আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র বাকি ছয় মাস। এই সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, একটি আবধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পুলিশের উচ্চ পদস্থ ডিআইজি এবং এসপি পদে বড় ধরনের রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব সিরাজাম মুনিরা। এসব প্রজ্ঞাপন মোতাবেক বিসিএস ২৫ এবং ২৭ ব্যাচের ২২ জন এসপিকে এবং ৭ জন ডিআইজিকে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
সূত্রটি বলছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনে এই রদবদল করা হয়েছে। একজন এসপি বা পুলিশ সুপার একটি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুদায়িত্ব পালন করে থাকেন। একটি জেলায় একজন পুলিশ সুপারের দায়িত্বকাল থাকে তিন বছর। তাই নির্বাচনের আগে ২২ জন পুলিশ সুপারকে ওই স্থানগুলোতে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সূত্র জানায়, যদিও বিএনপি বলছে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তথাপিও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকল রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চায় সরকার। যে কারণেই নির্বাচনের আগে পুলিশ প্রসাশনে একটি রদবদল আনা হয়েছে। এই রদবদলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারদের যেসব স্থানে পদায়ন করা হয়েছে- সেসব স্থানে তারা কোনো বড় ধরনের অঘটন বা দুর্ঘটনা না ঘটালে নির্বাচনের আগে তাদেরকে আর কোথাও কোনো ধরনের বদলি করার সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনের আগে আরও একটি রদবদল আসতে পারে বলেও জানিয়েছে সূত্র।
নির্বাচনের আগে পুলিশ প্রশাসনে এ ধরনের বদলি একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এরকম দফায় দফায় পুলিশে এবং প্রসাশনে বদলি করা হয়। এই রদবদল তারই একটি ধারাবাহিকতা। তবে এই ধরনের রদবদল এখানেই শেষ নয়, নির্বাচনের আগে আরও কিছু রদবদল হতে পারে।
সূত্রমতে, আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে ২২ জন পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে- তারা সবাই ২২তম এবং ২৭তম ব্যাচে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশে যোগদান করেছিলেন। ২২তম এবং ২৭তম বিসিএস পরীক্ষা হয় বিএনপি সরকারের সময়ে। সে সময়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই সময়ে পুলিশের এই ২২জন এসপি নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাদেরকে নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পদায়ন করা হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যই বিএনপির সময়ে নিয়োগ পাওয়া এসব পুলিশ সুপারকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পদায়ন করা হয়েছে।
সরকারের একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নীলফামারীর এসপি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে নরসিংদীতে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. গোলাম সবুরকে নীলফামারীতে, শেরপুরের এসপি মো. কামরুজ্জামানকে নওগাঁয়, বিশেষ শাখার এসপি মোনালিসা বেগমকে শেরপুরে, ভোলার এসপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে চাঁদপুরে, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার আল-বেলী আফিফাকে গোপালগঞ্জে, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের এসপি মোহাম্মদ আসলাম খানকে মুন্সীগঞ্জে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি এ এইচ এম আবদুর রকিবকে কুষ্টিয়ায়, পুলিশ অধিদপ্তরের এসপি মো. ছাইদুল হাসানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে, পিরোজপুরের এসপি মোহাম্মদ সাঈদুর রহমানকে খুলনায়, স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন-১-এর এসপি মোহাম্মদ শফিউর রহমানকে পিরোজপুরে, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের এসপি মো. মাহিদুজ্জামানকে ভোলায় এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবুল আলকে শরীয়তুপুরে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে, নওগাঁর এসপি মুহাম্মদ রাশিদুল হককে ট্যুরিস্ট পুলিশে, চাঁদপুরের এসপি মো. মিলন মাহমুদকে পুলিশ অধিদপ্তরে, গোপালগঞ্জের এসপি আয়েশা সিদ্দিকাকে বিশেষ শাখায়, মুন্সীগঞ্জের এসপি মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল মামুনকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে, কুষ্টিয়ার এসপি মো. খাইরুল আলমকে হাইওয়ে পুলিশে, খুলনার এসপি মোহাম্মদ মাহবুব হাসানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে, শরীয়তপুরের এসপি মো. সাইফুল হককে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, মাদারীপুর ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের এসপি মো. শফিকুল ইসলামকে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট, মেট্রো রেলে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়াও পুলিশের উচ্চ পদস্থ ৭ জন ডিআইজিকে বদলি করা হয়েছে। অপর একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রংপুর মহানগরীর ডিআইজি নুরে আলম মিনাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেনকে পুলিশ অধিদপ্তরে, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের ডিআইজি মোহাম্মদ রেজাউল হায়দারকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে, পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজকে ঢাকার শিল্পাঞ্চল পুলিশে, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ডিআইজি সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীরকে পুলিশের বিশেষ শাখায় এবং শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি জিহাদুল কবিরকে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট, মেট্রো রেলে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এরকম দফায় দফায় পুলিশে এবং প্রসাশনে বদলি করা হয়। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা আমরা অবলোকন করেছি। তবে আমার মনে হয়, যেহেতু নির্বাচনের ছয় মাস আগে এই বদলি, তাই আমার মনে হয় এটি একটি রুটিন ওয়ার্ক। যদি তিন মাস আগেও এটা হতো, তাহলে বলা যেতো- এটা নির্বাচনকে সামনে রেখে করা হয়েছে। তবে আমার মনে হয়, এ ধরনের বদলি আরও করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তবে আমরা দেখেছি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ ধরনের একটি নজিরবিহীন বদলি করা হয়েছিল, যেটি করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান। তিনি শপথ নিয়েই ছক করে ফেলেছিলেন, কাকে কোথায় বদলি করা হবে।
পুলিশ নির্বাচন রদবদল এসপি ডিআইজি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।