ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে পশু কোরবানি হয়েছে ১ কোটি ৪১ হাজার

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৩


Thumbnail সারাদেশে পশু কোরবানি হয়েছে ১ কোটি ৪১ হাজার।

এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট এক কোটি ৪১ হাজার ৮১২ টি গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে। এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩ টি। গত বছর ঈদুল আজহায় সারাদেশে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি গবাদি পশু কোরবানি হয়।

শুক্রবার (৩০ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন।

ইফতেখার হোসেন জানান, এ বছর ঈদুল আজহায় সারাদেশে এক কোটি ৪১ হাজার ৮১২ টি গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি গবাদি পশু কোরবানি হয়। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২ টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৯১ হাজার ৪৯ টি গবাদি পশু বেশি কোরবানি হয়েছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে।

মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৪ টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭ টি, রাজশাহী বিভাগে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯ টি, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৩০ হাজার৬৭৩ টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯ টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭ টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩লাখ ৮৫ হাজার ৯০২ টি গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে।

কোরবানি হওয়া গবাদি পশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০ টি গরু, ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫ টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮টি ছাগল, ৫ লাখ ২ হাজার ৩০৭ টি ভেড়া ও এক হাজার ২৪২ টি অন্যান্য পশু।

এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ লাখ ৭১ হাজার ২১৭ টি গরু, ৬ হাজার ৪৮০ টি মহিষ, ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৫ টি ছাগল, এক লাখ দুই হাজার ১৬ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৭৬ টি পশু। চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬২ টি গরু, ৮৭ হাজার ২১৪ টি মহিষ, ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৮ টি ছাগল, ৯৩ হাজার ১৮১ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৪২ টি পশু। রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ১১ হাজার গরু, ৯ হাজার ৪৬৯ মহিষ ও ১২ লাখ ৩১ হাজার ছাগল ও এক লাখ ৮১ হাজার ভেড়া। খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭০ হাজার ২১৯ টি গরু, এক হাজার ৪৯২ টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৩১ টি ছাগল, ২৫ হাজার ১২৩ টি ভেড়া ও অন্যান্য ১৬ টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৫ টি গরু, ৯৮৯ টি মহিষ, এক লাখ ৫১ হাজার ৫৬৪ টি ছাগল ও এক হাজার ৪৮৫ টি ভেড়া। সিলেট বিভাগে এক লাখ ৯৯হাজার ১৭২ টি গরু, এক হাজার ১৫৩ টি মহিষ, এক লাখ ৭২ হাজার ৭৪ টি ছাগল ও ২১ হাজার ৬৪০ টি ভেড়া। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭২০ টি গরু, ২৬৯ টি মহিষ, ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭ টি ছাগল ও ৬৫ হাজার ৮৩৩ টি ভেড়া। ময়মনসিংহ বিভাগে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৫ টি গরু, ৮০৯ টি মহিষ, এক লাখ ৮৬ হাজার ২৯ টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৯ টি ভেড়া কোরবানি হয়েছে।

এ বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩ টি।


বাংলাদেশ   পশু   কোরবানি   ঈদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো কবে নিজ অর্থ নিতে পারবে, জানতে চেয়েছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের লভ্যাংশ নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ অর্থ কত দিনে পরিশোধ করবে, তা জানতে চেয়েছেন সফররত দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাসভবনে নৈশভোজে এ বিষয়ে জানতে চান তিনি। নৈশভোজ শেষে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, ‘ডলার সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, মার্কিন যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে, অর্থছাড়ে দেরি হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। তারা এও বলেছেন, আমরা বুঝি বাংলাদেশের রিজার্ভের ওপর চাপ রয়েছে। আলোচনার একপর্যায়ে বাংলাদেশ কত দিনে এ অর্থ দিতে পারবে, তা জানতে চান ডোনাল্ড লু’।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের রিজার্ভ, রপ্তানি, সঙ্গে রেমিট্যান্সও বাড়বে। তাদের জানিয়েছি, আমাদের অর্থ পরিশোধে একটু সমস্যা হচ্ছে, দেরি হচ্ছে। তবে ক্রমাগত অর্থছাড় হচ্ছে, একেবারে বন্ধ হয়নি।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘বৈঠকে ওনারা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। আমরা চাই বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে। তখন আমরা বলেছি—হ্যাঁ, আমরাও চাই’।

নির্বাচনের আগে ও পরেও যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে কিছু ইস্যু ছিল জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেন। সেটা খুবই ইতিবাচক একটা চিঠি ছিল। তার পর থেকে আমরা তাদের সঙ্গে অ্যাংগেজমেন্ট শুরু করে দিলাম। সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রথমত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ ছাড়া তারা বিদ্যুৎ খাত নিয়েও কাজ করতে চায়। ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে আমাদের বিদ্যুতের একটা আন্তঃযোগাযোগ চায়। আমরা ভারতসহ এ দেশগুলোর সঙ্গে কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি, এটা জেনে তারা খুশি হয়েছে’।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান সালমান এফ রহমান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য যথারীতি তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়া যায় সেটি দেবে বলে জানিয়েছে তারা। আমরা বলেছি রোহিঙ্গাদের যাতে ফেরত নেয় সে জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তারা বলেছে, আমরা চেষ্টা করছি। আবার এটাও বলেছে, মিয়ানমারের এখন যে অবস্থা তাতে প্রত্যাবাসনে সময় লাগবে।

ভিসানীতি এবং র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ভিসানীতি নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। তারাও কথা তোলেনি, আমরাও না। এখন তো মনে হচ্ছে ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিএনপির ওপর দেওয়া উচিত। তবে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা তুলেছি। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছি। তখন তারা বলেছে, এ দুটো বিষয় তাদের বিচার বিভাগের বিষয়। তারা বিচার বিভাগকে জানিয়েছে, আমাদের র‍্যাবের বিষয়গুলোর উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এটার একটা প্রক্রিয়া রয়েছে, সে অনুযায়ী তারা কার্যক্রম এগিয়ে নেবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে তারা বলেছেন, তোমরা যদি আইএলওর নীতিমালা অনুযায়ী শ্রমনীতি তৈরি কর, আইএলও থেকে যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলও দুপক্ষেরই নিয়মনীতি এখন এক। একটা সময় কিছুটা আলাদা ছিল কিন্তু এখন আর সেটা নেই। আমরা খুব আশাবাদী যে আইএলওর সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়ে যাবে। হয়ে গেলে আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা কোনো আপত্তি থাকবে না বলে তারা জানিয়েছে।

নৈশভোজে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তথ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান ও ঢাকা স্কুল অব বিজনেসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।


ডোনাল্ড লু   সালমান এফ রহমান   মার্কিন প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উখিয়ায় আরসার আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন লাল পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর আস্তানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযান চালাচ্ছে। চলমান এই অভিযানে এরইমধ্যে আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড রকেট শেল উদ্ধারসহ আরসার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান আছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র‌্যাব  পাল্টা গুলি ছোড়ে। পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র‌্যাবের ওই অধিনায়ক।


উখিয়া   আরসা   অস্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি আলী হাসান (৩০) বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। নিহত আলী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার জিন্নাহর ছেলে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলার শহরদিঘি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পেশায় তিনি ট্রাকচালকের সহকারী। এ ছাড়াও আলী হাসান বগুড়া সদরের ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ।

এ ঘটনায় জড়িত হাসানের বন্ধু সবুজ সওদাগর পলাতক রয়েছে। সবুজ সওদাগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের দিকে সবুজ সওদাগরের বাড়িতে হাসান নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সবুজ। বিকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। সবুজ হত্যা মামলার আসামি। সে এবং তার পরিবারের সবাই মাদকাসক্ত। আমরা এলাকাবাসী অনেকবার তাদের সতর্ক করলেও কোনো কথা শোনেনি। হাসান সবুজের বাড়িতে নিয়মিত আসত। এখানে এসে তারা মাদক গ্রহণ করত।

ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, আমাকে অপরিচিত একটা নম্বর থেকে জানায় সবুজ সওদাগর এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে ঘরে ফেলে রেখেছে। পরে এলাকার লোকজন সবুজের বাড়িতে যায় এবং তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশকে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, সবুজ ও হাসান ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এমনকি তারা একই হত্যা মামলার আসামিও ছিল। তাদের নানা অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল।

বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আলী হাসান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সে পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেছি’।


খুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৌসুমের শুরুতেই আম ও লিচুর দখলে বাজার

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমের শুরুতেই বাজার দখল করেছে আম ও লিচু। বাজারে মিলছে হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বারিফল এবং কাঠিমনসহ কয়েক প্রজাতির আম। পাশাপাশি উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে থাইল্যান্ডের জাম্বু আম ও কয়েক প্রজাতির লিচুও। তবে দেশীয় আমের দামও কম নয়। প্রতিকেজি দেশীয় প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে।

অপরদিকে প্রতি একশ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১৬শ টাকায়। তবে বাজারে এমন চড়া দামে ফল কিনতে একদিকে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব ফল বাজারে আসায় স্বাদ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ,পুরাতন পল্টন, মতিঝিল এবং এর আশেপাশের ফলের বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, দাম কমলে মানুষ বেশি করে ফল কিনতে পারবে। সবার খাওয়ার চাহিদাও বাড়বে। অন্যসব বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক বেশি। আমের দামও অনেক বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কমেছে রসালো ফল আম ও লিচুর। ফলে সঙ্গত কারণে একদিকে যেমন বাজারে আম এবং লিচুর সংকট তৈরি হবে তেমনি বিক্রিও হবে চড়া দামে। তবে মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার পর দাম অপেক্ষাকৃত কমবে বলেও দাবি বিক্রেতাদের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমের শুরুতেই ৬ থেকে ৭ প্রজাতির আম পাওয়া যাচ্ছে। এসব আমের মধ্যে হিমসাগর প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোপালভোগ প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোবিন্দভোগ প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, বারিফল প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, কাঠিমন প্রতিকেজি ২০০ টাকা, সাতক্ষীরার গোপালভোগ প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা, থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (সবুজ প্রজাতি) প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা এবং থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (লাল প্রজাতি) ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে প্রতি একশ পিস বোম্বাই লিচু ৫০০ টাকা, প্রতি একশ পিস কদমি লিচু ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, চায়না লিচু প্রতি একশ পিস ১৪শ টাকা, বেলোয়ারি লিচু প্রতি একশ পিস ৮০০ টাকা এবং হাওয়াই মিঠাই প্রজাতির একশ পিস লিচু ১৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক লিচু ব্যবসায়ী বলেন, এবছর লিচুর দাম বেশি। পাইকারি বাজারে অতিরিক্ত দামে লিচু কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করা লাগছে। সাধারণ ৩০০ টাকায় একশ পিস লিচু বিক্রি যৌক্তিক থাকলেও তা দাম বেড়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বিক্রেতাদেরও।

ফল কিনতে আসা গোলাম রাব্বী বলেন, সবকিছুতেই দাম বেশি। তবে ফলের বাজারে দামের আগুন আরেকটু বেশি। এক কেজি আম যদি ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে যার দৈনিক আয় ৪০০ টাকা সে কি করবে? কীভাবে খাবে? দেশীয় ফলের দাম এত বেশি হওয়া একদম উচিত নয়।


আম   লিচু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুশীল সমাজের সঙ্গে ডোনাল্ড লু’র বৈঠক

প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ুকর্মী। মূলত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সমসাময়িক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

বৈঠকে আমেরিকার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডোনাল্ড লু, চিফ অফিস স্টাফ ন্যাথানিয়াল হাফট, ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের বিশ্লেষক সারাহ আল্ডরিচ, পিটার হাস, ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর রীড এসলিম্যান, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর আর্তুরো হাইনস, ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিল শ্যারন ফিটজগ্যারল্ড, পলিটিক্যাল অ্যাটাচ ম্যাথিউ বেহ। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রোস্টারও ছিলেন।

বাংলাদেশের সুশীল সমোজের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আখতার, শ্রমিক নেতা বাবুল আখতার, জলবায়ুকর্মী সোহানুর রহমান ও মানবাধিকারকর্মী নুর খান লিটন।

আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেবেন ডোনাল্ড লু। আগামীকাল বুধবার সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ডোনাল্ড লুর সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন তিনি।

সুশীল সমাজ   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন