নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৫ মার্চ, ২০১৮
জঙ্গি অর্থায়নের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে পাঠানোর সময় প্রায় এক কোটি পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ১৩৬ কোটি টাকা) লন্ডনে আটক করা হয়েছে। এই টাকা বাংলাদেশে চারটি জঙ্গি সংগঠনকে পাঠানো হচ্ছিল। জব্দকৃত কাগজপত্রে অর্থ প্রেরক হিসেবে তারেক জিয়ার নাম পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে বড় ধরনের নাশকতার জন্য এই অর্থ প্রেরণ করা হচ্ছিল। লন্ডন পুলিশ সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
গত ২ এবং ৩ মার্চ ইস্ট লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল এবং অলগেটে কয়েকটি বাড়িতে ব্রিটিশ পুলিশ অভিযান চালায়। এখানে দুটি বাড়ি থেকে প্রায় এক কোটি পাউন্ড জব্দ করে পুলিশ। এই দুই বাড়ি থেকে আটক করা হয় ৫ জনকে। এদের মধ্যে আহমেদ ইমতিয়াজ (২৯) শুধু বাংলাদেশের নাগরিক। বাকি ৪ জনই পাকিস্তানের নাগরিক। ব্রিটিনে এরা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বসবাস করছে। আটক বাংলাদেশির কাছে চারটি জঙ্গি সংগঠনের নাম পাওয়া গেছে। এগুলো হলো আনসারউল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ এবং হিজবুত তাহরীর। চারটি প্রতিষ্ঠানের নাম এবং কাগজপত্র ছাড়াও তাদের কাছে কয়েকজন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতার নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং তার ছেলে তাবিথ আউয়াল। মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল খান, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক এবং নজরুল ইসলাম খান। আটক আহমেদ ইমতিয়াজের কক্ষ তল্লাশী করে তারেক জিয়ার লিফলেট, বিএনপির গঠনতন্ত্র এবং কাগজ পত্র জব্দ করা হয়েছে। পুলিশকে তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসার উদ্দেশ্যে তাঁরা টাকা পাঠিয়েছিলেন। তবে, কী ধরনের ব্যবসা এবং তাঁদের অর্থের উৎস কী, সে সম্পর্কে তারা কিছুই বলতে পারেননি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, বাংলাদেশে জঙ্গি নাশকতা করার জন্য হুন্ডির মাধ্যমে এই বিপুল অংকের টাকা পাঠানো হচ্ছিল। টাকাগুলো প্রথমে বিএনপির ব্যবসায়ী চ্যানেলে মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকতো, তারপর তারা এগুলো জঙ্গি সংগঠনগুলোকে পাঠাতো। আটককৃতদের কাছে পুলিশ যেসব বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নাম পেয়েছে, তারা প্রত্যেকেই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই মানি লন্ডারিংয়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হবার পর এখন তারেক জিয়া সন্ত্রাসী কায়দায় সরকার পতনের পরিকল্পনা করছেন। একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই তারেক এই বিপুল অর্থ বাংলাদেশ পাঠাচ্ছিলেন।
অন্য একটি সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বাংলাদেশ তারেকের প্রধান এজেন্ট। ২০১৪ এবং ২০১৫ তে আগুন সন্ত্রাস, মানুষ পোড়ানো এবং বাম পোড়ানোর প্রধান অর্থদাতা ছিলেন মিন্টু। এবারও ভিন্নভাবে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য আবারও আবদুল আউয়াল মিন্টুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আত্মগোপনে থেকে তিনি নাশকতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। লন্ডনের অর্থ তো আটক হয়েছে, কিন্তু দুবাই, সৌদি আরব থেকেও জঙ্গি সংগঠনগুলোর জন্য টাকা আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হোলি আর্টিজানের পর আমরা জঙ্গি অর্থায়নের প্রায় সব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন জঙ্গি অর্থায়নের প্রধান মদদদাতা তারেক জিয়া ও বিএনপি।’ ওই কর্মকর্তা আশাবাদী যে তারেক জিয়ার নীল নকশা বাস্তবায়িত হবেনা।
Read In English: http://bit.ly/2oLZE36
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা ঢাকা সফর
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. লায়েক আলী বলেন, তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলেও শিলাবৃষ্টির কারণে আমার বসত ঘরের টিনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাড়ি চালক সৈকত বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গরম কমলেও আমার গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে।
হবিগঞ্জ কালবৈশাখী ঝড় শিলাবৃষ্টি
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।