বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠি লিখেছেন দেশটির ছয়জন কংগ্রেস সদস্য। তাঁরা হলেন- উইলিয়াম আর কিটিং, জেমস পি ম্যাকগভার্ন, বারবারা লি, জিম কস্টা, ডিনা টাইটাস ও জেমি রাসকিন। তাঁরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য।
গত ৮ জুন ব্লিঙ্কেনকে লেখা ওই চিঠিটি এক টুইট বার্তায় মঙ্গলবার (১৩ জুন) প্রকাশ করেছেন চিঠিতে স্বাক্ষরকারী মার্কিন কংগ্রেসম্যান উইলিয়াম আর কিটিং।
মার্কিন কংগ্রেসম্যান উইলিয়াম আর কিটিং-এর টুইট
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ইতোমধ্যে বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও সহিংসতা শুরু হয়েছে।
৮ জুন দেওয়া ওই চিঠিতে কংগ্রেস সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আসায় মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে। এটি নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিতে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও অন্যান্য সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীর তৎকালীন বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে এই কংগ্রেস সদস্যরা চিঠিতে লিখেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরপরও বাংলাদেশে দমন–পীড়ন কমেনি।
চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট ২০২২ এ বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অধিকার ৩১টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ২১টি জোরপূর্বক গুম, জেলে ৬৮টি মৃত্যু এবং র্যাব, ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ ও একটি এজেন্সি দ্বারা ১৮৩ জন সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রামাণ্য ডকুমেন্ট থাকার পরও বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা অব্যাহতভাবে প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছেন।
এ পরিস্থিতিতে সুশীল সমাজ সংগঠন, মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না, তা পররাষ্ট্র দপ্তর কিসের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করবে, তা–ও জানতে চেয়েছেন কংগ্রেস সদস্যরা।
এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের অপর ছয় সদস্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সে সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রেসিডেন্টকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং দায়ী ব্যক্তিদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ করেন তাঁরা। ২ জুন ভার্জিনিয়ার কংগ্রেস সদস্য বব গুড প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে লেখা ওই চিঠি নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন। ওই চিঠিতে স্বাক্ষরদানকারী অন্য পাঁচ কংগ্রেস সদস্য হলেন স্কট পেরি, ব্যারি মোর, ওয়ারেন ডেভিডসন, টিম বুরচেট ও কিথ সেলফ। তাঁরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্য।
এছাড়া ১২ জুন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে একটি চিঠি লেখেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য। ওই চিঠিতেও বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়।
বাংলাদেশ ইস্যু ব্লিঙ্কেন কংগ্রেসম্যান চিঠি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।