নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৪ মার্চ, ২০১৮
জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বিএনপি নীরব। আর এই নীরবতার কারণেই আন্তর্জাতিক মহলে সন্দেহ বাড়ছে, জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ আইএসকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আইএস বাংলাদেশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে, এর সঙ্গে প্রধান একটি বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনের সম্পর্ক রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছে। শনিবার জনপ্রিয় শিক্ষক এবং লেখক ড. জাফর ইকবালের উপর আক্রমণ করা হলে বিএনপি নীরব থেকেছে। শুধু অধ্যাপক জাফর ইকবাল নয়, অভিজিৎ, দীপনকে মৌলবাদী জঙ্গিরা হত্যা করলেও, বিএনপি তার নিন্দা জানায়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকাস্থ একাধিক কর্মকর্তা এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে। রোববার সকালেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ড. মঈন খান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেই জানতে চাওয়া হয়, মুক্তমনাদের উপর মৌলবাদীদের আক্রমণের ব্যাপারে তাদের অবস্থান কি? ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এটাও বলেছে, যে তারা মনে করে, এসব ব্যাপারে বিএনপির ভূমিকা স্পষ্ট নয়।
মার্কিন দূতাবাস থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে, মৌলবাদী এবং ইসলামী সন্ত্রাসী দল গুলোর ব্যাপারে বিএনপি কেন নীরব? অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপর হামলার আগেও মার্কিন দূতাবাস জানতে চেয়েছিল, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার যে জঙ্গি বিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছে, সে ব্যাপারে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি কি? সে সময় বিএনপি থেকে বলা হয়েছিল, তারা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না, জঙ্গিবাদ বলে বাংলাদেশে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক। কিন্তু মার্কিন দূতাবাস নিজ উদ্যোগে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখছে যে বাংলাদেশে এখনো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে, এরা সক্রিয় হতে পারছে না। তবে যেকোনো সময় এরা সংগঠিত হয়ে আঘাত হানতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, ইসলামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠি বাংলাদেশের জন্য অন্যতম প্রধান ঝুঁকি।
ভারতও মনে করে, জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে, তা ভারতের জন্যও হুমকি। ভারতে কূটনীতিকরা খোলামেলা ভাবেই বলেন, এক সময় ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভয়ারণ্য ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে, বিএনপির ব্যাপারে মোদি সরকারের প্রধান আপত্তি এখানেই। কংগ্রেস সরকারের ধারাবাহিকতায় নরেন্দ্র মোদির বিজেপিও মনে করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বিএনপির সখ্যতা এবং গোপন যোগাযোগ রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগকে এখনো মন্দের ভালো বলে বিবেচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। তাই, আওয়ামী লীগের ওপর অনাস্থা এনে বিএনপির প্রতি সমর্থন জানানোর কোনো সম্ভাবনাই নেই প্রধান তিন দাতাদেশ গুলোতে। এ কারণেই, বিএনপির দাবি দাওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো ইতিবাচক মনোভাব দেখায়নি বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলো।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, ‘জঙ্গি’ ইস্যুতেই বিএনপিকে ধরাশায়ী করেছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপিও এখন পর্যন্ত জঙ্গি সংগঠনগুলো থেকে নিজেদের আলাদা করতে পারেনি। বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে আন্তর্জাতিক মহল জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেপথ্য পৃষ্ঠপোষক মনে করে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনে সারাবিশ্বেই আজ অনুকরণীয় উদাহরণ।
Read in English- http://bit.ly/2FjY2qR
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
সহকারী সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।