(১৭ মে ১৯৮১। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত গণ-সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ভাষণের সংক্ষিপ্তসার।)
আজকের জনসভায় লাখো চেনা মুখ আমি দেখছি। শুধু নেই প্রিয় পিতা বঙ্গবন্ধু, মা আর ভাইবোন, আরো অনেক প্রিয়জন। ভাই রাসেল, আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। আপা বলে ডাকবে না। সব হারিয়ে আজ আপনারাই আমার আপনজন। স্বামী সংসার ছেলে রেখে আমি আপনাদের কাছে এসেছি।
বঙ্গবন্ধু ঘোষিত দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করে দিতে চাই। আমার আর কিছু পাবার নেই। সব হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে। পাশে থেকে বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।
আমি বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ পরবর্তীকালের বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। বিচার চাই বাংলার জনগণের কাছে, আপনাদের কাছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বিচার করবে না। ওদের কাছে বিচার চাইবো না। আপনারা আমার সাথে ওয়াদা করুন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি বাস্তবায়ন, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য নেতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করবো।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে গত ৬ বছরে শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতাম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু যে সিস্টেম চালু করতে চেয়েছিলেন, তা যদি বাস্তবায়িত হতো তবে বাংলার মানুষের আর দুঃখ থাকতো না। সত্যিকার অর্থেই বাংলা সোনার বাংলায় পরিণত হতো।
ক্ষমতাসীনরা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবার-পরিজনকে হত্যা করে বলেছিল, জিনিসপত্রের দাম কমানো ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আজ দ্রব্যমূল্য কোথায় উঠেছে? বর্তমান সরকার জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন করতে পারেনি। ধনী আরও ধনী এবং গরীব আরও গরীব হচ্ছে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা পাচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দিনে-দুপুরে রাস্তায় মানুষ খুন হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না, আর একশ্রেণির লোক প্রচুর সম্পদের মালিক হচ্ছে।
ক্ষমতার গদি পাকাপোক্ত করার জন্য ওরা আগামী দিনে বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করবে। আবার বাংলার মানুষ শোষণের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হচ্ছে। আমি চাই বাংলার মানুষের মুক্তি। শোষণের মুক্তি। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন। আজ যদি বাংলার মানুষের মুক্তি না আসে, তবে আমার কাছে মৃত্যুই শ্রেয়। আমি আপনাদের পাশে থেকে সংগ্রাম করে মরতে চাই ।
স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধে বাঙালি জাতি রক্ত দিয়েছে। কিন্তু আজ স্বাধীনতা-বিরোধীদের হাতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে চলেছে। ওদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংগ্রাম করি।
আপনাদের ভালোবাসার আশা নিয়ে আমি আগামী দিনের যাত্রা শুরু করতে চাই। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত চার রাষ্ট্রীয় নীতি বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
(সূত্র: দৈনিক সংবাদ ও সাপ্তাহিক মুক্তিবাণী।)
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ড সফরে সকল ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার
হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত
ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার
আহ্বান জানাই।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ
সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে কথা
বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবা (০২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন
গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল
দেশে ফিরেছেন।
সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)
থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফর সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পৃথক অভিযানে ৫৬ পিস ইয়াবা ও ৬০ গ্রাম গাঁজাসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ বুধবার (১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সরাইদহ গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালানা করা হয়। এসময় মৃত মোহাম্মদ আলী শেখের পুত্র জয়নাল আবেদীন এর বসতবাড়ীর পূর্ব পার্শ্বের কাঁচা রাস্তার উপর থেকে ৫৬ পিস ইয়াবা ও ৬০ গ্রাম গাঁজা সহ হাতেনাতে আটক করা হয় তাদের।
তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ইয়াবা সংগ্রহ করে গ্রামের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্রি করত। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত আসামীরা হলেন, উপজেলার শ্যামনাই গ্রামের মৃত মোস্তফা মন্ডলের পুত্র সবুজ, মৃত বজলার রহমানের পুত্র জাকারিয়া ছোরহাব আলীর পুত্র মতি, উল্লাপাড়া উপজেলার ঝিকড়া তালুকদারপাড়া গ্রামের দুলাল তালুকদারের পুত্র রানা এবং শেরপুর উপজেলার আব্দুল মান্নান।’
মন্তব্য করুন
রাজবাড়ীতে লাইনচ্যুত হওয়া মালবাহী ট্রেনটি তিন ঘণ্টা পর উদ্ধার
করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মালবাহী ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টায় মালবাহী ট্রেনটি রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার
ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায়
রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া, রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, ‘খুলনা
থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন
ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। এরপর এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে রাজবাড়ীতে
থাকা উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন দিয়ে মালবাহী ট্রেনটিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার
করা হয়। তিন ঘণ্টা পর রাজবাড়ীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। পোড়াদহগামী
লোকাল সাটল ট্রেনটি পাচুরিয়া রেলস্টেশন ছেড়ে এসেছে’।
রাজবাড়ী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
মন্তব্য করুন
প্রায় ৩৩ লাখ টাকা আয়কর বকেয়া রেখেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে। আয়কর কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার প্রার্থী হওয়ার বৈধতা নিয়ে চলছে সমালচনা।
আব্দুল বাতেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই ও সাবেক পৌর মেয়র। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
প্রথম ধাপে ৮ মে পাবনার বেড়া, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বেড়া উপজেলায় আবদুল বাতেনসহ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ৯ জন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী গত ১৬ এপ্রিল আয়কর সার্কেল-১১ (কাশিনাথপুর) কার্যালয় থেকে উপ-কর কমিশনার সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে। সেই চিঠিতে বেড়া উপজেলায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১১ জন প্রার্থীর আয়কর সংক্রান্ত তথ্য দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল বাতেনের ৩২ লাখ ৮২ হাজার ৩২১ টাকা আয়কর বকেয়া রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপ-কর কমিশনার সাইফুর রহমান চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেই প্রার্থীদের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। আমরা প্রার্থীদের নামের আয়করের তথ্য তাদেরকে দিয়েছি। আব্দুল বাতেনের কর বকেয়া রয়েছে কয়েক বছর আগের। তাকে কর পরিশোধের জন্য চিঠিও দেয়া হয়েছে। তিনি এই করের টাকা কমাতে আপিল করেছেন।’
কর বকেয়া থাকতে তিনি আয়কর সনদ পেলেন কিভাবে জানতে চাইলে সাইফুর রহমান বলেন, ‘সনদের সঙ্গে সঠিকভাবে কর পরিশোধের কোন সংযোগ নেই। কেউ আয়কর রির্টান জমা দিলেই তিনি আয়কর সনদ পেতে পারেন। আব্দুল বাতেন সাহেবও রির্টান জমা দিয়ে সনদ পেয়েছেন। কিন্তু তার সম্পদ ও আয় অনুযায়ী কর বকেয়া রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাচন আয়কর বকেয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ড সফরে সকল ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।