিচালকের একইসঙ্গে বিমা কোম্পানির পরিচালক পদে থাকার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।
কোনো পরিচালক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালক হতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে বিদ্যমান আইনে কিছু বলা নেই। এ প্রসঙ্গে এই বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ব্যাংকের পরিচালক হলে একই সময়ে তিনি অন্য কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি বা এসব কোম্পানির কোনো সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালক থাকতে পারবেন না।
ওই ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিমা কোম্পানির ওপর নিয়ন্ত্রণ বা যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তার করে- এমন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকা যাবে না বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে বিকল্প পরিচালক নিয়োগের সুযোগ থাকলেও তার মেয়াদকাল এবং বিকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা সম্পর্কে কিছু বলা নেই। নতুন আইনে এসব বিষয় সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো পরিচালক কমপক্ষে নিরবচ্ছিন্নভাবে তিন মাস বিদেশে অবস্থান করলে তার অনুপস্থিতির কারণে পর্ষদ চাইলে মূল পরিচালকের বিপরীতে বছরে সর্বোচ্চ একবার একজন বিকল্প পরিচালক নিযুক্ত করতে পারবে। পরিচালক নিয়োগের যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো বিকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক-কোম্পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার স্বার্থে তার পর্ষদ এবং পর্ষদ কমিটিগুলোর কর্মপরিধির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সময় সময় নির্দেশনা জারি করতে পারবে।
নতুন আইনে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পাবে।
এতে নতুন ধারা যোগ করে বলা হয়েছে, যে উদ্দেশ্যেই ব্যাংক কোনো সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হার বা পরিমাণের বেশি সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধন হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারবে না।
নতুন আইনের আওতায় সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যোগ্যতা ও উপযুক্ততার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করবে।
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাওয়া, বাড়ি-গাড়ি ও কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ তাদের রাজনৈতিক দলের কমিটিতে না রাখার বিধান রেখে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অধিকতর সংশোধন করতে এই বিলে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। এক পরিবার থেকে তিন জনের বেশি ব্যাংক পরিচালক হওয়া যাবে না এরকম বিধান রাখা হয়েছে।
২০১৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে পরের বছরের মধ্যে খসড়া তৈরি করা হলেও, তা চূড়ান্ত করতে খুবই ধীরগতিতে কাজ চলছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই খসড়া আইনটিকে পার্লামেন্টে বিল আকারে উত্থাপনে আইএমএফ শর্ত দেওয়ার পর গত ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা খসড়াটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
আইনি অস্পষ্টতার জায়গাগুলো দূর করতে এবং মন্দ ঋণের লাগাম টেনে ধরার জন্য অতি-জরুরি এই সংশোধনীগুলো বছরের পর বছর ধরে প্রক্রিয়াধীন ছিল। অংশীজনের মতামত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২০ সালেই খসড়া তৈরি করে। এতে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর বেশ কয়েকটি বিধানের পরিবর্তন এবং কিছু নতুন বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত করা ও চূড়ান্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুটি পৃথক কমিটি গঠন করবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সময়ে সময়ে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে।
তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আপিল করতে পারবে এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে বিলে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনী সংসদ বিল
মন্তব্য করুন
বিভিন্ন সরকারি ঠিকাদারি কাজ অনৈতিক ও অবৈধভাবে না পেয়ে অফিসে
ঢুকে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ মে) সকালে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে
তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার (৮ মে) দুপুরে পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক
প্রকৌশলীর রুমে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- পাবনা পৌর এলাকার চক গোবিন্দার চাঁদমারি
এলাকার ঠিকাদার রোকনুজ্জামান তুষার ও কালাচাঁদপাড়ার মো. আকাশ। অন্য পলাতক আসামিরা
হলেন- পাবনা পৌর এলাকার চকছাতিয়ানি গ্রামের রাজিবুল হাসান রাজিব এবং কৃষ্ণপুর এলাকার
রনা বিশ্বাসসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (৮ মে) পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের রুমে বৈঠক করছিলেন পাবনা গণপূর্ত বিভাগের
প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা। দুপুর ১টার দিকে রাজিব ও তুষারের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন রুমে প্রবেশ
করে গণপূর্তের বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ
শুরু করে এবং অনৈতিকভাবে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ দাবি করেন। দাবি না মানায় নির্বাহী
প্রকৌশলীকে গালাগাল ও মারধরের চেষ্টা করেন।
এ সময় অন্যান্য প্রকৌশলীরা বাধা দিলে তাদের সবাইকে প্রাণনাশের
হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে
শুক্রবার (১০ মে) রাতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে পাবনা সদর
থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে রাতেই মামলা করলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা
হয়।
জানতে চাইলে পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও
মামলার বাদী আনোয়ারুল আজিম বলেন, তারা ঠিকাদার (রাজি-তুষার)। ঠিকাদারি কাজ করেন। সেদিন
যা ঘটেছিল তা থানায় দেওয়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে আর কিছু নেই।
পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের
পর মামলা হয়েছে। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে রোকনুজ্জামান তুষার ও মো. আকাশকে গ্রেপ্তার
করা হয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মন্তব্য করুন
মাদারীপুরে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে
তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে সেই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও জেলা পুলিশের এক প্রেস
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)
মনিরুজ্জামান ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার
রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ করে
তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই কনস্টেবল। এ ঘটনায় শুক্রবার (১০ মে) ও শনিবার
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে তাদের সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই পুলিশ সদস্য
তানজিলা আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে পুলিশ নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার পুলিশে চাকরির
প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা আক্তার
নিজের স্বাক্ষর যুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করে। এদিকে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার
রেজাল্ট দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে অভিযোগ
করেন পুলিশ সুপার বরাবর।
চাকরিপ্রত্যাশী রতন দাস বলেন, ‘আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে
১৪ লাখ টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। আমার
দেওয়া সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করছে। টাকা ফেরত
চাইলে সে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা শুরু করে। বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে
না। এ ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়ি ‘।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের
পর সিনিয়র স্যারদের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে’।
টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তার একটি দোকানে এক হাজার টাকার কয়েকটি
বান্ডিল গুনে নিচ্ছেন। দোকানটি মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে। সেই দোকানেই
টাকা লেনদেন হয়েছে। গত বছরের ১ মার্চ রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশ কনস্টেবল তানজিলা আক্তার
ও শহিদুল টাকা গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামে ফসলী জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় বখাটে সুমন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আশপাশের বসতঘর, ধ্বংস হচ্ছে ফসলী জমি। এনিয়ে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলেও বখাটে সুমন জোর করে বালু উত্তোলন করছে। পরে ভুক্তভোগী প্রবাসী আহসান উল্লাহর পরিবার লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
অভিযুক্ত সুমন চাঁদখালী আলি মাঝি বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে। ভুক্তভোগী প্রবাসী আহসান উল্লাহ একই বাড়ির শফি উল্ল্যাহর ছেলে।
প্রবাসী আহসান উল্লাহ’র পরিবার জানায়, ফসলী জমি থেকে বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় বখাটে সুমন ও তার স্বজনরা তাদের চলাচলের কাঠের সেতুটি কুড়াল ও দা দিয়ে কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এসময় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চড়া হয় ওই বখাটে সুমন ও তার পরিবার। তাদের ভয়ে পুরো এলাকার বাসিন্দারা এখন আতঙ্কিত। এঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন প্রবাসী ও তার পরিবার।
এদিকে অভিযুক্ত সুমনের ড্রেজার মেশিনটি ফসলী জমির পাশে পাইপসহ দেখা গেলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন পর এ ইউনিয়নে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েছি। এ ইউনিয়নে অবৈধ কোন কাজ যেমন হতে দিবো না, তেমনি কোন ধরনের অন্যায় বরদাশত করা হবে না। ড্রেজার বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে ও ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।
মন্তব্য করুন
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রাজশাহীতে ডাবল লাইন করার প্রস্তাব এসেছে। ডাবল লাইন তো আর একদিনে হবে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। সমস্ত লাইনগুলোর মধ্যে যেখানে সিঙ্গেল গেজ রয়েছে সেখানে ডাবল গেজ করার চেষ্টা করছি। কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।
শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী
বলেন, আপনাদের সুবিধার্থে রেলপথে আম পরিবহনের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যাতে করে সবচেয়ে কম খরচে আপনাদের আম পৌঁছানো যায় এবং আমের গুণাগুণ ঠিক থাকে।
তিনি
আরও বলেন, আম পরিবহনে আমরা ডাক বিভাগকে কাজে লাগাতে পারি। তবে আমার মনে হয়- বর্তমান
পর্যায়ে এই যে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো আছে, এদের সঙ্গে আমরা একটা কন্ট্রাকে আসতে পারি।
আমরা তাদের সঙ্গে বসে আপনাদের সুবিধার্থে একটা আলোচনা করব। আপনারা বলেছেন যাত্রীবাহী
ট্রেনের সঙ্গে লাগেজ ভ্যান লাগানোর জন্য। আগে তো প্রত্যেকটি যাত্রীবাহী কোচের সঙ্গে
লাগেজ ভ্যান ছিল। অন্যান্য যে শস্যগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে
পরিবহন করব। আমরা ঈদের সময় গবাদিপশু পরিবহনের ব্যবস্থা করি।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, কোনো অসুস্থ রোগীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে সে কিন্তু আর বাঁচে না। আমরা এখন অসুস্থ ধরে নেন। সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের টেনে তুলছেন। তিনি রেলকে ভালোবাসেন। এই পরিবহনটা খুবই সস্তা পরিবহন। সেটা যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বলেন আর পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বলেন। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। যা আটটা জেলাকে কানেক্ট করবে। সমস্যা থাকবে, সমস্যার সমাধানের জন্য আপনারা পরামর্শ দেবেন। কিন্তু আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।
সেমিনারে জানানো হয়, আগামী ১০ জুন ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে। এবার পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাবে রাজশাহী অঞ্চলের আম। যাত্রা পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ মোট ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। বাংলাদেশ রেলওয়ে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করে ২০২০ সালে।
সেমিনারে
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে বিভাগের জেলা
প্রশাসকগণ ছাড়াও আম ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের
ভাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে)
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কাশেম শিকদার (৪০), তার ভাই নাজমুল
শিকদার (৩৭) ও তার ছেলে মোরসালিন (৮)।
নিহতদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাকি।
তিনি বলেন, শনিবার ভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলে করে বাবা-ছেলে ও তার ভাই ফরিদপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোরসালিনের মৃত্যু হয়। পরে আহত কাশেম ও নাজমুলকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামে ফসলী জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় বখাটে সুমন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আশপাশের বসতঘর, ধ্বংস হচ্ছে ফসলী জমি। এনিয়ে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলেও বখাটে সুমন জোর করে বালু উত্তোলন করছে। পরে ভুক্তভোগী প্রবাসী আহসান উল্লাহর পরিবার লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রাজশাহীতে ডাবল লাইন করার প্রস্তাব এসেছে। ডাবল লাইন তো আর একদিনে হবে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। সমস্ত লাইনগুলোর মধ্যে যেখানে সিঙ্গেল গেজ রয়েছে সেখানে ডাবল গেজ করার চেষ্টা করছি। কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।