কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক। এতে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। লোকজন হেঁটে ও নৌকায় চলাচল করছেন।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় থেকে উলিপুর উপজেলার মোল্লারহাট যাওয়ার একমাত্র সড়কটির ৫-৬টি অংশে পানি উঠায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষজন হাঁটু পানি ভেঙে এবং নৌকা যোগে গন্তব্যে যাতায়াত করছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে এই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে মোল্লারহাট যাওয়ার রাস্তাটির কয়েকটি জায়গায় রাস্তার ওপর পানি উঠেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে যোগাযোগ একদম বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা তো ব্যবসা করি। মালামাল আনা-নেওয়া নিয়ে বিপদে পড়তে হবে।
ওই সড়কে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনকারী তাজুল ইসলাম বলেন, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ, মোল্লারহাট, আলামিন বাজারসহ পাঁচগাছী ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের অনেক স্থানে যাওয়ার সড়ক এটি। বন্যার পানিতে সড়কটির কয়েকটি স্থানে পানি উঠেছে। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সড়কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদীর পানি জেলার ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ০১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা রয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদি বন্যা হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫৪১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম সড়ক চলাচল বন্যা ভোগান্তি জনসাধারণ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।