ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকবে পুলিশ

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৩


Thumbnail ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকবে পুলিশ।

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঘরেফেরা মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও নির্ধারিত সময়ে গমন নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা সড়কে থাকবে ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। অনেক সময় অভিযোগকারীদের যথাসময়ে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। এজন্য এবার সড়কে সক্রিয় থাকবে পুলিশের মোটরসাইকেল টহল। যাতে দ্রুত সময়ে অভিযোগ পাওয়ামাত্রই ব্যবস্থাগ্রহণ করা যায়।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সোমবার (২৬ জুন) দুপুর পৌনে ১২টায় পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাট পরিদর্শন করেন আইজিপি। এসময় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত রয়েছেন।

পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, গত ঈদুল ফিতরে সবার সার্বিক সহযোগিতায় ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পেরেছি। সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হয়েছেন ও যার যার গন্তব্যে নির্বিঘ্নে এবং যথাসময়ে গমন করতে পেরেছেন। এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

আইজিপি বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ হাইওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ রেলওয়ে পুলিশ, র‌্যাব, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, নৌ পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ সব ইউনিট একযোগে কাজ করছে। আমরা মালিক শ্রমিক, হাটের ইজারাদার ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছেন কি না তা জানার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত সব স্বস্তিদায়ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আইজিপি আরও বলেন, এর আগে আমরা গাজীপুর সাভার বাইপাইল এলাকা পরিদর্শন করেছি। সড়কের অবস্থার বিষয়ে মানুষের জেনেছি। ঈদযাত্রা সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। সাধারণ মানুষ নিরাপদে নির্বিঘ্নে যার যার গন্তব্যে যাচ্ছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, পদ্মাসেতু হয়েছে। আগের মতো অবস্থা আর নেই যে মানুষ বাসের ছাদে চড়ে গন্তব্যে যাবেন। ঈদযাত্রায় সড়কের অবস্থার কথা ভেবে মানুষ আগে বাড়িতে নাকি রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়বেন সেই শঙ্কায় থাকতেন, তবে সে পরিস্থিতি এখন আর নেই। গত ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রা ছিল স্মরণকালের স্বস্তিদায়ক। 

গত ঈদের অভিজ্ঞতার আলোকে এবারের ঈদযাত্রা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সাধারণ যাত্রীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, যেকোনো সমস্যায় প্রয়োজনে নিকটস্থ পুলিশে খবর দিন অথবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করুন। আপনার অভিযোগ জানান, পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন।

ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন না চালানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে, টেলিভিশনে টিভিসি চালানো হয়েছে। খালি পিকাপ বা ট্রাকে যাত্রী হিসেবে উঠবেন না। এরপরও যদি কোনো যাত্রী ট্রাক-পিকাপে ওঠেন তাহলে পুলিশ সদস্যরা দেখামাত্রই তাদের সড়কে নামিয়ে দেবেন। সুতরাং নেমে ভোগান্তিতে পড়ার আগে স্বাভাবিক গণপরিবহন ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে বাসে, ট্রেনে বা নৌপরিবহনে গমন না করতে অনুরোধ জানান আইজিপি।

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহায় পুলিশের দায়িত্ব বেশি। এবার সড়কে শুধু ঈদযাত্রায় কোরবানির হাটের নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে পুলিশকে। পাশাপাশি মৌসুমি ফল ও কোরবানির হাটে পশুবাহী যানবাহনকে নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ।

আইজিপি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা জাল টাকার কারবার করেন তারা হুঁশিয়ার হয়ে যান। আমরা গত দুই মাসে ৩  কোটি ৬১ লাখ জাল টাকা উদ্ধার করেছি, গ্রেপ্তার করেছি কারবারিদের। সাম্প্রতিক সময়ে দেড় কোটি জাল টাকা উদ্ধার ও কারবারিদের গ্রেপ্তার করেছি। অজ্ঞানপার্টি মলমপার্টি, ছিনতাইকারিসহ যারা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। সাবধান হয়ে যান, প্রতারণামূলক কাজে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ প্রতারিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে খবর দিন, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকাসহ শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন তাদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষ্যে জনসমাগম বাড়বে সে কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তারা দিবারাত্রি দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

ঈদে যারা ঢাকা শহর ছেড়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন, তারা নিজেদের প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মূল্যবান জিনিসপত্র সযত্নে ও নিরাপদে রেখে যাবেন। কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে পুলিশকে জানান, ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। 

এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সড়ক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। মার্কেটে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে পুলিশের একাধিক টিম নিয়োজিত রয়েছে। কেউ ভোগান্তিতে বা প্রতারিত হলে অপরাধের শিকার হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশকে জানান পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ রকম নাম রাখার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সহজে গরুগুলো চেনা যায় এবং হিসাব রাখতে সুবিধা হয়। তাই ভালো লাগা থেকে এ ধরণের নাম রাখা হয়েছে।

ফার্মের কর্মচারীরা জানান, ৫ বছর আগে এই খামারের শুরুতে ১৪টি গরু আনা হয়েছিল। এখন ৪ প্রজাতির (রাণীশংকর, ফ্রিজিয়ান, ভারতীয় ও দেশি) ৭৫টি গরু রয়েছে খামারে। এই সময়ের মধ্যে বেশকিছু গরু বিক্রি করা হয়েছে। এটি দুগ্ধ খামার। এখানে এবার কোরবানি ঈদের জন্য ১৫টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরুর নামও রাখা হয়েছে। তবে আকার-আকৃতি, গঠন, রং, স্বভাব, চেহারা সবদিক থেকে আকর্ষণীয় হচ্ছে সম্রাট। যে কারোরই পছন্দ হবে। গত ঈদে সম্রাটকে রাজধানীর গাবতলী হাটে নেওয়া হয়েছিল। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করা হয়নি। এবার আশা করছেন হাটে নেওয়ার পরই বিক্রি হবে। ট্রাম্পও ভালো দামে বিক্রি হবে।

ফার্মের কর্মচারী মো. হুমায়ুন গাজী বলেন, ফার্মে কোরবানির জন্য ১৫টি গরু রয়েছে। এরমধ্যে সম্রাট ও ট্রাম্প সবচেয়ে বড়। এখানে বিশাল বড় বড় গরু রয়েছে। এরকম বড় ফার্ম খুলনা শহরের আর কোথাও নেই। 

তিনি আরও বলেন, গরুগুলোকে সাধারণ খাবার যেমন- সয়াবিনের খৈল, মুগ ভুসি, গমের ভুসি, ভুট্টার আটা, কুড়ো, বিচালী ও পাশাপাশি নিজেদের ফার্মে উৎপাদিত কাচা ঘাস খাওয়ানো হয়।

তিনি বলেন, গরুগুলোর পেছনে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে হয়। সম্রাট খুবই আদরের। সম্রাট চলে গেলে সবাই কাঁদবে।

ফার্মে ঘুরতে আসা মো. বেলায়েত শেখ বলেন, খুলনা জেলায় বড় বড় গরু আছে শুনেছি। কিন্তু এই ফার্মে এতো বড় বড় গরু আছে আগে দেখিনি। এবার আসলাম গরু দেখতে। এখানে অনেকেই আসে। ফার্মে সম্রাটসহ বিভিন্ন নামের গরু আছে৷ দেখতে খুব সুন্দর, গরুও বিশাল বড়। শুনেছি হাটে নিয়ে যাবে, তাই দেখতে এসেছি।

ফার্মে আসা ফরিদুজ্জামান বাবু বলেন, অনলাইনে বড় বড় গরু দেখি। জানতে পেরেছি এখানে বড় একটি ফার্মে বড় বড় গরু রয়েছে। এটা দেখার জন্য এখানে এসেছি। ডনসহ বিভিন্ন নামের বড় বড় গরু আছে। শহরের উপরে এতো সুন্দর একটি ফার্ম হতে পারে এটা না দেখলে বুঝতাম না।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এসএম আইয়ুব আলী বলেন, এ বছর ৮৯ হাজার ৮৬৭ কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। আর খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে কোরবানিযোগ্য পশু আছে ৯২ হাজার ৩৭৫টি। ফলে এবার কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত আছে। ফলে পশুর কোনো সংকট হবে না।


ঈদযাত্রা   নির্বিঘ্ন   সক্রিয়   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চার বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরলেন মেয়র তাপস

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দায়িত্ব গ্রহণের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিগত দিনের উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রোববার (১৯ মে) নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দায়িত্বভার গ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি। করোনার মাঝেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে প্রায় সব খাতেই আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট হই। একটি উন্নত, বাসযোগ্য ঢাকা বিনির্মাণে বিগত চার বছরে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে সুশাসন নিশ্চিত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলসহ মাণ্ডা, শ্যামপুর, জিরানি কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ, বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ঢাকার সচলতা আনয়নে বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ বাস্তবায়ন, দশকের পর দশক ধরে চলা দখল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটানো, প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ-উদ্যান- কাঁচাবাজার, গণশৌচাগার প্রতিষ্ঠা, জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঢাকাকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালন বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং তা অব্যাহতভাবে চলমান রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্বভার গ্রহণের প্রথম দিন হতেই কর্পোরেশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ বাস্তবায়ন করে চলেছি। প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

দায়িত্ব পালনে অবহেলা, গাফিলতি দুর্নীতির দায়ে বিগত বছরে বিভিন্ন স্তরের ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও কর্পোরেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম সম্পাদনে জনবলের যে তীব্র সংকট ছিল তা উত্তরণে বিগত বছরে ভারী গাড়ির ১৪৩ জন চালক, ৬৬ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ৭৭ জন হিসাব সহকারী, ২৭ জন রেভিনিউ সুপারভাইজার, ৩১ জন পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক, ২০ জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন বিভাগে সর্বমোট ৮৭৯ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২১৭ জনের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মেয়র বলেন, ‘মেয়র নির্বাচনের আগে আমি ঢাকাবাসীর ওপর কোনো রকমের করের বোঝা না চাপিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিগত চার বছরে আমরা কোনো খাতে কোনো কর বৃদ্ধি করিনি। বরং এসময়ে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৪টি নতুন খাত হতে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। ফলে করোনা মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে, যা অদ্যাবধি অগ্রসরমান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় ছিল মাত্র ৫১৩.৯৬ কোটি টাকা, যা ২০২০-২১, ২০২১-২২ ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৫ কোটি ১০৩১.৯৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে রাজস্ব আদায় হয়েছে তা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি টাকা বেশি। ফলে চলমান অর্থবছরে আমরা পূর্বেকার মাইলফলক অতিক্রম করতে পারব বলে আশাবাদী।’

আগে সব উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কর্পোরেশনকে প্রকল্প নির্ভর থাকতে হতো। কিন্তু রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ঢাকাবাসীর কল্যাণে অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরকে এখন আর প্রকল্প নির্ভর থাকতে হয় না। বিগত চার বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে হাজার ২০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে নানাবিধ অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন সংস্কার করেছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২০২০-২১ সালে ১২১.৮৫ কোটি, ২০২১-২২ সালে ৩৩৯.৪৪ কোটি, ২০২২-২৩ সালে ৩৯০.১৬ কোটি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০০ কোটি টাকার বেশি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র, খাল- নর্দমা-বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ, সড়ক, জলাবদ্ধতা নিরসনে অবকাঠামো, সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র, গণশৌচাগার ইত্যাদি অনেক উদ্যোগ অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন সংস্কার করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘দখলমুক্তির ধারাবাহিকতায় আমরা দীর্ঘ এক শতাব্দী পর নলগোলা ভাওয়াল রাজবাড়ি (রাজকুঠি), ৮০ বছর পর সূত্রাপুরের মাইশা খাল, তিন দশক পর রায় সাহেব বাজার মোড়, যুগ পর লক্ষ্মীবাজারে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পার্কিংয়ের জায়গা, চার দশক পর ধলপুর ক্লিনার কলোনি হতে অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়েছি। ফলে, বিগত চার বছরে শতাধিক উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ৫৭.৭২৪ একর ভূমি উদ্ধার করেছি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য হাজার শত ৮৩ কোটি টাকার বেশি।’

এই চার বছরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অটল, অদম্য অনমনীয় কর্মোদ্যোগের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, যে সংস্থা একসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতো সে সংস্থা আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।


মেয়র তাপস   চার বছর   উন্নয়ন কার্যক্রম   ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এনবিআর জনপ্রিয় পরিবহন মেট্রোরেলে হঠাৎ করে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের ঘোষণা দিল। বিষয়টি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এনবিআরের সিদ্ধান্ত ভুল। এতে করে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হয়। প্রধানমন্ত্রী এটি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের মেট্টোরেল অনেক সুন্দর, শব্দদূষণ নেই। মেট্টোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে আমাদের টার্গেট ছিল ৬টি এম আর টি লাইনের যে কাজ শেষ হবে। 

সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিনুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জাইকা বাংলাদেশে প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহোদি।


মেট্রোরেল   ভ্যাট   এনবিআর   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাগরে মাছের উৎপাদন ও প্রজনন বাড়াতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা পালনে ইতোমধ্যে কুয়াকাটা উপকূল এলাকাসহ মৎস্য বন্দর আলিপুর-মহিপুরের জেলেরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঘোষিত ৬৫ দিনের সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে রোববার রাত ১২টায়। এই নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে রোববার (২৩ জুলাই) রাত ১২টা পর্যন্ত।

বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন সমুদ্রে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়াতে জেলেরা পড়বেন অস্তিত্ব সংকটে। একদিকে বছরে দুই বার নিষেধাজ্ঞা। অপরদিকে এই বছর ভরা মৌসুমে সাগরে মাছের আকাল পড়েছে। ঋণের বোঝা এবং ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে জেলেরা রয়েছে চরম বিপাকে। এদিকে দীর্ঘদিন কর্মহীন সময় পার করবেন তারা। তবে সরকার এই ৬৫ দিনের অবরোধের জন্য জেলে প্রতি ৫৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে।

সমুদ্রে বর্তমানে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননকাল হওয়ায় বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন নদীর মোহনায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সময়ে দেশের সামুদ্রিক জলসীমানায় সব ধরনের মৎস্য শিকার, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণায় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

উপকূলীয় জেলেরা জানান, সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় সমুদ্রে মাছ শিকার করা যাবে না। এতে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষিত থাকলেও উপকূলে এই পেশার সঙ্গে জড়িত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ থাকবে দীর্ঘ দুই মাস।

অনেক জেলে অভিযোগ করে বলেন, অবরোধকালীন সময়ে প্রতিবছর ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় মাছ ধরলেও কোনো ভূমিকা দেখা যায় না প্রশাসনের। তা না হলে আমাদের জালে চাহিদানুযায়ী মাছ ধরা পড়ত। তারা আরও দাবি করে বলেন, সরকার দু'বছরের স্থলে বছরে একবারসহ ভারতের সময়সীমার সঙ্গে যেনো নিষেধাজ্ঞা (অবরোধ) দেওয়া হয়।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, জেলেদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও জেলেদের ঋণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও চলছে।


মাছ শিকার   নিষেধাজ্ঞা   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উত্তরা-টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেলের আরও ৫ স্টেশন

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর স্টেশনের পরে আরও ৫ টি স্টেশন হবে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দক।

রেববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ডিএমটিসিএল আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি কথা বলেন।

মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন- রুটটি বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। 

রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন এম এন সিদ্দিক।

উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রুটের দৈর্ঘ্য হবে . কিলোমিটার। রুটে নতুন স্টেশন হবে। এগুলো হলো দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

সেমিনার উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি প্রমুখ।


মেট্রোরেল   স্টেশন   টঙ্গী   উত্তরা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ শতভাগ ফেল করা ৪ মাদ্রাসাকে শোকজ

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শনিবার (১৮ মে') উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামছুল হক এসব মাদ্রাসার সুপারদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

 

নোটিশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপারকে ২৬ মে দুপুর ২টায় শিক্ষা অফিসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় তার প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী কেন পাস করেনি তার লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

মাদ্রাসাগুলো হলো, বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা, এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা, হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা ও বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসা।

 

এ বছর বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৫ জন, এলংজানী মাদ্রাসা থেকে ১২ জন, হাজী আহমেদ আলী মাদ্রাসা থেকে ১৪ জন এবং বড় কোয়ালিবেড় মাদ্রাসা থেকে ১২ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু এদের কেউই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি।

 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামছুল হক জানান, উল্লিখিত মাদ্রাসার সুপারগণ সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

এদিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া মাদ্রাসার সুপারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের মাদ্রাসার অবস্থান। এসব এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক চেষ্টা করেও শ্রেণিকক্ষে আনা যায় না। অনেক শিক্ষার্থীই মাদ্রাসায় আসে না। লেখাপড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের কোনো আগ্রহ নেই। ফলে পরীক্ষার ফলাফলে এমন বিপর্যয় হয়েছে।'


মাদ্রাসা   শতভাগ ফেল   এসএসসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন