ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়েনি, লোডশেডিং শিগগিরই যাবে না: সিপিডি

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ২২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়সহ যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো সমস্যার সমাধানে কাজে আসেনি বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়েনি। লোডশেডিং শিগগিরই যাবে না। আরও বেশ কিছুকাল থাকবে বলেই শঙ্কা। গ্রামে ১০ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হলেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চ্যালেঞ্জ: প্রস্তাবিত বাজেটে সেসব চ্যালেঞ্জ জায়গা পেয়েছে কি?’- শীর্ষক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমীক্ষায় এসব কথা বলেছে সিপিডি। 

সিপিডির নিবন্ধে বলা হয়, চলমান সংকট থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত কোনো শিক্ষা নেয়নি। এটি এখনো ভুল পথে এগোচ্ছে। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে জোর না দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিনির্ভরতা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও দুর্বল করে দিতে পারে। শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ মেনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংকট সমাধান হবে না। এতে শুধু ভর্তুকি সমন্বয়ের নামে ভোক্তার ওপর বাড়তি দাম চাপতে পারে। আইএমএফের পরামর্শের পাশাপাশি আরও অনেক সংস্কার করতে হবে।

এতে অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে আগে থেকে যা যা শঙ্কা করা হয়েছিল, তা এখন পরিণতিতে পরিণত হয়েছে। দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত আমদানি বাজারে পরিণত হয়েছে। এখন ডলারের অভাবে জ্বালানি কেনা যাচ্ছে না। জ্বালানিসংকটে গত এক বছরে লম্বা সময় ধরে চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ে ভুগেছেন ভোক্তারা।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম শামসুল আলম বলেন, আদানির বিদ্যুৎ, আন্তসীমান্ত সঞ্চালন লাইন, এলএনজি, কয়লাসহ সব মিলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত আমদানির বাজারে পরিণত হয়েছে। ভোক্তা বাড়তি দাম দিয়েই যাচ্ছে। সেই টাকায় বড় বাজেট হচ্ছে। অথচ বাজেটে ভোক্তার জন্য কিছু নেই। বিদেশি বিনিয়োগ আনার কথা বলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়নের নামে কত টাকা পাচার হয়ে গেছে, তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে।

ভূতত্ত্ববিদ বদরুল ইমাম বলেন, দেশে জ্বালানির মূল জোগান আসে গ্যাস থেকে। গ্যাস অনুসন্ধান চালিয়ে গেলে বর্তমান সংকট তৈরি হওয়ার কথা নয়। গ্যাস অনুসন্ধানে অবহেলা করা হয়েছে। এমন অবহেলার শাস্তি তো পেতেই হবে। আসলে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন গ্যাসসংকট তৈরি করা হয়েছে। এতে এলএনজি আমদানি বাড়তেই থাকবে।

বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, সমস্যা হচ্ছে জ্বালানি খাতে, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে বিদ্যুৎ খাতে। গত বছর সংকটে পড়ে গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। এখন বিশ্ববাজারে কয়লা, এলএনজি ও জ্বালানি তেলের দাম কম। তাই সরকার আবার আমদানির দিকেই ঝুঁকছে। জ্বালানির নিশ্চয়তা না নিয়ে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। এগুলো তো যেকোনো আইনে অবৈধ হওয়ার কথা।

দেশের শীর্ষ বণিক সমিতি এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দ্রুত বিদ্যুৎ দিতে পারায় শিল্পায়ন বেড়েছে। এখন ব্যবসায়ীদের কাছে পরিস্থিতি অন্ধকার, বিদ্যুৎ নেই। জ্বালানি আমদানিনির্ভর হয়ে গেছে। জ্বালানির প্রাপ্যতা মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। ডলারের সংকটে ঠিকমতো ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। নগদ টাকা দিয়ে ব্যবসায়ীরাও ঋণপত্র খুলতে পারছেন না।

সিপিডির নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সঞ্চালনাও করেন তিনি। নিবন্ধে বলা হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়েছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন বন্ধ আছে। জ্বালানি আমদানি করা যাচ্ছে না। বিপুল পরিমাণ ঋণ করা হচ্ছে জ্বালানি খরচ মেটাতে। এর মধ্যে কয়লানির্ভরতা বাড়ছে। এটি আমদানি খরচ আরও বাড়াবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ৪০ শতাংশ বাড়তি আছে। আরও বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। এত বাড়তি সক্ষমতা দিয়ে কী করা হবে?

বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লোকসানের অন্যতম বড় কারণ বলে মনে করছে সিপিডি। সংস্থাটি বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ায় পিডিবির খরচ হয়েছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। পরের বছর (২০২১-২২) এটি প্রায় ৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এটি ২৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লে এটি বাড়তেই থাকবে। ২০২৫ সালে অতিরিক্ত সক্ষমতা ৪৬ শতাংশ হবে। তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া কমানোয় জোর দেওয়া উচিত।

সিপিডির নিবন্ধে বলা হয়, শুল্ক ও কর বাবদ বিপিসি সরকারি কোষাগারে টাকা দিচ্ছে। আবার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প নিচ্ছে। অথচ লোকসানের কথা বলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াচ্ছে। এসব হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার। দাম বাড়িয়ে বিপিসি মুনাফা করেছে। কিন্তু তা দিয়ে তো জ্বালানি তেল আমদানি করা যাচ্ছে না। আমদানির জন্য ডলার লাগবে। সামনে জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারে বাড়তে পারে। উচ্চমূল্যে কত দিন জ্বালানি কেনা সম্ভব হবে? গ্যাসঘাটতি উত্তরোত্তর বাড়ছে। এলএনজি আমদানি করে ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তার মানে জ্বালানি আমদানি খরচের বড় অংশ যাবে এলএনজি খাতে।


বিদ্যুৎ   লোডশেডিং   সিপিডি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা হবে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ বাঁচাতে দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু প্রকল্প গ্রহণ করলে চলবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে হ্রদ বাঁচাতে। সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

শনিবার (০৪ মে) দুপুর ১টায় রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উদ্যোগে কাপ্তাই হ্রদে মাছ অবমুক্ত করণ ও মৎস্যজীবীদের বিজিএফ খাদ্য শষ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য এসব কথা বলেন মৎস্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এ হ্রদের সাথে শুধু মৎস্য সম্পদ নয়, জড়িত এ অঞ্চলের মানুষের ভবিষ্যত। সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে হ্রদকে পুনরুদ্ধার করতে। সরকারের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সভাপতিত্বে এতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দীন, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. আবদুল আলীম মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য ইনস্টিটিউট ড. মো. জুলফিকার আলী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। 

উদ্বেগ প্রকাশ করে মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদ তার যৌবন হারিয়েছে। শুধুমাত্র রক্ষানাবেক্ষণের জন্য। হ্রদকে অপব্যবহার করা হয়েছে। হ্রদ বাঁচাতে হলে এ অঞ্চলের মানুষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। এ হ্রদে শুধু জেলে পরিবার নয়, জীবন বাঁচে লাখো মানুষের পরিবারের। হ্রদকে বাঁচাতে, হ্রদের মৎস্য প্রজনন ঠিক রাখতে অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সচেতন হতে হবে সবাইকে। তবেই হ্রদের প্রকৃত চিত্র ফিরে আসবে। পলিজমে হ্রদের যে তলদেশ ভরাট হয়েছে। তা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ঠিক করা যাবে। তবে পানি দূষণমুক্ত করতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। 

এর আগে মৎস্যজীবীদের রঙিন ছাতা ও খাদ্য শষ্য বিতরণ করেন অতিথিরা। একই সাথে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। 


মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী   মো. আব্দুর রহমান   কাপ্তাই হ্রদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেন কৃষিমন্ত্রীর ভাই

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের আপন ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ (বুলবুল)। অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন।

চেয়ারম্যান পদে অন্যরা হলেন সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুর রহমান, চা-শ্রমিক নারীনেত্রী গীতা রানী কানু ও প্রবাসী চমন উদ্দিন।  

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিদ্দেক আলী, মো. আলমগীর চৌধুরী, সুনীল কুমার মৃধা, মাওলানা এম এ ওয়াহাব ও নিরঞ্জন দেব।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু'জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী বিলকিস বেগম এবং উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মুন্না দেব রায়। এ উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৫৪৭ জন। 

বৃহস্পতিবার নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। 

কমলগঞ্জের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  এ উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৫৪৭ জন।


কৃষিমন্ত্রী   মৌলভীবাজার   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কাণ্ডারি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উদ্যোক্তাদের দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে, উদ্যোক্তারাই পারে তাকে শক্তিশালী ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে। কারণ উদ্যোক্তারা শুধু নিজে স্বাবলম্বী হয় না তারা সমাজের আরও ১০ জনকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদ্যোক্তা মহাসম্মেলন, ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার ও পণ্য মেলা-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুপার পাওয়ার আমেরিকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও টেসলার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা ছিল বলেই আজ সারাবিশ্বে আমেরিকা নেতৃত্ব করতে পারছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও বিভিন্ন নতুন নতুন ধ্যানধারণা নিয়ে কাজ করে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, একসময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট ছিল, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগ টেকসই করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে আমাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।


স্থানীয় সরকার   পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী   মো. তাজুল ইসলাম   উদ্যোক্তা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘উগ্রবাদ থেকে দেশকে বাঁচাতে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে’

প্রকাশ: ০২:৪৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ধর্মভীরু মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে উগ্রবাদের বিস্তারের চেষ্টা করে থাকে একটি চক্র। ধর্মের অপব্যাখ্যাকে হাতিয়ার করে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের দীনের পথ বিচ্যুত করে তারা। এদের হাত থেকে প্রজন্ম ও দেশকে বাঁচাতে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

শনিবার (৪ মে) ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সরকারি কলেজ ইমাম-মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদের আয়োজনে 'অনলাইনভিত্তিক উগ্রবাদ প্রতিহতকরণে ধর্মীয় নেতাদের করণীয়' শীর্ষক এক সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে। এই দেশের কোটি কোটি মুসলমানের জন্য দিশারি ইমামরা। তারা জনগণকে সম্প্রীতির কথা বলেন, তাই দেশে সম্প্রীতি বিরাজ করছে। যারা উগ্র কথা বলে উগ্রতাকে উৎসাহিত করেন, তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সেমিনারে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, এমপি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে সরকারি কলেজ মসজিদের মাত্র সাড়ে পাঁচ শ ইমাম-মুয়াজিনের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। আশা করি, তিনি এ বিষয়ে সুনজর দিলে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ রাষ্ট্রের সব কাজে আরও ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন। আর আমাদের দেশে যারা উগ্র কথা বলে উগ্রতাকে উৎসাহিত করেন, তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো: আওলাদ হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা: বশিরুল আলম, নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, একদল মানুষ আছে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশাল শক্তিকে নানাভাবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অসৎ স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টায় সচেষ্ট থাকে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে ধর্মভিরু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে আমাদের সমাজকে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এ ধরনের অপশক্তিকে রুখতে ভূমিকা রাখতে হবে আলেম ও বিজ্ঞজনদের।

ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো আওলাদ হোসেন বলেন, আধুনিক প্রচারমাধ্যম এতই শক্তিশালী যে এর খারাপ ব্যবহারটা খুবই ভয়ানক। এর অপব্যবহারকে সহজ করে দেখা যাবে না। অনলাইন প্রচারমাধ্যমের অপব্যবহার প্রতিরোধের জন্য প্রথমত ইমামদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি একটি সমাজকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে বদলে দিতে পারেন। ধর্মীয় বিজ্ঞজনের কথা এই সমাজকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণর্সের আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, অধ্যাপক ড. মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ ও বায়তুল মোকাররমের প্রধান খতীব মাওলানা মুফতী রুহুল আমীন প্রমূখ।


উগ্রবাদ   ড. মো আওলাদ হোসেন   ইসলামিক ফাউন্ডেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট পাচ্ছেন ড. আতিউর

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (সোয়াস) ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পক্ষ থেকে সারা বিশ্বে সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয়া হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লেখা একটি আনুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অ্যাডাম হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দারিদ্র্য নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার সুবাদে” এ বছর ডক্টর অফ সায়েন্স (ইকোনমিক্স) সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন ড. আতিউর রহমান। ঐ চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ড. আতিউর রহমান “দারিদ্র্যবান্ধব সরকারি ব্যয় নীতি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, এবং উদ্ভাবনীমূলক সামাজিক কার্যক্রমে”র ক্ষেত্রে যে নেতৃত্বসূচক ভূমিকা রেখেছেন সেগুলোও সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে বিবেচনা করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ রকম সম্মানসূচক ডক্টরেট পেয়েছেন চারজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। তারা হলেন- ভারতের প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার (ডক্টর অফ লিটারেচার), লন্ডনভিত্তিক ক্যুলিনারি আর্টিস্ট আসমা খান (ডক্টর অফ সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স), ইউকে-ভিত্তিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কেভিন ফেনটন (ডক্টর অফ লিটারেচার), এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৌদ্ধ ধর্মতাত্ত্বিক জংসার জাময়াং খেন্তসে রিনপোশে (ফেলো)।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের বার্ষিক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ড. আতিউর রহমান এই সম্মানসূচক ডিগ্রী গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। ঐ অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা তরুণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্বের উন্নয়নে ড. আতিউর রহমানের অনন্য অবদানের কারণে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে।

উল্লেখ্য. ড. আতিউর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন প্রাক্তনী এবং ইতোমধ্যে তিনি অসংখ্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তিনি ম্যানিলা-ভিত্তিক গুসি ফাউন্ডেশন থেকে গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার, এশিয়াটিক সোসাইটি কোলকাতা থেকে ইন্দিরাগান্ধী স্বর্ণস্মারক, ফান্যান্সিয়াল টাইমসের সহযোগি দ্যা ব্যাংকার এবং ইউরোমানির সহযোগি দ্যা ইমার্জিং মার্কেটস থেকে এশিয়া ও প্যসিফিক অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ গভর্নর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। দেশীয় পর্যায়ে তিনি অন্যান্যের মধ্যে বাংলা একাডেমি থেকে সাহিত্য এবং রবীন্দ্র পুরস্কার, রবীন্দ্র একাডেমি থেকে রবীন্দ্র সম্মাননা এবং শেলটেক ফউন্ডেশন থেকে শেলটেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাছাড়া সম্প্রতি ঢাকা আহছানিয়া মিশন ঘোষণ করেছে যে এ বছর ড. আতিউর রহমানকে ঐতিহ্যবাহী খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হবে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইমেরিটাস অধ্যাপক   ড. আতিউর রহমান   সোয়াস ইউনিভার্সিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন